পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনার বিরুদ্ধে ইসরাইলের নয়া ষড়যন্ত্র পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার পুনরুদ্ধার ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইহুদীবাদী ইসরাইল মুসলমান উনাদের প্রথম ক্বিবলা পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার পশ্চিম দিকের প্রবেশ দ্বারে খননকাজ চালাতে গিয়ে দ্বারটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা ইসরাইলের এ ন্যক্কারজনক কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পবিত্র মসজিদুল আকসা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত ধর্মীয় স্থান। বিভিন্ন ধর্মের কাছে ঐতিহাসিক এ পবিত্র মসজিদ উনার গুরুত্ব রয়েছে এবং ১৯৬৭ সালে ইহুদীবাদী ইসরাইল এ পবিত্র মসজিদ দখল করার পর থেকে এটিকে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। ইসরাইলী সেনারা কিছুদিন পরপর নতুন নতুন অজুহাতে পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনার মধ্যে হামলা চালিয়ে এর ক্ষতি করছে। ইহুদীবাদীরা গত ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে এ পবিত্র মসজিদ উনার উপর সর্বশেষ আগ্রাসন চালায়। এবার তারা পবিত্র মসজিদ উনার পশ্চিম দিকের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। ইসরাইলীরা এরই মধ্যে ওই প্রাচীরের নিচে ভূগর্ভস্থ দুটি বৃহৎ হলরুম ধ্বংস করে ফেলেছে। ইসরাইল সরকার বলছে, জেরুযালেম শহরের ইহুদী অধ্যুষিত এলাকার সাথে পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার একটি সংযোগ সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে তারা ওই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। অর্থাৎ ইসরাইল পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার মধ্যে ইহুদীবাদীদের যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়ার অজুহাতে পবিত্র মসজিদ উনার একাংশ ধ্বংসের কাজে হাত দিয়েছে। ইসরাইলীরা পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনাকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু করে ১৯৬৯ সালে এটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে। তখন থেকে এ পর্যন্ত তেলআবিব এ পবিত্র মসজিদ ধবংস করার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইহুদীবাদীরা দাবি করছে, পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার নিচে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানা অবস্থিত এবং সেটিকে খুঁজে বের করার জন্য তারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে হাত দিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, ইহুদীজাতির মুক্তিদাতার আবির্ভাবের সময় এসে গেছে এবং তার আবির্ভাবের ক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্য পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনাকে ধ্বংস করে সেখানে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানা নির্মাণ করতে হবে। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি প্রায় তিন হাজার বছর আগে “হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানা” খ্যাত স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু তার প্রায় চার শতাব্দী পর বাবোলের অধিবাসীরা এটিকে ধ্বংস করে। তবে ওই ইবাদতখানা পুনরায় তৈরি করা হলেও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ উনার ৭০ বছর পর রোম সম্রাট এটিকে ধ্বংস করে দেয়। তবে পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনার নীচে ওই ইবাদতখানার অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিক ও  প্রত্নতত্ববিদরা ব্যাপক সংশয় প্রকাশ করেছে।

বিখ্যাত প্রতœতত্ত্ববিদ মাইর বিন দোউফ ব্যাপক গবেষণা ও বহুবার মসজিদুল আকসা পরিদর্শনের পর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গবেষণার ফলাফল লিখতে গিয়ে বলে যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানা উনার কোন অবস্থায়ই পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনার নিচে অবস্থিত নয়। ইহুদীবাদীরা তাদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে বৈধতা দেয়ার জন্য হলোকাস্টের মতো যেসব কল্পকাহিনী তৈরি করেছে, হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানাও সে রকমেরই একটি কল্পকাহিনী। আরো অনেক ইতিহাসবিদ ও গবেষক মাইর বিন দোউফের এ দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেছে। এদিকে ইহুদীবাদীরাও এতদিন ধরে খননকাজ চালানোর পরও পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার নিচে কোন ধরনের ইবাদতখানা খুঁজে পায়নি। কিন্তু তারপরও হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ইবাদতখানা উনার সন্ধানের অজুহাতে ইহুদীবাদীরা পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার ধ্বংসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ইসরাইলের ১২৫টি উগ্র ইহুদীবাদী গোষ্ঠী পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনাকে ধ্বংস করার দাবি জানাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে।

প্রায় সোয়া ৩শ কোটি মুসলমান উনাদের প্রথম কিবলা জেরুযালেমের মসজিদ আল আকসা এখন আগ্রাসী ইহুদিদের হাতে অবরুদ্ধ। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ঐতিহাসিক স্মৃতিসমৃদ্ধ এ পবিত্র মসজিদ। গোটা পৃথিবীতে অধিকতর মর্যাদাবান তিনটি পবিত্র মসজিদ উনাদের মধ্যে মসজিদ আল আকসা উনার স্থান তৃতীয়। প্রথমটি পবিত্র মক্কা শরীফ তিনি তথা পবিত্র হারাম শরীফ ও দ্বিতীয়টি পবিত্র মদীনা শরীফ তিনি তথা পবিত্র মসজিদুন নবী।

পবিত্র আল আকসা মসজিদ উনাকে ঘিরে অনেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর অর্পিত সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার দায়িত্ব প্রতিপালন করে গেছেন। অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করে আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর বিন খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি জেরুযালেম নগরী জয় করেন ৬৩৭ ঈসায়ীতে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার রজনীতে পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার পাশে যে পাথরের সাথে বুরাক মুবারক বেঁধেছিলেন, সেই পাথরকে কেন্দ্র করে ৬৯১ ঈসায়ীতে উমাইয়া খলীফা আব্দুল মালিক অষ্ট কোণাকার একটি অতুলনীয় স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করেন। ইতিহাসে এটি ‘কুব্বাতুস সাখরা’ ((Dome of the Rock) নামে সমধিক পরিচিতি লাভ করে। এটি মুসলিম স্থাপত্য কীর্তির গৌরবোজ্জ্বল স্বাক্ষর। সেই পবিত্র মসজিদ উনার সন্নিহিত অঞ্চলে নিরাপত্তা বলতে এখন কিছু আর অবশিষ্ট নেই, যেকোনো মুহূর্তে এমনকি নামাযরত অবস্থায়ও সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী ইসরাইলি সেনা মুসলমান উনাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

পবিত্র মসজিদুল আকসা উনার মধ্যে ইহুদীরা বহুবার হামলা চালিয়েছে এবং ১৯৬৯ সালে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইল সরকারের তত্ত্বাবধানে পবিত্র মসজিদ উনার নিচে ও চারপাশে খনন চালিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে পবিত্র মসজিদটি ভেঙে হাইকল সুলাইমানি নামে মন্দির (Temple Mount) স্থাপন করা যায়। জেরুযালেমকে ইহুদিমুক্ত করা না গেলে পবিত্র মসজিদ আল আকসা উনার পবিত্রতা রক্ষা কার্যত সম্ভব নয়। ইঙ্গ-মার্কিন-রুশ অপশক্তির ষড়যন্ত্রের ফসল মধ্যপ্রাচ্যের বুকে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বেলফোর আরব বিশ্বের বুকে ইসরাইল নামক এ বিষফোঁড়ার জন্ম দেয়। ১৯৪৮ সালের আগে পৃথিবীতে ইসরাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না। ডেভিড বেন গুরিয়ন ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদ্রে গ্রোমিকো ১৫ নভেম্বর এ স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি ও অনুমোদন দেয়ার জন্য জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘের প্রতি আহ্বান জানালে আমেরিকা, সোভিয়েট ইউনিয়ন ও ইংল্যান্ডসহ ৩৩টি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। নবগঠিত ইসরাইলের কোনো আন্তর্জাতিক সীমানা, কোনো সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, কোনো বৈধ সরকার, পার্লামেন্ট বা সার্বভৌমত্ব ছিল না। এটি মূলত একটি পুতুলরাষ্ট্র (Satellite State)।

ফিলিস্তিনকে ঘিরে ১৯৪৮, ১৯৫৬ ও ১৯৬৭ সালে আরব ও ইহুদীদের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদীরা যে ধরনের গোষ্ঠীবদ্ধ নির্যাতন চালিয়েছে, সমকালীন ইতিহাসে তার নজির নেই। ১৯৮২ সালে বৈরুতের শাবরা ও শাতিলা উদ্বাস্তু শিবিরে ইহুদি মিলিশিয়া ফালাঞ্জিস্টরা হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে শহীদ করে। রাশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে ইহুদিদের এনে ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। আর ফিলিস্তিনিরা ধীরে ধীরে নিজ দেশে হয়ে বসেন পরবাসী। সেই সময় ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৯২ শতাংশ ভূখ-। জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরও বেশি ছিলেন ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ ভূখ- ইহুদিদের দখলে চলে যায়। দখলদারদের যুলুম-নির্যাতনে ৪০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুভিটা হারিয়ে পাশের আরব দেশগুলোয় চলে যেতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যে ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের পর ১১ লাখ ইহুদী ফিলিস্তিনে এসে বসতি গড়ে তোলে। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসরাইলের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ লাখ ৫১ হাজারে। এতটুকুতেও ইহুদীরা সন্তুষ্ট নয়, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ইরাকের ইউফ্রেটিসের তীর থেকে মিসরের নীল নদ পর্যন্ত তেলসমৃদ্ধ সব এলাকা দখলে নিয়ে একটি জায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইহুদি বসতি নির্মাণ এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইল মিসরের সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিমতীর আর গাজা দখল করে নেয়। জাতিসঙ্ঘ তথা ইহুদী সংঘ বিভিন্ন প্রস্তাবে সেসব জমি ফেরত দিতে এবং দখলকৃত জমিতে ইহুদি বসতি স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করে কয়েকটি প্রস্তাব পাস করে, কিন্তু ইহুদিরা কোনো প্রস্তাবই গ্রাহ্য করেনি। উল্টো ক্রমেই ইসরাইল আরো বেশি আরব জমি দখল করে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখে। যে মুহূর্তে মাহমুদ আব্বাস স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘স্বপ্নকে’ পূর্ণতা দেয়ার দাবি জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘে উপস্থাপন করছে, সেই সময় পূর্ব জেরুসালেমে এক হাজার ১০০ নতুন ইহুদী বসতি স্থাপন করা হয়। পাঁচ লাখের বেশি ইসরাইলি এখন দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমির অধিবাসী। ক্রমেই ইহুদীরা যেভাবে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে নিচ্ছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জমি অবশিষ্ট থাকবে কি না সন্দেহ। পূর্ব জেরুযালেম ও পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন চলতে থাকবে আর আলোচনার প্রস্তুতিও চলবে, এমনটি হতে পারে না। বর্তমানে পশ্চিমতীর, গাজা, লেবানন, সিরিয়া আর জর্ডানের শরণার্থী শিবিরগুলোয় ৭০ লাখ ফিলিস্তিনি মানবেতর জীবনযাপন করে চলেছেন। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।