চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৫১

সংখ্যা: ২১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা

ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে এবং সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর অর্থে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সারাবিশ্বে একটি

হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের অলীক স্বপ্ন নিয়ে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

*** নামে এই সংগঠনটি সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে অর্থাৎ সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন করার পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং এ সম্পর্কে ৯০টি খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ণিত শরীয়তের খিলাফ এই মনগড়া যুক্তির শরীয়তসম্মত এবং সঠিক মতামত প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যেন সাধারণ মুসলমানগণ চাঁদের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তারা লিখেছে-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

৪১ নম্বর মত: কোন ত্রুটিযুক্ত পদ্ধতি, আল্লাহ পাক উনার পদ্ধতি হতে পারে না।

৪১ নম্বর মতে জাওয়াব: মহান আল্লাহ পাক উনার সকল পদ্ধতি নিখুঁত, ত্রুটিহীন তা মানুষের উপলব্ধিতে আসুক আর না আসুক। আর এর বিপরীতে মত প্রকাশ করা তো দূরে থাক, চিন্তা করাও কাট্টা কুফরী ও হারাম। কিন্তু আরবী মাস শুরু করতে হবে চাঁদ দেখে, অমবস্যা অনুযায়ী নয় এবং এটাই মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ। এখন চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার বিষয়টি যদি কারো উপলব্ধিতে না আসে তবে সেটা তার কাছে ত্রুটিযুক্ত, আর অমাবস্যা অনুযায়ী মাস শুরুর বিষয়টি তার বোধগম্যের মধ্যে হলেই তা ত্রুটিহীন বলতে হবে- এটাও স্পষ্ট মুর্খতা। বান্দার দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে পরিপূর্ণভাবে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অনুসরণ করা। আর তা বুঝতে সক্ষম না হলে আওলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের শরণাপন্ন হতে হবে, যাঁরা উলিল আমর বা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ।

৪২ নম্বর মত: বিজ্ঞানীরা ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে অমাবস্যার তথ্য সঠিকভাবে আগাম বলতে পারে।

৪২ নম্বর মতের জাওয়াব: ক্যালকুলেশনের সাহায্যে অমবস্যার তথ্য দেয়ার বিজ্ঞানীদের যোগ্যতা মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ এর অন্তর্ভুক্ত। এখানে মানুষের কৃতিত্ব মনে করাটা অর্থহীন।

এখন শুধু চাঁদের অমাবস্যার তথ্য নয়, মানুষ মঙ্গলগ্রহের তথ্য, শুক্রগ্রহের তথ্য এরূপ নানা গ্রহ নক্ষত্রের তথ্য জানতে পেরেছে। তাই বলে কি আরবী মাস চাঁদের পরিবর্তে অন্য কোন গ্রহ দেখে শুরু হবে, না তা কখনোই নয়। কারণ অন্য কোন গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান অনুযায়ী আরবী মাস শুরু করার কোন নির্দেশ শরীয়তে নেই, একইভাবে চাঁদের অমাবস্যা অনুযায়ীও আরবী মাস শুরু করার ব্যাপারে শরীয়তের কোন নির্দেশ নেই। অমাবস্যা সম্পর্কে মানুষের যত গভীর জ্ঞানই থাকুক না কেন তা মাস শুরুর ক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না। শরীয়তের নির্দেশ হচ্ছে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা।

আরেকটি বিষয় বর্ণনাকারীদের মনে রাখা উচিত, মহান আল্লাহ পাক যা প্রকাশ করেছেন তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত, যা গোপন রাখতে চেয়েছেন তাকে জানার চেষ্টা হচ্ছে ধৃষ্টতা। আরবী মাস শুরু করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট নির্দেশ হচ্ছে ২৯তম তারিখে চাঁদ তালাশ করতে হবে, দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করতে হবে। এখন নিশ্চিতভাবে কোন দেশে, কোন অঞ্চলে, কোন স্থানে, কোন সময় দেখা যাবেই তা নির্ণয়ের চেষ্টা করাটা বাহুল্য সময় নষ্ট মাত্র। চাঁদ খোঁজার আদেশ পালনের জন্য কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বোঝার জন্য যতটুকু ইলম হাছিল করা দরকার ততটুকুই করতে হবে। বান্দার উচিত শরীয়তের নির্দেশ পালনের প্রতি অবিচল থাকা।

বিশ্বের জন্য ১৪৩৩ হিজরীর পবিত্র

ছফর মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২৪ ডিসেম্বর-২০১১, শনিবার, সন্ধ্যা ৬টা ০৬ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)।

অমাবস্যার দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর-২০১১, শনিবার, সউদী আরবে পবিত্র ছফর মাসের চাঁদ দেখা যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩৩ হিজরীর পবিত্র

ছফর মাসের চাঁদের রিপোর্ট

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ২৫ ডিসেম্বর-২০১১, রবিবার, রাত ১২টা ০৬মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র ছফর মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ২৫ ডিসেম্বর-২০১১ সন্ধ্যায়।

সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৯ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ০৩ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য ৪৩ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ৮ ডিগ্রী ৪০ মিনিট উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৪৩ ডিগ্রী আজিমাতে। সূর্যের আজিমাত হবে ২৪৪.৫ ডিগ্রি। সেদিন চাঁদ দেখা যেতেও পারে।

প্রসঙ্গ : তুরস্কের পর তিউনিশিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে জয়।

কোনো মুসলমান দেশেই ধর্মনিরপেক্ষতা স্থায়ীভাবে আসন গাড়তে পারে না।

ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে চলে নিকৃষ্ট ও নির্মম ধর্মহীনতা।

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

ভূমধ্যসাগরের তীরে এবং আলজেরিয়া ও লিবিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া। প্রাচীন কার্থেজ নগরী এখানেই অবস্থিত। এই দেশের ঐতিহ্যের কথা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রিয়।

ঈসায়ী পূর্ব ১২ শতকে ফিনিশীয়রা উত্তর আফ্রিকার সমুদ্র উপকূলে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। আজকের তিউনিশিয়ার অধিকাংশ অংশ ঈসায়ীপূর্ব ৬ শতকে কার্থেজ রাজ্যের অংশ ছিল। ১৪৬ ঈসায়ী সাল থেকে তিউনিশিয়া রোমান শাসনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ৭ শতকে মুসলিম বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত রোমান আধিপত্য বজায় থাকে। এটি ১৫৭৪ সালে তুরস্কের অটোম্যান সা¤্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৮৩ সালে দেশটি ক্রুসেডীয় ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যায়। ১৯৫৫ সালে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে এবং ১৯৫৬ সালে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর রাষ্ট্রপতি হাবিব বর্ডরগাইবা এখানে একটি এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৫৬ সালে হানাদার ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার আগে তিউনিশিয়ায় কঠোরভাবে সেক্যুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট হাবিব বুরগুইবা ছিল মনেপ্রাণে সেক্যুলার এবং সে ইসলামকে রাষ্ট্রের জন্য একটা বড় হুমকি মনে করতো। এরপর ১৯৮৭ সালে যখন বিন আলী সাবেক প্রেসিডেন্ট বুরগুইবাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজে ক্ষমতা দখল করলো তখন সে কারাগার থেকে ইসলামী আন্দোলনের বহু নেতাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দিলো এবং তাদেরকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিলো। অবশ্য পরের ঘটনা ভিন্ন রকম। নির্বাচনের ফলাফলে বিন আলী অবাক হলো এবং সে ইসলামপন্থীদের প্রাপ্ত ভোটে শঙ্কিত হয়ে পড়লো। তিউনিশিয়ার সবচেয়ে বড় ইসলামী দল আননাহদাহ বা নবজাগরণ সরকারিভাবে ভোট পেল শতকরা ১৭ ভাগ এবং দেশটিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। এর অবস্থান দাঁড়াল ক্ষমতাসীন দলের পরেই। ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কারচুপি করা হয়। এ কারণে সে সময় আননাহদাহ দলের ভোট শতকরা ১৭ ভাগ দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইসলামী এ দলটির প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ হতো। অথচ ওই নির্বাচনে সেক্যুলারপন্থী সব বিরোধীদলের সম্মিলিত ভোট ছিল শতকরা মাত্র তিন ভাগ।

১৯৮৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরপরই বিন আলী তার নীতি পরিবর্তন করলো। সে আবার আননাহদাহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং এর সমর্থকদের ধরে ধরে জেলে পুরলো। এছাড়া ইসলামের প্রতি যারাই একটু সহানুভূতি দেখালেন তাদের উপর চলল ভয়াবহ দমন-পীড়ন। সে বছরই আননাহদাহ দলের নেতা শেখ রশিদ ঘানুচিকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হলো। গত ২৩ অক্টোবর তিউনিশিয়ায় প্রেসিডেন্ট জিনেদিন বিন আলির পতনের পর সেদেশে রবিবার প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, তিউনিশিয়ার নতুন সংবিধান প্রণয়নে ইসলামপন্থীরা প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে পারবেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, ২১৭ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টে তারা কমপক্ষে শতকরা ৩০ ভাগ আসন পাবেন। অবশ্য অনেকে মনে করেন, আননাহদাহ পার্টি শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ ভোট পেতে যাচ্ছে।

রোববারের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্ট তিউনিশিয়ার জন্য একটি নয়া সংবিধান প্রণয়ন করবে। আননাহদাহ পার্টি বলেছে, তারা ক্ষমতায় গেলে দেশে শরীয়াহ বা ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করবেন। এখন পার্লামেন্টে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে আননাহদাহ স্বাভাবিকভাবেই দেশটির সংবিধান প্রণয়নে প্রধান ভূমিকা রাখবে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে পরবর্তীতে সংবিধান ইসলামী আইন অনুযায়ী প্রণীত হতে যাচ্ছে। তিউনিশিয়ায় আননাহদাহ পার্টির এ বিজয় মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার গণআন্দোলন সফল হওয়া অন্য দেশগুলোর ইসলামপন্থী দলের বিজয়ের সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিউনিশিয়ার আগে তুরস্কেও ইসলামপন্থীদের বিরাট বিজয় সূচিত হয়। এ বিজয় নামধারী মুসলমানদের গৃহীত নীতি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। তুরস্কে অতীতে সেক্যুলার সরকারের আমলে তুরস্কের সেনাবাহিনীতে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে চরম বিদ্বেষী ও শত্রুতামূলক আচরণ করা হয়েছে সে সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ইসলামপন্থীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি অভিযান চালানো হতো। এসব অভিযান চালিয়ে কারো বাড়িতে কুরআন শরীফ পাওয়া গেলে কিংবা কারো স্ত্রী অথবা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ হিজাব বা পর্দা করলে অথবা কেউ নামায-রোযা করলে বা ইসলামী অনুশাসন মেনে চললে তাদেরকে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হতো। এসবই করা হতো সংবিধানের দোহাই দিয়ে। কারণ সে সময় তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান বলবত ছিল।

 

উল্লেখ্য, ধর্মনিরপেক্ষতা যে কত নিকৃষ্ট ও নির্মম ধর্মহীনতা হতে পারে তার বড় উদাহরণ তুরস্ক ও তিউনিশিয়া। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে যে, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে কখনও ধর্মনিরপেক্ষতা স্থায়ী আসন গড়ে উঠতে পারে না। আজ হোক অথবা কাল হোক- এর অবসান হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন হারাম তারপরেও তুরস্ক ও তিউনিশিয়ার এ বাস্তবতা থেকে আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা যত তাড়াতাড়ি নছীহত গ্রহণ করবে ততই সবার জন্য মঙ্গল। কারণ এ ঘটনা এদেশের মুসলমানদেরও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের গণচেতনা জাগরিত করবে।

মূলত, এসব দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই কেবলমাত্র তা লাভ সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবুবে রব্বানী

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।