ঢাকার বাতাসে বাড়ছে সিসা ও নিকেল। পরিবেশ অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ বলছে, ঢাকার বায়ুমান সূচক ২৬৯ যা কি-না লাল ক্যাটাগরিতে রয়েছে। বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় কারণ রাজধানীতে অপরিকল্পিত কথিত উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশে বছরে বায়ুদূষণের কারণে লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যায় ভোগে অনেকেই। পরিবেশ অধিদফতর আরো বলছে, সম্মিলিত উদ্যোগ আর আইন প্রয়োগ কঠোর না হলে বায়ুদূষণ রোধ করা যাবে না।

সংখ্যা: ২৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ঢাকার পথের ধুলোয় সর্বোচ্চ মাত্রায় সিসা, ক্যাডমিয়াম, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নিকেল, আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের অস্তিত্ব মিলেছে। মাটিতে যতটা ক্যাডমিয়াম থাকা স্বাভাবিক, ঢাকায় পদার্থটি পাওয়া গেছে এর চেয়ে ২০০ গুণ বেশি। ক্যাডমিয়ামকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে শনাক্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার। বিশেষ করে প্রোটেস্ট ও লাং ক্যান্সারের সঙ্গে এর সংযোগ রয়েছে। অস্টিওপরোসিস ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো পাঁচটি বায়ুদূষণকারী উপাদানের সঙ্গে এটিকে নিষিদ্ধ করেছে। বাতাসে নির্ধারিত মাত্রায় বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এসব ধাতু নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বাতাসে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার চারপাশে প্রায় ১ হাজার ইটভাটা নভেম্বর থেকে চালু হয়। সেগুলো এই বায়ুদূষণের জন্য ৫৮% দায়ী। এ ছাড়া রোড ও সয়েল ডাস্ট জন্য ১৮%, যানবাহন ১০%, বায়োমাস পোড়ানো ৮% ও অন্যান্য ৬% রয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে ৭ লাখেরও অধিক মানুষ ভুগছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়। সর্বশেষ বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ২২ হাজার ৪শ’ মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারণের জন্য প্রধান নিয়ামক বায়ু এখন জীবনঘাতি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঢাকা শহরে শুধু গাড়ির ধোঁয়া থেকে বছরে প্রায় তিন হাজার ৭০০ টন সূক্ষ্ম বন্তুকতা প্রতিনিয়ত বাতাসে ছড়াচ্ছে। বাতাসে এ সূক্ষ্মকতার মাত্রা বাড়ার ফলে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের সর্দি, কাশি, হাঁপানি, এলার্জি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মনোঅক্সাইড বেড়ে যাওয়াতে ফুসফুসে ক্যান্সারও হতে পারে। বাতাসে ভাসতে থাকা সিসা শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

এই বায়ু দূষণের কারণে দিন দিন জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে। বাতাসের বিষাক্ত সিসা, কার্বন ডাই অক্সসাইড, কার্বন মন অক্সসাইড, সালফার বাতসের ধূলিকতায় নিঃশ্বাসের সাথে শ্বাস প্রণালীতে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যান্সার, কিডনী ডেমেজ, লিভারে সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। নানা ধরণের জটিল রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে আক্রান্ত শিশুরা।

মূলত, জনস্বাস্থ্যের প্রতি সরকারের অবহেলা এবং এই সকল দূষণের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক কঠোর আইন প্রয়োগে গাফলতির কারণেই আজকে দেশের পরিবেশ ভারসাম্য বিপর্যস্ত হতে চলেছে। বাংলাদেশে সব রকমের দূষণ দূর করার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ আইন রয়েছে। কিন্তু সেই আইন শুধু কাগজেই রয়ে গেছে। বাস্তবায়নের ছোঁয়া কোনোসময়ই দেশবাসী পায়নি। উল্টো এই দূষণে অংশগ্রহণ করছে খোদ সরকারই। রাজধানীতে প্রতিদিন ৩ কোটি টন বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা জোরেসোরে বলা হলেও তার কোনো কার্যকারিতা নেই। নগরীতে প্রয়োজন ২৬০ বর্গকিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন, কিন্তু রয়েছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মাতুয়াইলে যে একটি ল্যান্ডফিল রয়েছে, সেখানে ১৭শ টন বর্জ্য দৈনিক ফেলা হচ্ছে। বাকি ১৩শ টন বর্জ্য রাজধানী ও তার আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ডিসিসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাজধানীতে বর্তমানে ৪ হাজার ৫০০ ডাস্টবিন, এগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ডাস্টবিন উপচে যত্রতত্র বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে দূষণ ঘটাচ্ছে পরিবেশের। ওইসব বর্জ্য থেকে দূষিত হচ্ছে বায়ু। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন ভ্রক্ষেপই নেই।

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, দূষণ রোধে সরকারের উচিত- আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ দূষণ রোধে সরকারের কোনো বাজেট নেই। যা যুগপৎভাবে সরকারের অজ্ঞতা ও অবহেলা প্রমাণ করে। তবে এ বিষয়ে আরো প্রনিধানযোগ্য হলো- যে যত বাজেটই করা হোক সব বাজেটই ব্যার্থতায় পর্যবষিত হবে যদি রাজধানীর জনজটের জঞ্জাল পরিস্কার করা না হয়। অর্থাৎ রাজধানীর অসম্ভব জনজটকে স্থানান্তর করা না হয়। রাজধানী মুখী প্রবণতার প্রবাহকে ঘুরিয়ে না দেয়া হয়। রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণ না করা হয় এবং বিকেন্দ্রীকরণের জন্য যা যা শর্ত তথা অন্য জেলাগুলোকে সব সুযোগ সুবিধায় পূর্ণ করা না হয়। কারণ আর তা না করা হতে রাজধানীতে জড় হওয়ার মনোবৃত্তি ঠেকানো যাবেনা। আর তাতে করে দুষণমুক্ত নিরাপদ রাজধানীও নিশ্চিত করা যাবেনা।

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের  বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের জন্য ফরয হলো: দেশের নাগরিকদের নিরাপদ নগরী হাদিয়া করা। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিরাপদ নগরীর কথা ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ নিরাপদ নগরীতেই বসবাস করা সুন্নত। সুবহানাল্লাহ! নগর তথা দেশের ৯৮ ভাগ নাগরিক মুসলমানরা সেই মহান সুন্নত মুবারক আদায় করতে চান।

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী, ঢাকা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।