যামানার মহান ইমাম সাইয়্যিদুনা আসসাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের একের পর এক ধ্বংস দেখে রেজাখানীদের খালিছ তওবা করে নেয়াটা জরুরী ছিলো সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন-৯

সংখ্যা: ২২৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাট্টা বিদয়াতী গুমরাহ রেজাখানী ফিরক্বার ধান্ধাবাজ, পটকাবাজ মুল্লা-মৌলুভী তথা ওলামায়ে সূ গং যাবতীয় কুফরী-শিরকীর মধ্যে লিপ্ত থেকেও তাদের অন্তরাত্মা একটুও কেঁপে উঠলো না যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শানে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কল্পিত কাহিনী রচনা করতে। আসলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-ইহসান-করুণা মুবারক হতে বঞ্চিত হয়েছে বলেই গুমরাহ-বিদয়াতী রেজাখানী গং মিথ্যা অপবাদ আরোপে এতটুকু বেপরোয়া হয়েছে। যেমনটি বেপরোয়া হয়েছিল স্বয়ং মালউন ইবলিস শয়তান। নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক!

তবে মালউন ইবলিস শয়তান তার ধূর্তামী শয়তানী চক্রান্ত ইত্যাদি সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে হক্বপন্থী ওলামায়ে কিরাম আজমাঈন, মু’মিন মুত্তাক্বী বান্দা-বান্দীগণ যেমন অবগত রয়েছেন তদ্রূপ বর্তমান যামানার অন্যতম গুমরাহ বাতিল বিদয়াতী ফিরক্বা সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীদের সম্পর্কেও সময়ের সচেতন হক্বপন্থী সুন্নী ওলামায়ে কিরাম আজমাঈন উনারা অবগত রয়েছেন। এ ছাড়া ওরা নিজেরাই নিজেদের শঠতা, দ্বিমুখিতা, ভ-ামী সম্পর্কে ভালোভাবে জানে।

পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মাঝে অবস্থানকারী তৎকালীন কাফির-মুশরিক গং নিজেদের আপন পরিবার-পরিজন সন্তান-সন্ততির চেয়ে বেশি জানতো, চিনতো, অবগত ছিল- যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান সত্তা মুবারক, শান মুবারক, বেমেছাল পূত-পবিত্রতা মুবারক সম্পর্কে। তারপরও তারা নিজেদের অস্তিত্ব বিনাশের আশঙ্কায়, নিজেদের কর্তৃত্ব হারানোর যাতনায়, জাহান্নামের কুৎসিত স্বাদ গ্রহণের লিপ্সায় বিরোধিতায় এবং মিথ্যা অপবাদ আরোপে মালউন ইবলিসের ন্যায় দ্রুতগামী ছিল। নাউযুবিল্লাহ!

কিন্তু তাদের কোন চক্রান্ত, মিথ্যা অপবাদ কোন কিছুই কাজে আসেনি বরং তারা নিজেরা নিজেদের বংশসহ নির্বংশ হয়েছে। তদ্রূপ বর্তমান যামানায় যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ নায়িব ও ক্বায়িম-মাক্বাম উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পালনে যিনি বেমেছালভাবে অটল-অবিচল, জাহিরী-বাতিনী-মাদানী নিসবত মুবারক দ্বারা যিনি এককভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শানে বিরোধিতা করে, অপবাদ দিয়ে কি কস্মিনকালেও সম্ভব- নিজেদেরকে মুসলমান বলা, নিজেদেরকে ঈমানদার দাবি করা, নিজেদেরকে সুন্নী বলে প্রচার করা, নিজেদেরকে হক্বপন্থী হিসেবে জাহির করা? না কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। বরং তাদের জন্য সবসময় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সুমহান বাণী মনে রেখে সতর্ক সাবধান হওয়া উচিত যেখানে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “যে ব্যক্তি যামানার ইমাম উনাকে চিনতে পারলো না, সে ব্যক্তির মৃত্যু জাহিলিয়াতের মধ্যেই হলো।” নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক!

-মূফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।