তাফসীরুল: কুরআন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

ততরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের নিকট তোমাদের মহিমান্বিত রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। (আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উম্মতদেরকে) আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল ও মহাসম্মানিত রহমত স¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছে, তাদের সমস্ত ইবাদত থেকে উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: মূলতঃ যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অনন্তকালের জন্য ছানা-ছিফত মুবারক করতঃ খুশি মুবারক প্রকাশ করে যাচ্ছেন।

অনুরূপভাবে মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা উম্মতের অন্তর্ভুক্ত- ফেরেশ্তা, জিন, ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড়, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত, জীব- জড় সকলের জন্য উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতঃ খুশি মুবারক প্রকাশ করা ফরয-ওয়াজিব করে দিয়েছেন। যা পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-

إِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَاۤ أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রকৃত ব্যাখ্যা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত খলীফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেটা হচ্ছে, উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে দু’টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। (এক) পবিত্র ছলাত শরীফ। যার ব্যাখ্যা গত ২৮৭তম সংখ্যায় পেশ করা হয়েছে। (দুই) পবিত্র সালাম শরীফ। যার ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছে পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ খানা। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمً

অর্থ: আপনার মহান রব তায়ালা উনার কসম! লোকেরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্তকে বিনা দ্বিধায় মেনে না নিবে। এমনকি আপনার মুবারক ফায়ছালার ক্ষেত্রে তাদের অন্তরে কোন সংশয়, সন্দেহ বা সংকীর্ণতা থাকতে পারবে না। বরং সন্তুষ্টচিত্তে, সর্বান্তকরণে তা মেনে নিতে হবে।

অতএব, মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে উনার প্রতি ঈমান মুবারক আনার পাশাপাশি উনাকে নিজের জানের চেয়েও বেশি মুহব্বত করতে হবে, উনার প্রতি সর্বোচ্চ সুধারণা পোষণ করতে হবে, উনার খিদমত মুবারকে সর্বাধিক আন্জাম দিতে হবে, উনাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করতে হবে, দায়েমীভাবে উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে এবং উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী