উপজাতি সন্ত্রাসীদের হত্যার হুমকিতে দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করছে নও-মুসলিমরা! দ্বীন ইসলামে বহাল থাকা নওমুসলিমরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে  নওমুসলিমদের জন্য সরকারের নিরাপত্তা কোথায়? সরকারের উচিত, পাহাড়ের নওমুসলিমদের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আলোচিত উমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকা-ের পর থেমে নেই উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। তুলাছড়ি ও আশেপাশের নও-মুসলিমদেরকেও উমর ফারুকের মতো হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের হুমকিতে দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করছে নওমুসলিমরা। উপজাতি সন্ত্রাসীরা বার্তা পাঠাচ্ছে, উমর ফারুকের দেহ ও মাথা তো একসাথে রেখেছিলাম, কিন্তু এখনো যেসব ত্রিপুরা দ্বীন ইসলামে রয়ে গেছে তাদের মাথা ও ধড় আলাদা করে ফেলা হবে।

যারা হুমকির পরেও দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করছে না তারা হত্যার আশঙ্কায় এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেও তারা নিরাপদ বোধ করছে না। নওমুসলিমদের আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যার হুমকি পাঠাচ্ছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ। নও মুসলিমদের দাবী, উমর ফারুক হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করায় সন্ত্রাসীরা আস্কারা পেয়ে আরো এমন হুমকি দেয়ার সাহস পাচ্ছে।

এদিকে উমর ফারুক হত্যাকা-ের অনেক দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ এ হত্যাকা-ের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। কোনো আসামী আটক তো দুরে থাকুক আসামীদের সনাক্ত করতেও সক্ষম হয়নি। স্থানীয় নও মুসলিমদের অভিযোগে, ১৮ জুন উমর ফারুক হত্যাকা-ের পরদিন পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যাওয়ার পর আর ঘটনাস্থলে আসেনি। উমর ফারুকের স্ত্রী মামলার এজাহারে সুস্পষ্ট ভাষায় ‘অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন জেএসএস উপজাতি সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামী সনাক্ত করতে পারেনি।

তুলাছড়ি গ্রামে মোট ২৯টি উপজাতীয় পরিবার বসবাস করে। এরমধ্যে ৫ পরিবার নও মুসলিম, ১ পরিবার বৌদ্ধ ও বাকি ২৩ পরিবার মিশনারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে খ্রিষ্টান হয়েছে। এই গ্রামে একটি মসজিদ রয়েছে উমর ফারুকের জমিতে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত। তুলাছড়ি গ্রামে ১২ পরিবার মুসলিম থাকলেও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে ৭ পরিবার পুণরায় খ্রিষ্টান হয়েছে। বাকি ৫ পরিবারের মধ্যে উমর ফারুকের পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রোয়াংছড়িতে অনেকটা আত্মগোপন করে রয়েছে। বাকি ৪ পরিবার উমর ফারুক হত্যাকা-ের পর উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে প্রাণভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে গিয়েছে। পার্শ্ববর্তী সাধু হেডম্যানপাড়া, শিলবান্ধা পাড়া, যাদুমণি পাড়া, নারেংপাড়ার নও মুসলিম পরিবারগুলোর অধিকাংশই দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করেছে। যারা করেনি তাদের প্রায় সবাই সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে এলাকা ছাড়া। তারা পার্শ্ববর্তী অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় অবস্থিত নও মুসলিম পরিবারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা সেখানে বসবাসকারীদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এই গ্রামগুলোতে মোট ৩২ পরিবার দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলেও সন্ত্রাসী ও মিশনারীদের হুমকির মুখে ১৫ পরিবার দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করেছে। বাকি ১৭ পরিবারের বেশিরভাগই এলাকা ছাড়া।

অন্যদিকে স্থানীয় নও মুসলিমরা প্রায় সকলেই শ্রমজীবী। তারা চাষাবাদ ও বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের তারা জুম চাষ বা বাগানে কাজ করার জন্য জঙ্গলে বা দূরের পাহাড়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। সাদিকুল নামের এক নওমুসলিম জানায়, আমরা সকলে দিনমজুর। কাজ করে খাই। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে আমরা পাহাড়ে গিয়ে কাজ করতে পারছি না। বর্তমানে জমানো টাকা ফুরিয়ে আসছে। বাইরে থেকে কিছু সাহায্য পাচ্ছি। কিন্তু এটাও তো এক সময় শেষ হবে। সেনাবাহিনীরা কতদিন নিরাপত্তা দেবে? তারা চলে যাবে এক সময়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা রয়ে যাবে। আমাদের কাজে ফিরতে হবে। সন্ত্রাসীদের আটক করা না গেলে এটা সম্ভব নয়। সরকারের প্রতি আহ্বান আমাদের জন্য কিছু করুন। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কচ্ছপতলীর নওমুসলিম আবদুস সালামকে গত পরশু হুমকি দিয়েছে এ বলে যে, ওনার ঘর কি পাকা নাকি বেড়ার? যদি বেড়ার হয় তাহলে ওনার ঘর ঘিরে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করে সকলকে হত্যা করবে।’ তিনি খুনীদের আটকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী সাধারণ মুসলিম এবং নওমুসলিমরা চরম অত্যাচার-নির্যাতন ও দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার তাদের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে অবহেলার পরিচয় দিচ্ছে। অপরদিকে, বাংলাদেশে ভুরি ভুরি কথিত নামধারী ইসলামী দল থাকলেও তারা ব্যস্ত দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে, গণতন্ত্র-রাজনীতি ও সরকারপতনের আন্দোলন নিয়ে। মুসলিমদের মানবাধিকার নিয়ে এদের কোনো মাথা ব্যথাই নেই।

আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকার-দেশের প্রশাসন কোনোভাবেই পাহাড়ি নওমুসলিমদের উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষায় দায়সারা আচরণ করতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্ম প্রচার ও পালনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারের উচিত তাই পাহাড়ের মুসলমানদের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশি বেশি সেনা চৌকি স্থাপন করা। প্রত্যাহার করা সেনা ইউনিটগুলোকে পুনরায় পাহাড়ে স্থাপন করা। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো যাতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে এজন্য হেলিকপ্টারসহ উন্নত সংযোগ যান ও অবকাঠামো সংযোজন  করা।

মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ, ঢাকা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।