নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

পর্দা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ঈমানদার মহিলাদেরকে বলুন! তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে।” (সূরা নূর: আয়াত শরীফ ৩১)

আর এই আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, “মেয়েরা পর্দার অধীন থাকবে। কেননা তারা যখন কোথাও বের হয়, তখন শয়তান উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকে পাপ কাজ সংঘটিত করানোর জন্য।” (তিরমিযী, মিশকাত)

উক্ত আয়াত শরীফখানা এবং হাদীছ শরীফখানা এটাই প্রমাণ করে, পর্দার গুরুত্ব বেমেছাল। কিন্তু সমাজের তথাকথিত মানুষগুলো বলে আরেক কথা। ‘মনের পর্দাই বড় পর্দা’- এই একটা বিভ্রান্তিকর ও কুফরী বাক্যের বিনিময়ে তারা নিদারুণ তৃপ্ত! নাঊযুবিল্লাহ!

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টিগুলো আর ক্ষমা করা হবে না।” আর এই কারণে যার যার ঘরেই হোক বা বাইরে হোক চলতে বা যে কোনো অবস্থায় হোক না কেন নিজের চক্ষুকে নিজেই হেফাজত করতে হবে। আর এটা করবে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবিক ‘দৃষ্টিকে অবনত’ রেখেই। আর যখন একজন পুরুষ এবং মহিলা যার যার অবস্থান থেকে পর্দা করবে অর্থাৎ মেয়েরা আপাদমস্তক ঢেকে বের হবে আর ছেলেরা নজরের (দৃষ্টির) পর্দা করবে তখনই মানুষ শয়তান আর জিন শয়তান উঁকিঝুঁকি দিতে পারবে না। পর্দা করার কারণে শয়তান ওয়াসওয়াছা দেয়ার সেই সুযোগই পাবে না ইনশাআল্লাহ।

এখন আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- পর্দা সম্পর্কিত প্রত্যেকটা আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ এবং এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। যদি কেউ শরীয়তের আদেশ-নির্দেশের উপর বিশ্বাস পোষণ করে তবেই তার জন্য রয়েছে সফলতা আর যে বিশ্বাস স্থাপন করবে না তার জন্যই রয়েছে ব্যর্থতা- ইহকালে ও পরকালে।

আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সঠিক আক্বল-সমঝ দান করুন- যাতে প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে হাক্বীক্বী বোধ সৃষ্টি হয়। এই দোয়া ও আরজি জানাচ্ছি যামানার ইমাম, আমাদের প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ক্বদমে। যাতে আমরা সবাই হাক্বীক্বী পর্দানশীন মহিলা হয়ে আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমতের এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ইহসানের মধ্যে থাকতে পারি। আমীন।

আজিমা ফারহা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।