তাফসীরুল কুরআন সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের মহাসম্মানিত রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। (অতএব, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল ও মহাসম্মানিত রহমত স¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশের ইবাদত হচ্ছে, তাদের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মারফত জানা যায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেকে প্রকাশ করার জন্য সমস্তকিছু সৃষ্টির পূর্বে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করে স্বীয় কুদরত মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করান অতঃপর উনার ওজুদ পাক মহাসম্মানিত নূর মুবারক থেকে সমস্ত মাখলূক্বাত সৃষ্টি করার পর উনাকে সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর যমীনে প্রেরণ করেন। তাই উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হে মানুষেরা! তোমাদের যিনি মহাসম্মানিত রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট তাশরীফ নিয়েছেন মহান নছীহত দানকারী হিসেবে, অন্তরের আরোগ্য দানকারী হিসেবে, মহান হিদায়েত দানকারী হিসেবে এবং খাছভাবে মু’মিনদের জন্য মহান রমহত দানকারী হিসেবে আমার  মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ অপর এক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُوْرٌ

অর্থ: অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট তাশরীফ নিয়েছেন মহাসম্মানিত নূর অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

এখন স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টিকুলের মাঝে, কায়িনাতবাসীর প্রতি তথা উম্মতদের নিকট প্রেরণ করলেন এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও যে অত্যন্ত দয়া পরবশ হয়ে উম্মতের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, অনুগ্রহ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত স্বরূপ তাশরীফ নিলেন, এজন্য উম্মতের প্রতি অবশ্যই করণীয় ও কর্তব্য কিছু বিষয় রয়েছে আর সে বিষয়টিই স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে স্বীয় কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়ে দিয়েছেন যে-

فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا

অর্থাৎ এ কারণে তথা মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান অনুগ্রহ, মহান রহমত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হিসেবে উম্মতরা পাওয়ার কারণে অবশ্যই তারা যেন খুশি মুবারক প্রকাশ করে। আর এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত ইবাদত, সমস্ত বিষয় হতে শ্রেষ্ঠতর। সুবহানাল্লাহ! আর তাই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষভাগে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

এখন ফিকির করতে হবে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করা কি কারণে উম্মতের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর হলো। উম্মত ফিকির করে না তাই তারা বুঝতে পারে না। যার  কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মতের হিদায়েতের জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিষয়গুলি সম্পর্কে সঠিক ইলিম, আক্বীদা ও আমল শিক্ষা দেয়ার জন্য উনার মহাসম্মানিত  হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর উনার মনোনীত খলীফা উনাদেরকে যুগে যুগে প্রেরণ করেন। সেই মনোনীত খলীফা প্রেরণের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে রসূল, আহলে বাইতে রসূল, নূরে মুকাররম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি যমীনের বুকে অবস্থান করছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং তিনি নক্বলী দলীলের মাধ্যমে উম্মাহকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।

কারণ এই সম্মানিত ইবাদত যিনি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই করেন। এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও করেন। শুধু তাই নয়, উনার প্রতি যারা ঈমান আনবে অর্থাৎ যারা মু’মিন মুসলমান হবে তাদেরকে করার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে—

إِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

অতএব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে ছলাত শরীফ পেশ করবে না, দাঁড়িয়ে সালাম শরীফ পেশ করবে না, ছানা—ছিফত  করবে না, তা’যীম—তাকরীম করবে না উনার জন্য খরচ  করবে না, উনাকে অনুসরণ করবে না, মুহব্বত  করবে না, উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত মাস, সম্মানিত দিন, সম্মানিত তারিখে খুশি মুবারক প্রকাশ  করবে না, হাক্বীক্বতে সে মু’মিন নামের অযোগ্য।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী