এভাবে কতদিন দেশ চলবে? দেশের উপর নাগরিকের প্রাধান্য কবে প্রতিফলিত হবে? রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মানুষের অসহায়ত্ব কতদিন থাকবে? মানুষ কবে আত্মঅধিকার সচেতন হবে?

সংখ্যা: ২২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

মন্ত্রীদের আদেশ এখন অনেক আমলারা শুনছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ-সুপারিশও অনেক পুলিশরা মানছে না। আবার পুলিশের ভেতরের খবর হচ্ছে, ওয়ারল্যাস সেটে যে বার্তা দেয়া হয় তা বিএনপি-জামাতপন্থীরা মোবাইল সেটে বিএনপি-জামাত নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে। এতে করে নাশকতা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামাত। কিন্তু তারপরেও অনেকটাই সুসংহত অবস্থায় আছে পুলিশ। বিরোধীদল অহরহ উচ্চারণ করছে সরকারের মেয়াদ শেষ। সরকার অবৈধ। এরপরেও সরকার চলছে। বিএনপি-জামাত রাজপথ, সচিবালয়, সরকার অচল করে দিতে পারেনি অচল করার উদ্যোগও নিতে পারেনি। কারণ ঐ পুলিশের ভয়। পুলিশের একটা বিরাট অংশের পাশাপাশি আমলাদেরও একটা বিরাট অংশ সরকারের হুকুম তামিল করে যাচ্ছে। এরা কারা? এরা সরকারের আস্থাভাজন। সরকারের বিশ্বাসভাজন। সরকারের অনুগত। তারপরের কথা সরকারী দলের প্রতি নিবেদিত। অনেকাংশে সহজকথা সরকার দলীয়।

সরকার বিগত দিনে বেছে বেছে এই দলীয় লোকদের এসব পদে নিয়োগ দিয়েছে। স্পর্শকাতর, নিয়ন্ত্রক এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় লোকদের বসিয়েছে। বিপক্ষ দলীয় লোকদের অপসৃত করেছে। শুধু গায়ে আওয়ামী গন্ধ না থাকার কারনেও অনেক নিরপেক্ষ লোককে সরে যেতে হয়েছে। উল্টোদিকে দলীয় বিশেষ বিবেচনায় অনেকে দুই তিন ধাপ টপকে যুগ্মসচিব, সচিব ইত্যাদি হয়েছে।

আজকে তারা সে নেক দৃষ্টির বদলা দিচ্ছে। সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। এভাবে প্রশাসনে সরকার একটা আওয়ামী বলয়ের বিচারক, আমলা, পুলিশ ইত্যাদি হয়েছে। সরকারের দুর্বলতম মুহূর্তে, টানিং পয়েন্টে বা নির্বাচনের সময় যাতে নির্ভেজাল দলীয় অনুগত্য ও কর্মকা- পাওয়া যায় এ জন্যই এ অবস্থাটা তৈরী করা হয়। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। শুধু তাই নয়, এটা আওয়ামী লীগের জন্য যেমন সত্য। একইভাবে বিএনপি-জামাতের জন্যও প্রবল সত্য। জামাতের মন্ত্রীরা তাদের মন্ত্রণালয়কে শিবির মন্ত্রণালয় বানিয়ে ফেলেছিলো। বিএনপির মন্ত্রীরা তাদের কর্মীদের পুরষ্কার দিয়েছিলো। এখন আবার শুরু হচ্ছে সেই কৌশল। আজকে যারা বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠে নামছে, মিছিল করছে, পুলিশের মার খাচ্ছে, জেলে যাচ্ছে- তা যতটা রাজনৈতিক দর্শন বা কর্মসূচীর জন্য- তার চেয়েও অনেক বেশী দলের পরীক্ষীত লোক গন্য হয়ে আগামীদিনের সুবিধা হাছিলের জন্য। এজন্য কর্মীরা মিছিলের অগ্রভাগে থাকার, পুলিশের মার খাবার ছবি সংরক্ষণ করে থাকে এবং সময় মতো পেশ করে থাকে।

অবস্থাটা এমন দেশ হয়েছে এখন দু’দলের। একবার এদল আরেকবার সেদল। কিন্তু আমাদের দেশে এ দু’দলের কর্মী ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ আছে। সাধারণ নাগরিক আছে। তারা সব সরকারের সময়ই অবহেলিত হয়। চাকরি, নাগরিক সুবিধা সব কিছু থেকে বঞ্চিত হয়। অর্থাৎ বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নয়; বাংলাদেশেল নাগরিক হিসেবে বেচে থাকার অধিকার এখন ভুলুণ্ঠিত; দাফনকৃত। কিন্তু এই কী এদেশের স্বাধীনতার সুফল? এই কী নাগরিক সুবিধার প্রতিফলন? বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাচার অধিকার তাহলে নেই?

বাস্তব অবস্থা আরো করুণ। ক্ষমতাসীন মন্ত্রী, এমপিরা এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কিছু দেয়নি। মন্ত্রী-এমপিরা নিজেরাই সব লুটে-পুটে খেয়েছে।  কিন্তু একটা দেশের তো অনেক টাকা। প্রায় সে সব টাকাই অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপিরা লুট করে। এজন্য অভিযোগ উঠে অমুক মন্ত্রী এক লাখ কোটি টাকা তমুক মন্ত্রী পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

এখন লুটপাট, শোষণ এতো বেড়েছে যে মন্ত্রী-এমপিরা দলীয় লোকদেরই চাহিদা পূরণ করতে পারছেনা। তাহলে দেশের সাধারণ লোকদের চাহিদা পূরণ হবে কবে? এবং কীভাবে? মূলত: স্বাধীনতার ৪২ বছরেও আসলে দেশের সাধারণ লোকদের চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা তারা দলীয়করণের স্বীকার হচ্ছে। তারা বঞ্চিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। সাধারণ জনগণকে এই অবস্থায় এই দলীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এই ‘দলীয় রাজনীতি’ শোষণের হাতিয়ার।

এই ‘দলীয় রাজনীতি’ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার আধার। এ দলীয় রাজনীতি- আমলা বাণিজ্য, পুলিশ বাণিজ্য, বিচারক বাণিজ্য সব নির্যাতনের মূল। এই দলীয় রাজনীতি নিপীড়ক, প্রতারক। এই দলীয় রাজনীতি স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকেই প্রতারণা করে আসছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘মু’মিন এক গর্তে দু’বার পড়েনা।’ অর্থাৎ মু’মিন বার বার প্রতারিত হয়না। কাজেই সাতানব্বই ভাগ মুসলমান উনাদের আর প্রতারিত হওয়া চলবেনা। দলীয় রাজনীতি, প্রতারণার নির্বাচন, গণতন্ত্র আর মানা চলবেনা। এটা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনারই কথা মুবারক। কাজেই মুসলমান হিসেবে আমাদের তা মানতে হবে। হারাম গণতন্ত্র থেকে বেচে থাকতে হবে ইনশাআল্লাহ।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত মুবারক হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

চলমান রাজনৈতিক সংকট অথবা সহিংসতার প্রেক্ষিতে দু’নেত্রী বা দু’দলকে বা তৃতীয় শক্তিকে পরিহারমূলক মনোভাবই যথেষ্ট নয়-

সাধারণ মানুষকে নিজেদের অসাধারণ ক্ষমতাকেও যেমন অনুভব করতে হবে

তেমনি মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে যাওয়ার আবশ্যকতাও বিশেষ উপলব্ধি করতে হবে।

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

একের পর এক হরতালে হতভম্ব মানুষ। অপরদিকে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সর্বদলীয় সরকার ফর্মুলা নিয়েই অটল। মাঝখানে সাধারণ মানুষের হাঁসফাস, নাভিশ্বাস। মানুষ এখন দুনেত্রীর কবল থেকে মুক্তি চায়। বৃহৎ অর্থে দুদল থেকেও মুক্তি চায়। তবে সবাই চায়; সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে আলোচনা, প্রতিক্রিয়া, বিশ্লেষণ ইত্যাদি শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক দেরীতে।

মনে রাখতে হবে দু’নেত্রী তথা দু’দলকে আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষই। দু’নেত্রী তথা দু’দলের কার্যক্রমে- সাধারণ মানুষের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা, মুখ বুজে সহ্য করার প্রবণতাই জনশোষণ ও জননিপীড়নকে তুঙ্গে উঠিয়েছে।

এদেশের সাধারণ মানুষ রাজভক্ত কিন্তু রাজনীতিবিমুখ। সাধারণ মানুষের বৃহৎ অংশই সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিএনপি, আওয়ামী লীগ উভয় দলের নেতা-কর্মীকেই ভয় পায়, সমীহ করে এবং রাজার মতই দু’নেত্রীকে গ্রহণ করে।

সাধারণ মানুষের হীনমন্যতা, কাপুরুষতা তথা নিষ্ক্রিয়তা দু’দলই বুঝতে পেরেছে। দু’নেত্রী আরো ভালো করে হৃদয়ঙ্গম করেছে। দেশের লোককে শোষণ করে যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া যায়; তা এখন শুধু মন্ত্রী, এমপি নয়, ছাত্রদল, ছাত্রলীগের নেতা থেকে ক্যাডার সবাই বুঝেছে। তাই আওয়ামী লীগের সময় ছাত্রলীগের এবং বিএনপির সময় ছাত্রদলের চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসবাজি এখন শুধু নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার নয় বরং নস্যি বিষয়। বলা হয় সাধারণ মানুষও এসব নীরবেই হজম করছে।

সাধারণ মানুষের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আছে, কিন্তু তা বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রকাশ পায়না। আওয়ামী দুঃশাসন ও ধর্মের উপর আঘাতের প্রতিবাদে মানুষ বিএনপির ব্যানারে শামিল হয়।

অপরদিকে বিএনপির ধর্মব্যবসায়ী ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রীতি, জুলুমবাজি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী প্রশ্রয়ের প্রতিবাদে মানুষ আওয়ামী লীগের ব্যানারে আশ্রয় নেয়।

কিন্তু দু’দলেরই জুলুমবাজি, দুর্নীতি, দলবাজির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য সাধারণ মানুষের কোনো প্ল্যাটফরম নেই। অপরদিকে তৃতীয় শক্তির উত্থান হলেও তারাও এই দু’দলের দুর্নীতি ও জুলমবাজির পথ ধরেই চলে। জিয়া ও এরশাদের সামরিক শাসন এবং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল তারই বড় প্রমাণ।

এদিকে কথিত সুশীল সমাজও যে আসলে দালালি করে তাও আজ অনালোচিত নয়; অজানা নয়। এখানেই সাধারণ মানুষের পরাজয়। সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদ অথবা বুদ্ধিজীবী কোনো তকমাই চায়না। তারা সাধারণভাবে চলতে চায়। সাধারণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চায়।

কিন্তু এ বিষয়টিই এখন জোরালো প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে থাকতে পারছে কী? তারা সাধারণ মূল্যে খেতে পারছে কী? চলতে পারছে কী? চিকিৎসা চালাতে পারছে কী? নাগরিক জীবন-যাপন করতে পারছে কী? সরকার এবং সন্ত্রাসী উভয়ের কাছে পড়তে পড়তে সাধারণ মানুষ জিম্মী। সরকারের সেবা-হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার, কাষ্টমস সব প্রতিষ্ঠানে মানুষ চরম দুর্নীতি ও দৌরাত্বের স্বীকার। অপরদিকে আমলা থেকে পুলিশ সবারই শোষণের হাতিয়ার সাধারণ মানুষ।

মূলত: সাধারণ মানুষের পিঠ অনেক আগেই দেয়ালে ঠেকে গেছে। কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষ ঘুরে দাড়ায়নি। ঘুরে দাড়ানোর প্রবণতা ও চেতনা কোনোটাই পায়নি। বিশেষভাবে পায়নি রুহানী নির্দেশনা ও গায়েবী মদদ। বলাচলে সাধারণ মানুষ গভীর ক্রান্তিকাল কাটাচ্ছে। কিন্তু এর অবসানের সময় হয়েছে। সহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আবির্ভূত হয়েছে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে যামান, মুজাদ্দিদে আ’যম আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি। উনার অনন্য মুবারক কারামতেই সাধারণ মানুষের কাছে আজ দু’নেত্রী, দুদল তথা নির্বাচন ও রাজনৈতিক দলভিত্তিক হারাম গণতন্ত্রের কুফল, হরতাল, সহিংসতা, লুটপাট, দুর্নীতি, জননিপীড়ন ও জনশোষন ইত্যাদি ঘৃণ্য কর্মকা- পরিষ্কার ও প্রকট।

তাই সাধারণ মানুষকে আজ শুধু দু’নেত্রী বা দু’দলকেই খারাপ জানলে চলবেনা, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার অনবদ্য তাজদীদ মুবারক- ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন হারাম’- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এই ফতওয়া মুবারকও অকুণ্ঠভাবে গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ মানুষেরই রয়েছে অসাধারণ ক্ষমতা। উনারা আগামী সব নির্বাচনকে একযোগে বয়কট করে সে ক্ষমতা দেখিয়ে দিতে পারেন। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও হারাম রাজনীতি তথা গণতন্ত্রকে অচল করে দিতে পারেন।

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।