তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: উক্ত খুশি প্রকাশের ইবাদত বা আমল মুবারক বান্দা-বান্দী বা উম্মত কত সময়ব্যাপী করবে সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা ফাত্হ শরীফ উনার ৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

انا ارسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا لتؤمنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا

অর্থ: (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (উম্মতের মধ্যে) প্রেরণ করেছি সাক্ষ্য দানকারী, সুসংবাদ দানকারী, সতর্ককারী হিসেবে। অতএব, উম্মতের জন্য আবশ্যক তথা ফরয হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনা এবং উনার খিদমত করা, উনাকে সম্মান করা এবং উনারই ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা থেকে সকাল তথা সদাসর্বদা।

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তিরমিযী শরীফ ও মিশকাত শরীফ ইত্যাদি কিতাবসমূহে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন দিন-রাত্রির পূরো সময় ব্যাপী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন তখন নূরে মুজাসসাম  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- তা যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনার সমস্ত আকাঙ্খা পূর্ণ করা হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতা ক্ষমা করা হবে। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওজূদ পাক এবং উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করে যে মাহফিলের আয়োজন করা হয় উক্ত মাহফিলের সংক্ষিপ্ত নাম মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সাইয়্যিদ অর্থ শ্রেষ্ঠ, প্রধান এবং আ’ইয়াদ শব্দটি ঈদ শব্দের বহুবচন যার অর্থ খুশি বা আনন্দ আর শরীফ অর্থ হচ্ছে সম্মানিত। অর্থাৎ সমস্ত ঈদ, আনন্দ বা খুশি প্রকাশের উপলক্ষ্য হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, উনার জন্যেই বা উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় খুশি, বড় আনন্দ বা বড় ঈদ আর উক্ত খুশি প্রকাশের আরবী নাম মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মোটকথা, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মানেই হচ্ছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওজূদ পাক, যাত পাক, বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করা। এ উপলক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা, উনাকে  তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান করা এবং উনার খিদমত মুবারক করা। আর এসবকিছু আঞ্জাম দেয়ার লক্ষ্যে মাহফিলের আয়োজন করা।

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ এবং উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনুসরণে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সুলত্বানুল আউলিয়া, মাখযানুল মা’রিফাহ, খযীনাতুর রহমাহ, মুঈনুল মিল্লাহ, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নুমা, সুলত্বানুল ‘আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, কুতুবুল ‘আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আল গউছুল আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ শরী‘য়াহ ওয়াত তরীক্বাহ, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, সাইয়্যিদু আওলাদে রসূলিল্লাহ, নূরে মুকাররাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ  উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারী করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী