বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১.   কাদিয়ানী ২. শিয়া, ৩. ওহাবী।

 

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

 

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।

ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল

ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

 

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মি. হেমপার লিখেছে- কুম্মী: আচ্ছা, তুমি যদি সুন্নতের অনুসারী হয়ে থাক, তবে কি পয়গম্বর  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেননি যে,

انا مدينة العلم و على بابها

অর্থাৎ “আমি ইলমের শহর আর আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর দরজা।” এ কথা বলে কি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও অন্যান্য ছাহাবাদের মধ্যে পার্থক্য করেন নি?

ইবনে আব্দুল ওহাব: যদি ব্যাপার এ রকমই হয়, তবে পয়গম্বর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বলা উচিত ছিল আমি তোমাদের নিকট দুটি জিনিস রেখে গেলাম- একটি কিতাব আর দ্বিতীয়টি আলী ইবনে আবী তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

কুম্মী: নিশ্চয়, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাও যথাস্থানে বলেছেন-

انا تارك فيكم الثقلين كتاب الله وعترتى اهلى بيتى

“আমি তোমাদের মধ্যে কিতাব ও আহলে বাইতকে রেখে গেলাম।” নিশ্চয়ই হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আহলে বাইতের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। ইবনে আব্দুল ওহাব এ হাদীছ শরীফকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করে। কিন্তু শায়খ কুম্মী উছূলে কাফীর ইসনাদের ভিত্তিতে হাদীছ শরীফটির সত্যতা প্রমাণ করেন। তখন ইবনে আব্দুল ওহাব চুপ থাকতে বাধ্য হল ও নিরুত্তর রইল। সে বলে উঠলো, পয়গম্বর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি আমাদের জন্য শুধু কিতাব ও আহলে বাইত রেখে গিয়ে থাকেন, তাহলে সুন্নত কোথায় গেল?

কুম্মী: সুন্নত এ কিতাবের তাফসীর ও তাশরীহকে বলে; অন্য কিছুকে নয়।

ইবনে ওহাব: আপনার মতানুযায়ী ইতরত অথবা আহলে বাইতই কালামে ইলাহীর তাফসীর। তবে কেন হাদীছ শরীফ-এর মতন বৃদ্ধি করা হল?

– মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল