হিন্দুরা কখনোই অসাম্প্রদায়িক নয়। গান্ধী, নেহেরু, নরেন্দ্র মোদী প্রচ- মুসলিমবিদ্বেষী। তারা মুসলমান মেয়েদের সন্তানসম্ভাবা করে হিন্দু সন্তান চায়, মুসলমানদের পোড়াতে চায়। এটা ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যার নির্মম ইতিহাসের সামান্য নমুনা।

সংখ্যা: ২২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

কিছু কষ্টের কথা কখনো ভুলা যায় না! প্রায় ৩৫০০ বছর আগে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা উদ্দেশ্যে ফিরাউন ওই সময় মায়ের পেট থেকে সদ্য জন্ম নেয়া সব শিশুদের হত্যা করে যে নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার সৃষ্টি করেছিল তা মানুষ আজো ভুলেনি।

ফিরাউন তার শাসনামলে জন্মের পর শিশুদের হত্যা করেছিল। কিন্তু এই আধুনিক যুগের অসভ্য বর্বর উগ্র ভারতীয় হিন্দুরা সেই ফিরাউনকেও হার মানিয়েছে। ভারতে মুসলিম শিশুরা মায়ের পেটের ভেতর ও নিরাপদ না। শুধু শিশু কেন, মুসলিম নারীরাই ভারতে সবচেয়ে অনিরাপদ! গুজরাট ভারতের সর্বপশ্চিমে অবস্থিত একটি রাজ্য। এখানে মুসলমানদের উপর অত্যাচারের ইতিহাস বড় নির্মম ও নিষ্ঠুর।

মুসলিম গণহত্যার ষড়যন্ত্র:

ঘটনার সূত্রপাত ২০০২ ঈসায়ী সনের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের ঝঅইঅজগঅঞও ঊঢচজঊঝঝ নামে একটি ট্রেনে হামলায় ভারতের ৫৯ জন মারা যায়। ডরশরঢ়বফরধ-এর তথ্য অনুসারে ২৫৪ জন। এ ঘটনায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই মুসলমানদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অথচ পরবর্তীতে ‘নতুন নানাভাতি’ তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে বেরিয়ে আসে যে, ভারতের মুসলমানদের উপর হামলা চালানোর পূর্ব-ষড়যন্ত্র হিসেবেই এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা সাজানো হয়, যা উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা করেছিল এবং সেটা মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশেই করা হয়েছিল। সেটাকেই ছুতো করে মাসখানেক ধরে সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের উপর হামলা চালায়। শুরু হয় দাঙ্গা।

সংখ্যালঘু হওয়াতে মুসলিমদের উপর হিন্দুদের নির্যাতন মাত্রা ছাড়ায়। নির্যাতনের ধরন সব যুগের সব বর্বরতাকে হার মানায়। মুসলিমদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। অধিকাংশ মুসলিমদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। শত শত মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহরণ করা হয়েছে। শিশুদেরকেও তারা ছাড় দেয়নি। প্রায় লাখখানেক মুসলিম তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই নির্যাতনে আরএসএস’সহ হিন্দু উগ্র সন্ত্রাসীরা অংশ নেয়।

গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার নির্মমতা:

গুজরাটে মুসলিম হত্যাকান্ডের অন্যতম এই নরপশু এমনই এক বর্বর পিশাচ- যে কিনা মায়ের পেট থেকে ৯ মাসের ফিটাসকে (ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগপর্যন্ত শিশুদের ফিটাস বলে) মায়ের পেট কেটে বের করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।! ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব? হ্যাঁ, এটা এই নরপশু সম্ভব করেছে। কাউসার বানু নামের এক ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলার পেট কেটে এই শয়তান তার জন্ম না নেয়া শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সে প্রথমে ওই মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ছুরির ফলা দিয়ে তার পেট কেটে ফেলে। তারপর তার ফিটাসকে বের করে আগুনে ছুরে ফেলে দেয়। তীব্র মুসলিমবিরোধী এই নরাধমের ইচ্ছা ভারত থেকে মুসলিমদের সম্পূর্ণ ধবংস করে দেয়া।

‘তেহেলকার’ ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক ২০০৭ সালে গোপনে তার একটি সাক্ষাৎকার ধারণ করে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় ‘নারোদা পাতিয়া গণহত্যা’ (আহমেদাবাদ এলাকায়) চালাতে সে কিভাবে হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল, সেই ঐতিহাসিক সাক্ষৎকারে হিন্দুত্ববাদী বাজরাঙ্গি অতি আনন্দের সাথে তা বর্ণনা করে। বর্ণনা করে কিভাবে সে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বহু মুসলমানকে আগুনে পুড়িয়ে ও তরোয়ালে (তরবারি) কেটে হত্যা করে। সেই ঐতিহাসিক সাক্ষৎকারের কিছু অংশ অনুবাদ করে দেয়া হলো-

“কেটে টুকরা করা, পুড়িয়ে দেয়া, আগুন ধরানো অনেক কিছুই করা হলো, অনেক কিছুই। আসলে আমরা মুসলমানদের আগুনে পুড়াতেই বেশি পছন্দ করি, কারণ এই জারজরা তাদের দেহ মৃত্যুর পর চিতায় পুড়াতে চায় না।”

আমার শুধু একটি ইচ্ছা, শুধু একটি শেষ ইচ্ছা আমাকে মৃত্যুদ- দেয়া হোক, আমাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলেও তা গ্রাহ্য করব না। তবে আমাকে ফাঁসিতে দেয়ার আগে মাত্র দুইদিন সময় দেয়া হোক, আমি জুহাপুরা (মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা)য় চলে যাব। সেখানে ৭-৮ লক্ষ লোক বাস করে। আমি তাদের শেষ করব..কমকরে হলেও তো সেখানে আমার ২৫-৫০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা উচিত।”

গণহত্যার পর থানায় মামলার নথিতে লেখা হয়, এক সন্তানসম্ভাবা মুসলিম মহিলার পেট চিরে আমি ৯ মাসের ভ্রুণকে বের করেছি, নিক্ষেপ করেছি আগুনে।

আসলে আমি তাদেরকে দেখিয়েছি, দেখ! আমাদের বিরোধিতার শাস্তি কি। একজনকেও ছাড়া যাবে না। এমনি তোদের ভূমিষ্ঠ হতেও দিবো না। আমি বলেছি, যদি মহিলাও হয়.., যদি শিশু হয়, তবু তাদের কেটে ফেল.. চিড়ে ফেল.. টুকরো করে ফেল, আগুনে পুড়াও সকল মুসলমানদের। আমাদের অনেকে তাদের ঘরবাড়ি লুট করতে অযথা সময় নষ্ট করছিল। আমি বলেছি, অযথা এ কাজ না করে তাদের কাউকে বাঁচতে দিও না, এরপর সবই তো আমাদের। আমরা দল বেঁধে বেঁধে মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঘুরছিলাম। প্রত্যেকেই মুসলমান মারছিল অতি উন্মাদনার সাথে। আমরা এসআরপি (স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) ক্যাম্পের পাশেই এই গণহত্যা চালাই। আসলে একসাথে মুসলমান মারতে এত্ত মজা লাগে না সাহেব! আসলে তাদের মারার পর আমার নিজেকে রানা প্রতাপ বা মহেন্দ্র প্রতাপের মতো (মুসলিম নিধনকারী সন্ত্রাসী রাজা) মনে হয়েছে। এতদিন শুধু তাদের নাম শুনেছি, কিন্তু সেই দিন আমি তাই করলাম..।”

এই জানোয়ারের সাক্ষৎকারের লিংকঃ **

এটা ছিল একটি অপকর্মের নমুনা মাত্র। এ ছাড়াও শত শত মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম লুন্ঠণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মুসলিমদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহরণ করা হয়েছে। তারপর তাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ভাবুন সেই বিভীষিকার কথা- যেখনে আপনার সামনে আপনার বোনের সম্মান লুণ্ঠিত হচ্ছে। তকে শত শত উগ্র হিন্দু তদের মাঝে নিয়ে বিবস্ত্র করে তাকে অপমান করছে অথচ আপনি কিছু করতে পারছেন না। প্রতিটা মুসলিম নারী কি আমাদের মা অথবা বোন না?

একটি তথ্য অনুযায়ী, ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালে মুসলিমবিরোধী এই দাঙ্গায় অন্ততঃ ৫০,০০০ মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন।

গুজরাট দাঙ্গায় দাঙ্গাকারীদের ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি পুলিশকে নির্দেশ দেয়নি। এক পুলিশকর্মীর জবানবন্দি: মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য আমাদের কোনো নির্দেশই ছিল না। ২০০২ সালের দাঙ্গার সময় মুসলিম মহিলারা পুলিশের কাছে তাদের ইজ্জত রক্ষার আবেদন জানালে পুলিশ বলেছিল, ‘তোমাদেরকে তো শেষমেষ মেরেই ফেলবে। তার আগে ইজ্জত থাকলো কি চলে গেল তাতে কি?’ এমনকি তলোয়ার হাতে দাঙ্গাকারীরা সন্তানসম্ভাবা মুসলিম নারীদের পেট ফেঁড়ে ভ্রুণ বের করে তা তরবারি’র আগায় বিদ্ধ করে নারকীয় উল্লাস প্রকাশ করেছে বলেও সে সময় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল।

উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ওই দাঙ্গায় শত শত মুসলিম মহিলাদের সম্ভ্রমলুণ্ঠন করেছে। কয়েকশ মুসলিম মেয়ে এবং মহিলাকে অপহরণ এবং টেনে নিয়ে তাঁদের পরিবারের সামনেই তাঁদের বিবস্ত্র করা হয়, কয়েকশ হিন্দু নরপশু তাদের নোংরা কথা বলে অবমাননা করে, ভয় দেখায় সম্ভ্রমহরণ ও খুনের। তারা তাঁদের সম্ভ্রমহরণ ও গণসম্ভ্রমহরণ করে, লাঠি, ছুরি ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করে। তাদের স্তন কেটে দেয়া হয়, জরায়ু কেটে দেয়া হয় এবং তাঁদের শরমগাহে মারাত্মকভাবে কাঠের রড প্রবেশ করানো হয়। তাঁদের অধিকাংশকেই টুকরো টুকরো কেটে ফেলা হয় অথবা আগুনে পুরিয়া মারা হয়। এই আক্রমণের বেশি শিকার হয় তরুণী, বৃদ্ধা ও শিশুরা। শত শত নারীকে খুন করা হয়। খুনের আগে তাদের অনেককেই সম্ভ্রমহরণ অথবা গণসম্ভ্রমহরণ করা হয়।

উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীরা ৫৬৩টি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া ওই দাঙ্গায় আড়াই লক্ষ মুসলমানকে গৃহহীন হতে হয়। বেসরকারি সংস্থাটি তখন এক রিপোর্টে বলে যে, ধ্বংসলীলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা। ওই মানবাধিকার সংস্থার প্রধান তীর্থ শুক্লাবাদ বলেছে, গুজরাটের রাজ্য সরকার দুর্গত হাজার হাজার মুসলিম পরিবারের জন্য কিছুই করছে না। এসব দুর্গত পরিবারগুলোর ত্রাণের ব্যবস্থা করছে বেসরকারি সংস্থাগুলো। অসহায় মুসলিম পরিবারগুলো কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বলেও জানা গেছে। তাছাড়া গুজরাট রাজ্য সরকারের কারণে অপরাধীরা কোনোরকম শাস্তি পাচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার মুসলিম পরিবার ত্রাণশিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছে। রাজনীতিবিদরা ওইসব ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে নানা রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছে, তাদের নানাভাবে ব্যবহার করছে, তবে তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

মুসলমানবিরোধী দাঙ্গা চলাকালে গুজরাটের প্রধান নগরী আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটি গণহত্যার শিকার হন সাবেক কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি-সহ ৬৯ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক। তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে শহীদ করা হয়। ২০০২ সালের ১ মার্চ ওডি গ্রামে মুসলমানদের প্রায় ২০ বাড়িতে হামলা চালায় তারা। ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দা একটি তিনতলা বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে ২৩ জনের প্রাণহানি হয়। ৩ ঘণ্টা তা-বের পর সেখান থেকে মাত্র দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল নয়টি শিশু ও নয়জন নারী। পরিবারের ১৩ সদস্য হারিয়েছিলেন মজিদ মিয়া। তিনি বলেন, বাড়ি আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে মাঠ থেকে আমি দ্রুত ফিরে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু  ততক্ষণে সব শেষ। তার চাচাতো ভাই শফিক মোহাম্মদ স্ত্রী ও দুই সন্তান হারান।

গত ১০ বছরে মজিদ ও শফিক কয়েকবার নিজেদের পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন। কিন্তু তাদের মর্মযাতনা কখনো কমেনি। আদালতের রায় হওয়ার আগে মজিদ শুধু বলতে থাকেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচার ছাড়া আর কিছুই চাই না। নগর-সভ্যতার ছোঁয়া বাঁচিয়ে গুজরাটের দাহোদ জেলার দেবগড় বারিয়ার এই মহল্লায় নেই কোনো নিকাশি,  নেই কোনো রাস্তা, পানি সরবরাহ। কাছাকাছি নেই কোনো ভালো স্কুল, হাসপাতাল। বেঁচে থাকাটাই এখন বড় দায়। আর তাই হয়তো এখানে কোনোমতে মাথা গুঁজে থাকা পৌনে পাঁচশ’ মুসলমান কোনোভাবেই এগুলোকে নিজের ঘর বলতে চান না। অথচ গত ছ’বছর ধরে এই মানুষগুলোকে এখানেই থাকতে হচ্ছে। এদের সকলেরই কোথাও না কোথাও মূল গাঁথা ছিল। কোন এক গ্রামে ছিল জমি-জায়গা, দোকানপাট, ওদেরও ছেলেমেয়েও স্কুলে যেত। তারপর এক ‘ওভার থ্রো’ মানুষগুলোকে ছুড়ে ফেলেছে শহর লাগোয়া মফস্বলের এই এক কোণে। বানিয়ে দিয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর নাগরিক।

গুজরাট হামলার  প্রধান উস্কানিদাতা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নারেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে। এমনকি এই নরপশুর পরবর্তী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা মুসলিমদের জন্য আরো কি দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করছে! ভারতের এই নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালের মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার জন্য অনুতপ্ত নয় বলে ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে সে বলেছে, তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি কোনো কুকুর ছানাকে চাপা দিলে সেজন্য দুঃখ অনুভব করবে সে (কিন্তু মুসলিম হত্যার জন্য নয়!!) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ সব কথা বলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র উগ্রবাদী এ কাফির নেতা।

রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে সন্ত্রাসী মোদি আরো দাবি করে, ‘আমি যদি অপরাধ করে থাকতাম তবে অনুশোচনায় ভুগতাম।’ হিন্দু পরিবারে আমার জন্ম, আমি হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং দেশভক্ত। এতে কোনো অন্যায় নেই।”

কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোদির বক্তব্যের লিংক:

http://www.thehindu.com/news/national/no-guilty-feeling-about-gujarat-riots-says-modi/article4908704.

http://in.news.yahoo.com/no-guilty-feeling-gujarat-riots-says-modi-142709325.html

একটি ট্রাইব্যুনালের হিসেব হলো, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ওই গণহত্যা পর্বে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে। এখনো হাজার চারেক পরিবারকে কাটাতে হচ্ছে রহিমাবাদ সোসাইটির মতো রিলিফ কলোনিতে। পারেননি ঘরে ফিরতে, কেননা তারা যে মুসলিম, তারা যে চতুর্থ  শ্রেণীর নাগরিক। (বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল