যামানার মহান ইমাম সাইয়্যিদুনা আসসাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের একের পর এক ধ্বংস দেখে রেজাখানীদের খালিছ তওবা করে নেয়াটা জরুরী ছিলো সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন-৮

সংখ্যা: ২২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারী পথভ্রষ্ট গুমরাহ রেজাখানী ফিরকা নামধারী তথাকথিত সুন্নী গং এবং তাদের গুমরাহ পীর দাবিদার তাহের-সাবের গং যে শুধুমাত্র পাকিস্তানে হারাম কুফরী তন্ত্রমন্ত্রের সাথে জড়িত তা কিন্তু নয়। তাদের এদেশীয় চেলা শাগরিদ গং তারাও হারাম কুফরী তন্ত্র-মন্ত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের কথিত ইসলামী ফ্রন্ট দলের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন নির্বাচনে এককভাবে কিংবা লেজুড়বৃত্তি করে অংশগ্রহণ করে থাকে।
শুধু কি এতটুকু! তাদের কথিত অরাজনৈতিক গাউছিয়া কমিটি ওরফে গোশত কমিটি সম্পর্কে আলোচিত রেসালাতে বলা হয়েছে-
“আনজুমান তথা গাউছিয়া কমিটি নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন দাবি করলেও স্বার্থের প্রশ্নে তারা রাজনৈতিক লেবাস ধারণ করতেও কুন্ঠাবোধ করেনা। গত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনজুমান তার পেটুয়া সংগঠন গাউছিয়া কমিটিকে দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীকে পরাজিত করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম মনজুরকে নির্বাচিত করতে আদাপানি খেয়ে মাঠে নেমেছিল। মনজুরের পক্ষে কাজ করার জন্য গাউছিয়া কমিটির সকল মহানগর ইউনিটকে নির্দেশও দেয়া হয়েছিল।
জানিনা মহিউদ্দীন চৌধুরীর সাথে আনজুমানের ভাগ ভাটোয়ারায় কোথায় গরমিল হয়েছিল।… তাহের শাহ এর উপস্থিতিতে কোন স্থানে সুন্নী মুসলিম জনতা কোন সুন্নী সম্মেলন বা মাহফিল করতে চাইলে আনজুমান কর্তৃপক্ষ পঞ্চাশ কিংবা এক লক্ষ টাকার মতো চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে কোন জায়গায় তাদের তাহের শাহ-এর প্রধান অতিথিত্বে মাহফিল অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। এখানে তাহের শাহ-এর কোন ভূমিকা নেই বললে কোন অত্যুক্তি হবে না। কারণ তাহের শাহ কেবল আনজুমানের হাতের পুতুল মাত্র।
আনজুমান কর্তৃপক্ষ যেমনে নাচান তিনি তেমনে নাচেন। আনজুমানের পরোক্ষ ইশারা ইঙ্গিতে পরিচালিত জামেয়া ভিত্তিক ফেরকাবাজ, ফতোয়াবাজ মাওলানা এবং তাদের পদলেহী অপর একটি ফেতনাবাজ, চাঁদাবাজ ধান্ধাবাজ, ভাড়াটে লেখক ও একাধিক পীরের কাছ থেকে খেলাফত প্রাপ্তির দাবিদার মাওলানাদের অপতৎপরতার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ বহুধা বিভক্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিভ্রান্ত ও বিরক্ত।” নাউযুবিল্লাহ!
প্রিয় পাঠক! একবার সুস্থভাবে চিন্তা করে দেখুন! কি ভয়াবহ অবনতি রেজাখানী তাহের শাহ সাবের শাহ গংদের মাঝে বিরাজ করছে। তারা ক্ষমতার মোহে কুফরী তন্ত্র-মন্ত্র করছে, তারা টাকার লোভে ভোট কেনাবেচা করছে। চাহিদামতো টাকা না পেলে তাদের কথিত তাহের শাহ, সাবের শাহ পীরকে কোন মাহফিলে প্রদর্শন করে না, ফাসিক ফুজ্জার বিদয়াতী মুরীদ গং তাদের নাক্বেছ পীরকে হাতের পুতুলের মতো ব্যবহার করছে। যেমনে নাচায় তেমনে নাকি নাচতে থাকে! ফিতনাবাজ, ধান্ধাবাজ, চাঁদাবাজ, ভাড়াটিয়া মাওলানা দ্বারা কথিত পীর তাহের শাহ, সাবের শাহ গং বন্দী।
তাহলে সহজেই বুঝা গেল, এরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে ফাসিক ফুজ্জার, বিদয়াতী, বেশরা, কুফরী শিরকী তথা খাছ খোদায়ী গযবের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছে। যার কারণে এরা ব্যবসায়িক স্বার্থে নিজেদেরকে সুন্নী দাবি করলেও পবিত্র সুন্নত উনার বিন্দুমাত্র অনুসরণ অনুকরণ করে না। নিছক বিরোধিতার জন্য তারা যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করে যাচ্ছে। উনার সুমহান শানে মিথ্যা কল্পিত অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। উনার সুমহান সিলসিলা সম্পর্কে কুফরীর তোহমত দিচ্ছে। অথচ তারা নিজেরাই ঈমান-আমল-আখলাক, কথাবার্তা, চাল-চলন ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে হারাম-কুফরী-শিরকীর সমানতালে নিজেদেরকে অবশ্যম্ভাবী জাহান্নামের দিকে ভাসিয়ে নিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!
-মূফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।