আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী জালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-৩

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক, এ উপমহাদেশে প্রকৃতপক্ষে ওহাবী মতবাদী কারা সেটা আলোচনার পূর্বে ওহাবী মতবাদের উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। এ মতবাদটি দ্বীন ইসলাম এর নামে প্রতিষ্ঠিত বাতিল গুমরাহ ফিরকাসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান এবং এটি সর্বশেষ জন্ম নেয়া ফিরকায়ে বাতিলার মধ্যে সবচাইতে আলোচিত। এ বাতিল মতবাদের কুফরী ভিত্তি মূলত: ৮ম হিজরী শতকের সিরিয়ার অধিবাসী চরম শ্রেণীর গুমরাহ ইবনে তাইমিয়া অতঃপর তার উপযুক্ত চেলা ইবনে কাইয়্যেম র্কতৃক রচিত হয়। কিন্তু যুগে যুগে হক্বপন্থী আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর উলামা মাশায়িখ উনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে এরা সব সময় মুসলিম উম্মাহর নিকট লাঞ্ছিত ঘৃণিত এবং ধিকৃত হয়। অবশেষে হাদীছ শরীফ এ ঘোষিত ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী আরবের নজদে জন্ম নেয় সেই শয়তানের শিং।

এ প্রসঙ্গে বুখারী শরীফ-এর ২য় খণ্ড ১০৫১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে এভাবে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুয়া করলেন- “আয় আল্লাহ পাক! আমাদের শাম এবং ইয়েমেন দেশে বরকত দান করুন। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম! আমাদের নজদের জন্যও দুয়া করুন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাম এবং ইয়েমেনের জন্য পুনরায় বরকতের দুয়া করলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ আবারো নজদের জন্য বরকতের দুয়া করার আরজী পেশ করলে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদের জন্য দুয়া করতে চাইলেন না বরং তিনি বললেন, “আমি নজদের জন্য কি করে দুয়া করতে পারি? সেখানে তো ভূমিকম্প, ফিতনা-ফাসাদ এবং শয়তানী দলের উৎপত্তি হবে।”

মূলতঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী ১১১৪ হিজরী কারো মতে ১১১৫ হিজরী মুতাবিক ১৭০৩ ঈসায়ী সালে আরবের নজদ প্রদেশের উয়াইনা অঞ্চলে জন্ম নেয় ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী নামক মহা-জালিম ফিৎনাবাজ। এই ফিৎনাবাজকে তার শয়তানী কর্মকা- পরিচালনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে বৃটিশদের পাঠানো পাকা-পোক্ত গোয়েন্দা তথা গুপ্তচর হেমপার। ফিৎনাবাজ শয়তানের শিং ইবনে ওহাব নজদী তার নব্য ফিতনাকে কিভাবে অব্যহত রেখেছিলো-তা হেমপারের ‘Confession of a British Spy and British enmity against Islam’ নামক গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা আছে।

বুটিশদের প্রশিক্ষিত এই মহা ফিৎনাবাজ ইবনে ওহাব নজদী এবং ইহুদী বশংবদ ইবনে সউদ তারা সম্মিলিতভাবে ব্রিটিশ বেনিয়াদের সহযোগিতায় আরবের পূণ্যভূমি হতে ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন ধরপাকড়ের মাধ্যমে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর হক্কানী রব্বানী উলামা মাশায়িখসহ সাধারণ সুন্নী মুসলমানগণকে উৎখাত করে কিংবা দমন করে সেখানে ওহাবী রাজত্ব কায়িম করে। এদের মতবাদের অন্যতম কয়েকটি হলো- কোন তাকলীদ করা যাবে না অর্থাৎ মাজহাব মানা যাবেনা, যেমন এ প্রসঙ্গে ইবনে তাইমিয়া ‘আলকাযা মিনাল ইনসাফ’ গ্রন্থে ফতওয়া দিয়েছে “যে ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ইমামের তাকলীদ ওয়াজিব বলে ঘোষণা করবে, তাকে তওবা করানো হবে। যদি তওবা না করে তাকে হত্যা করা হবে; কারণ তারা মুশরিকের অন্তর্ভুক্ত। (নাঊযুবিল্লাহ)

এই ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে ওহাব নজদীর আধূনিক চেলা সউদী রাজতন্ত্রীদের মদদপুষ্ট দুর্ধর্ষ লা-মাযহাবী এক ওহাবী আবু আমিনাহ ফিলিপস নামক কুলাংগার তার The Fundametals of Tawheed’ নামের গ্রন্থে এও লিখেছে “যে মসজিদের ভিতর পরে কবর স্থাপন করা হয়েছে সেই মসজিদ থেকে কবর সরিয়ে ফেলতে হবে।… রসূলের (সাঃ) কবরের চতুর্দিকে প্রতিবন্ধকতা [সুসজ্জিত দরজা জানালা এবং সবুজ গুম্বজ ও গিলাফকে উদ্দেশ্য] স্থাপন করা সত্ত্বেও এখনও ভ্রান্তি সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। কেউ যাতে ঐ কবরের কাছে নামায আদায় করতে না পারে অথবা মসজিদের ভিতর হতে সেটিকে না দেখতে পারে সেজন্য আবারো দেয়াল উঠিয়ে মসজিদ হতে কবরকে আলাদা করা উচিত।” (নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক)

তারা আরো বলে- কোন রওজা শরীফ বা মাযার শরীফ যিয়ারত করা যাবেনা এবং সেগুলোতে গম্বুজও বানানো যাবেনা, কোন পীর মুর্শিদ উনাদের নিকট বাইয়াত হওয়া যাবেনা ইত্যাদী আরো অনেক কুফরী শিরকী আক্বীদা। ইবনে ওহাব নজদী ও তার চেলারা এগুলোকে খাঁটি এবং আদী ইসলামী মতবাদ বলে প্রচার করে এবং ইবনে সউদ ও তার চেলারা এগুলোকে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা করে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করে। আরবের বাহিরে সর্বত্র এটি ঘৃণ্য ওহাবী মতবাদ হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। ওহাবী শব্দটি একটি ঘৃণিত গালি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়লে তারা নিজেদেরকে সালাফী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে, কোথাও আহলে হাদীস নাম দেয়, কোথাও মুহম্মদী নাম দেয়, কোথাও এরা গায়ের মুকাল্লিদ, কোথাও বা লা মাযহাবী বলে চিহ্নিত হয়।

বলা বাহুল্য, যেহেতু বাতিল ওহাবী মতবাদ আরবের বুকে বৃটিশদের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রসার লাভ করে তাই তৎকালীন বৃটিশ বেনিয়ারা আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশেও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর অনুসারী কোটি কোটি সুন্নী মুসলমানগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ফিৎনা ছড়ানোর অপপ্রয়াসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে- কিভাবে এখানে গুমরাহ বাতিল ওহাবী মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃটিশরা ছলে-বলে কৌশলে কতিপয় দুনিয়াদার বিভ্রান্ত ওলামায়ে ছু’কে কব্জা করতে থাকে। তাদেরকে অর্থ সম্পদ ক্ষমতা ইত্যাদির লোভ দেখিয়ে আস্তে আস্তে বাতিল ওহাবী মতবাদে দিক্ষীত তথা বিভ্রান্ত করে। যে বিভ্রান্তির মধ্যে আটকা পড়ে একই সাথে গুমরাহ লা’নতের চূড়ান্ত উপযোগী হয়েছে আলোচ্য সুন্নী নামের কলঙ্ক বাতিল রেজাখানী গং। নাউযুবিল্লাহ!

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।