তাফসীরুল কুরআন সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ. وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের মহাসম্মানিত রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। (অতএব, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল ও মহাসম্মানিত রহমতস¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশের ইবাদত হচ্ছে তাদের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যিনি খ্বালিক মালিক রব্বুল আলামীন উনার নিকট থেকে ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় কল্যাণ ও কামিয়াবী দানের লক্ষ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত ও রহমত হিসেবে মানুষের নিকট তথা কায়িনাতবাসীর নিকট তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত ও রহমত মুবারক স্বরূপ পাওয়ার কারণে কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। কেননা এই খুশি মুবারক প্রকাশের আমল বা ইবাদতই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। এবং চূড়ান্ত কামিয়াবী হাছিলের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ওসীলা। সুবহানাল্লাহ!

মূলতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ও উনার নূরুল কুদরত মুবারক বা মহাপবিত্র অজুদ মুবারক এবং মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক এককথায় মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার আমল মুবারক সর্বশ্রেষ্ঠ আমল মুবারক এজন্য যে, এ মহাপবিত্র আমল মুবারক যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই করেন এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও করেন এবং অন্য সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারাও করেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও করেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা করেন এবং হযরত তাবিয়ীনে কিরাম, ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও করেন এবং ক্বিয়ামত অবধি ও তার পরেও কবরে, হাশরে, নশরে, মীযানে, পুলছিরাতে, জান্নাতে গিয়েও অনন্তকাল ধরে করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত খলীফাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, আহলু বাইতে রসূল, নূরে মুকাররাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

আর এ লক্ষ্যেই তিনি জারি করেছেন অনন্তকাল ব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!

যা বর্তমানে উনার মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্মানিত সুন্নতী জামে মসজিদে প্রতিদিন বা’দ মাগরিব হতে বা’দ ইশা পর্যন্ত পালিত হয়ে আসছে। সুবহানাল্লাহ!

ছলাতুল মাগরিব শেষে পবিত্র যিকির হয়। অতঃপর আনজুমান ভিত্তিক আলোচকগণ আলোচনা করেন। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত দিন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা’দ মাগরিব পবিত্র যিকিরের পর পবিত্র ছলাতুল ইশা উনার পূর্ব পর্যন্ত কয়েক জন আলোচক আলোচনা করেন। এরপর মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সার্বিক বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা প্রদান করা হয়। অতঃপর ছলাতুল ইশা নামায পড়ার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে না’তু হযরত উম্মি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ  করা হয়।

উক্ত পবিত্র না’ত শরীফ পাঠের পর সম্মিলিতভাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ, তাওয়াল্লুদ শরীফ এবং পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হয়। অতঃপর যামানার সুমহান ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আহলে বাইতে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মহামূল্যবান নছীহত মুবারক করেন, বাইয়াত করান এবং দুআ মুবারক করেন এবং ছোহবত ও যিয়ারত মুবারক দানে লোকজনকে ধন্য করেন। অতঃপর খাছ যিয়ারত মুবারক শেষে তবারুক বণ্টন ও বিতরণ করা হয়। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়া সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে অবস্থানকালীন বছরের সাথে মিল রেখে ইন্তিজাম করা হয় সুদীর্ঘ ৬৩ দিন ব্যাপী মাহফিল। সুবহানাল্লাহ! তন্মধ্যে প্রথম ৩০ দিন হচ্ছে প্রতিযোগিতা মাহফিল, দ্বিতীয় ৩০ দিন হচ্ছে ওয়াজ শরীফ মাহফিল এবং তৃতীয় ৩ দিন হচ্ছে সামা’ শরীফ মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!

শুধু তাই নয়, সাইয়্যিদু সাইয়্যিল আ’দাদ শরীফ মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উপলক্ষে প্রতি মাসে ইন্তিজাম করা হয় কোটি কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল। উক্ত দিনে পুরো রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্পটে  পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে তবারুক বিতরণ করা হয়। সুবহানাল্লাহ!

একইভাবে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আহলু বাইতি রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সরাসরি মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় রাজারবাগ দরবার শরীফস্থ মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসায় প্রতিদিন দুপুর ১২:৪০ মিনিট থেকে ‘ফালইয়াফরহূ’ মাহফিল অনুষ্টিত হয়।

এখানেই শেষ নয়, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আরো ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন অতিসত্বর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাপবিত্র দিবস ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম উপলক্ষে পুরো রাজধানী ঢাকা শহরব্যাপী পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলের ইন্তিজাম করতঃ তবারুক বিতরণ করবেন ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!

 

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী