জাতিসংঘ? না ইহুদীসংঘ? জাতিসংঘ কেন সব সনদ সাক্ষর করতে বাংলাদেশকে বাধ্য করে? সম্প্রতি সমকামিতা গ্রহণে বাংলাদেশকে বাধ্য করা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নারীনীতিসহ আরো অন্যান্য ঘৃণ্য ও কুফরী নীতিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সাক্ষর করে বসেছে। যা সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্মত মোটেই নয় বরং ঘোরবিরোধী। ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশ জাতিসংঘকে সীকার করতে পারেনা। এর কোনো সনদে সাক্ষরও করতে পারেনা

সংখ্যা: ২২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমকামী বিয়েকে আবারও না বলেছে বাংলাদেশ। এ বিয়েকে বৈধতা দেয়ার জন্য জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিয়েকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় বাংলাদেশে। তাই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। গত পরশু এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন ডিএনএ। ‘বাংলাদেশ রিফিউজেজ টু অ্যাবোলিশ ক্রিমিনালাইজেশন অব কনন্সেয়াল সেম-সেক্স টাইস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ২৪তম নিয়মিত অধিবেশনে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউয়ে বাংলাদেশকে সমকামী বিয়ের পক্ষে সুপারিশ করে। এতে বাংলাদেশ সরকারকে ৩৭৭ নম্বর সেকশন বাতিল করতে বলা হয়। ওই ধারায় সমকামী বিয়েকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এ সুপারিশ মেনে নেয়নি। এ নিয়ে দু’বার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের এ সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম ওই ধারাটি বাতিল করতে সুপারিশ করা হয়েছিল। বর্তমানে জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল হান্নান। সে রিভিউ সেশনে বলেছে, বাংলাদেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে এই সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘ মূলত সব সময় ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশকে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিরোধী মহা কুফরী সনদ তথা বিশেষত পারিবারিক মূল্যবোধ ভঙ্গকারী সনদে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে এবং অনেকাংশে সফলও হয়েছে। জাতিসংঘের নারীনীতিমালা এর বড় উদাহরণ।

আন্তর্জাতিক সেক্যুলার গোষ্ঠী দীর্ঘদিন থেকেই অর্থ ও জনবল দিয়ে নারীদের অধিকার নষ্ট করার প্রচেষ্টায় আছে। তাদের ঘৃণ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মনোহর সব শিরোনামে বিশ্বে অসংখ্য সেমিনার করছে। এসব কর্ম বাস্তবায়ন তারা বাস্তবায়ন করছে নিজেদের দোসর জাতিসংঘের মাধ্যমে। কিছু দিন পর পরই তারা নারী-অধিকার রক্ষার নাম নিয়ে সেমিনার করে নানান ঘোষণা ও প্রস্তাবনা পেশ করে। জাতিসংঘে গঠন করা হয়েছে- ‘কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন’

(Commission on the Status of Women)|

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ** (বাহ্যিক বেশভূষা হতে পারে ধোঁকা দেয়ার হাতিয়ার।) জাতিসংঘ থেকে ঘোষিত প্রতিটি প্রস্তাবনার আছে চমৎকার শিরোনাম। কিন্তু সামান্যমাত্র বিষয়বিত্তিক অধ্যয়ন করলে এ কথাটি পরিষ্কার হয়- নারীর অধিকার রক্ষা করা তো দূরের কথা, এর ধারাগুলো পৃথিবীতে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম মূল্যবোধকে সমূলে মিটিয়ে দিতে চায়। তারা সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম উনাদের কালচারের বদলে নিয়ে আসতে চায় এক ও অভিন্ন পশ্চিমা নষ্ট কালচার। আমাদের সমাজ বাস্তবতাকে থুড়ি মেরে সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি জীবনব্যবস্থাকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে তারা সদা-তৎপর। এমনকি আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিবারব্যবস্থাতে হস্তক্ষেপ করে স্বামী-স্ত্রী, মা-ছেলে ও বাবা-মেয়ের ব্যক্তিগত লাইফ স্টাইলে সংঘাত সৃষ্টি করছে। আর এসবের পেছনে আছে নান্দনিক এক দর্শন- নারীর উপর থেকে সবধরনের অন্যায়-অবিচারের মূলোৎপাটন।

গেল ৪ থেকে ১৫ মার্চ ২০১৩ কমিশনের নিউইয়র্কস্থ প্রধান কার্যালয়ে

Elimination and prevention of all forms of violence against women and girls ‘নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সবধরনের হিংস্রতার প্রতিরোধ ও মূলোৎপাটন’ শীর্ষক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল এ কমিশনের ৫৭তম বৈঠক। যাতে নানা রকমের মুখরোচক বিল পাস করা হয়। এ দাবিগুলোর প্রধান দাবি ছিল- যুবতী মেয়েদেরকে অবাধ একান্তবাস-সাধীনতা প্রদান করা, সমকামীদের অধিকার দেয়া। (নাঊযুবিল্লাহ) আর এগুলোর পেছনে লজিক হলো- জেন্ডার (লিঙ্গ)-নির্ভর হিংস্রতার (Gender-based violence) মূলোৎপাটন। কারণ, জেন্ডারের মধ্যে নারী-পুরুষ সবাই সমান। সুতরাং জেন্ডারের সাম্যতা মানে, সমকামী ও সাভাবিক ব্যক্তিদের মধ্যে কোন ফারাক নেই। যেরকম সাভাবিক ব্যক্তির একান্তবাস-চর্চার অধিকার আছে। তেমন সমকামী ব্যক্তির তার নিজস¦ পদ্ধতির একান্তবাস -চর্চার অধিকার থাকা উচিত। নারী ও পুরুষের সাথে আচরণে যে কোন ধরণের বৈষম্যকে Gender-based violence) লিঙ্গ-নির্ভর হিংস্রতা বলে গণ্য করা হবে। সুতরাং ব্যভিচারী ও সমকামীকে শাস্তি প্রদান করা দন্ডনীয় অপরাধ, কারণ এটা ব্যক্তি-সাধীনতায় হস্তক্ষেপ! (নাঊযুবিল্লাহ)

বিলে পাশকৃত দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকটি ধারা হলো :

১. অভিভাবকত্বের ((Guardianship) পরিবর্তে (Partnership)) অংশীদারিত্ব পদ্ধতির বাস্তবায়ন। পরিবারের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, সামী-স্ত্রী উভয়েই সমান দায়িত্ব আদায় করা। অর্থাৎ ঘরের রান্না-বান্নার কাজ, বাজার খরচ, সন্তানদের দেখভাল করা ও গৃহস্থালীর সব কাজ-কর্ম জামাই-বউ দুজনে ভাগাভাগি করে করতে হবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

২. বিবাহ আইনে সবরকমের বৈষম্যের উৎপাটন। যেমন- বহুবিবাহ, মোহর প্রদান, পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সরবরাহ, পোশাক-পরিচ্ছদ ক্রয় করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তথা আহার, বাসস্থান ইত্যাদি কাজের একক দায়িত্ব থেকে পুরুষকে অব্যাহতি দিয়ে নারীকেও সমান দায়িত্ব প্রদান করা। মুসলমান নারীর অন্য ধর্মের পুরুষের সাথে বিয়ের অধিকার প্রদান করা । (নাঊযুবিল্লাহ)

৩. উত্তরাধিকার আইনে সাম্যতা বজায় রাখা। (নাঊযুবিল্লাহ)

৪. ভ্রমণ, চাকরি, গর্ভপাতে ঘটানো ইত্যাদি কাজে স্ত্রীর জন্য সামীর অনুমতির বিষয়টির অবসান ঘটানো। (নাঊযুবিল্লাহ)

৫. তালাক দেয়ার ক্ষমতাকে পুরুষের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিচার ব্যবস্থার হাতে অর্পণ করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

৬. স্ত্রীকে তার সামীর বিরুদ্ধে সম্ভ্রমহরণ ও নারী-টিজিংয়ের অভিযোগ তোলার অধিকার প্রদান করা। একজন সম্ভ্রমহরণকারী ও একান্তবাস-হয়রানিকারীকে যে শাস্তি দেয়া হয়, সামীকেও সমান শাস্তি প্রদান করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

৭. মেয়েদেরকে অবাধ একান্তবাস-চর্চার অনুমতি প্রদান করা। সাথে সাথে নারীদেরকে নিজস একান্তবাস-সঙ্গী বাছাই করতে বিষয়টি তাদের পছন্দের উপর ছেড়ে দেয়া। মানে একান্তবাস-সঙ্গী সাভাবিক হবে না একই লিঙ্গের সমকামী হবে- এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আটারো বছরের নিচে বিয়েকে আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

৮. কিশোরী মেয়েদের গর্ভপাতের সরঞ্জাম সুলভে সরবরাহ করা। তাদেরকে নিরাপদভাবে তা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া। একান্তবাস-অধিকার, অপছন্দনীয় ভ্রুণের গর্ভপাত করাকে বৈধতা প্রদান করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

৯. অবিবাহিত লাইফ পার্টনারকে সামীর মর্যাদা প্রদান করা। বৈধ-অবৈধ সন্তানের ক্ষেত্রে আলাদা কোন পরিভাষা ব্যবহার না করা। আইনের ক্ষেত্রে দুজনকে সমানভাবে ব্যবহার করা। অর্থাৎ যেভাবে একজন বৈধ সন্তান উত্তরাধিকারী হয়, তেমনিভাবে একজন জারজকে বৈধ উত্তরাধিকারী গণ্য করে সম্পত্তি বণ্টনে তার অংশ প্রদান করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

১০. সমকামীদেরকে সবধরনের অধিকার প্রদান এবং তাদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও সেফগার্ড সরবরাহ করা। পতিতাদেরকে যথাযথ সেফটি প্রদান করা। (নাঊযুবিল্লাহ)

 -মুহম্মদ জিসান আরীফ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।