পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৫

সংখ্যা: ২৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৫


[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়তের নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২২০তম সংখ্যা থেকে যা এখনো চলছে) পেশ করার পাশাপাশি-

৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

 সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিনসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। যেমন তারা বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ!

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ তারা তাদের ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি” প্রকাশ করা হলো।

 সম্মানিত ইসলামী মাস, বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময় সমূহ সম্পর্কে এবং চন্দ্র ও সূর্যের গতিবিধির ব্যাপারে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার ২৬ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ

 সূর্য ও চাঁদ এই দু’টি ইসলামী মাস, রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময় নিরুপনের ব্যাপারে মানদন্ড হিসেবে বিবেচিত। অর্থাৎ সূর্য ও চন্দ্র উনাদের আবর্তনের কারণে বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময়গুলো সুচারুরূপে আগমণ করে থাকে। এজন্য আমরা ইসলামী মাস, রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময় ইত্যাদীর আলোচনার পাশাপাশি চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তন ও তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আলোচনা করবো। যাতে করে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যায় এবং বুঝতে সহজ হয়। নি¤েœ এ সম্পর্কিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হলো:

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর-১

ولقد ارسلنا موسى باياتنا ان اخرج قومك من الظلمت الى النور وذكرهم بايام الله ان فى ذلك لايت لكل صبار شكور. (سورة ابراهيم شريف ۵ الاية

অর্থ: আমি হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনাকে আমার নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছিলাম এবং বলেছিলাম আপনি আপনার সম্প্রদায়কে অন্ধকার হতে আলোতে নিয়ে আসুন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়গুলোর কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন। এতে উপদেশ রয়েছে পরম ধৈর্য্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য। (পবিত্র সূরাতু ইবরাহীম শরীফ: ৫)

(وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ) اي قل لهم قولا يتذكرون به ايام الله تعالى. قال ابن عباس رضى الله عنه ومجاهد رحمة الله عليه وقتادة رحمة الله عليه: بنعم الله عليهم، وقاله اُبي بن كعب رضى الله عنه ورواه مرفوعا، اي بما انعم الله عليهم من النجاة من فرعون ومن التيه الى سائر النعم، وقدتسمى النعم الايام. (الجامع لاحكام القران للقرطبي اى تفسير القرطبي المؤلف: ابو عبد الله محمد بن احمد بن ابي بكر بن فرح الانصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي رحمة الله عليه المتوفى ۶۷۱ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) আপনি তাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার দিন সমূহের কথা স্মরণ করিয়ে নছীহত করুন। হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন: তা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার কর্তৃক তাদের উপর প্রদত্ত নিয়ামত সমূহ। যেমনটি হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনিও মারফূ’ সূত্রে বলেছেন। যেমন মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি নিয়ামত দান করেছেন অত্যাচারী ফিরাঊনের কবল থেকে রক্ষা করে এবং অবারিত সমস্ত নিয়ামত হাদিয়া করেছেন। যাকে নিয়ামতের দিন সমূহ বলা হয়ে থাকে। (আল্ জামি’ লিআহকামিল কুরআন লিল্ কুরতুবী অর্থাৎ তাফসীরুল্ কুরতুবী লেখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন আবী বকর বিন ফারাহ আনছারী খাযরাযী শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬৭১ হিজরী -পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ) قال ابن عباس رضى الله عنه و اُبي بن كعب رضى الله عنه ومجاهد رحمة الله عليه وقتادة رحمة الله عليه: بنعم الله، وقال مقاتل رحمة الله عليه: بوقائع الله في الامم السالفة. يقال: فلان عالم بأيام العرب اي بوقائعهم. (معالم التنزيل اى تفسير البغوي المؤلف: محيي السنة الامام ابو محمد الحسين بن مسعود البغوي الشافعي رحمة الله عليه المتوفى ۵۱۰ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন: আইয়ামিল্লাহ হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ। হযরত মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: পূর্ববর্তী উম্মাতের ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার কর্তৃক ঘটনাসমূহ। কারো কারো মতে: আরবদের ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল দিনসমূহ। (মায়ালিমুত্ তানযীল অর্থাৎ তাফসীরুল বাগাবী লেখক: মুহইস সুন্নাহ ইমাম আবূ মুহাম্মাদ হুসাঈন বিন মাসঊদ বাগাবী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫১০ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ قال ابن عباس رضى الله عنه واُبي بن كعب رضى الله عنه ومجاهد رحمة الله عليه وقتادة رحمة الله عليه: يعني بنعم الله. وقال مقاتل رحمة الله عليه: بوقائع الله في الامم السالفة. (لباب التأويل في معاني التنزيل اى تفسير الخازن المؤلف: الامام علاء الدين علي بن محمد بن ابراهيم البغدادي الشهير بالخازن الشافعي رحمة الله عليه سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন: আইয়ামিল্লাহ হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ। হযরত মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: পূর্ববর্তী উম্মাতের ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার কর্তৃক ঘটনাসমূহ। (লুবাবুত্ তা’বীল ফী মায়ানিত্ তানযীল অর্থাৎ তাফসীরুল খাযিন লেখক: ইমাম আলাউদ্দীন আলী বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম বাগদাদী খাযিন শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ) اي بنعمه عليهم واحسانه إليهم وبايامه في الامم المكذبين ووقائعه بالكافرين ليشكروا نعمه وليحذروا عقابه. (تيسير الكريم الرحمن في تفسير كلام المنان اى تفسير السعدي المؤلف: عبد الرحمن بن ناصر بن عبد الله السعدي رحمة الله عليه المتوفى ۱۳۷۶ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) অর্থাৎ তাদের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত, অনুগ্রহ সমূহ প্রদানের কথা এবং মিথ্যাবাদী ও কাফির সম্প্রদায়ের প্রতি শাস্তি নাযিলের দিনসমূহের কথা জানিয়ে দিন, যাতে তারা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে এবং উনার শাস্তিকে ভয় করে। (তাইসীরুল্ কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান অর্থাৎ তাফসীরুস্ সা’দী লেখক: হযরত আব্দুর রহমান বিন নাছির বিন আব্দুল্লাহ সা’দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১৩৭৬ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ) اي بنَعِيمِ الله، وَقِيْلَ: بوقائعِ الله في الايَّام السالفةِ من قوم نُوحٍ عليه السلام وعادٍ وثَمود. وَقِيْلَ: بنَعِيمِ اللهِ ونِقَمِه. (تفسير القران العظيم للطبراني المؤلف: الامام ابو القاسم سليمان بن احمد بن ايوب بن مطير اللخمي الشامي الطبراني رحمة الله عليه سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত উনার কথা স্মরণ করে দিন। কেউ বলেন: আইয়ামিল্লাহ হচ্ছে: পূর্ববর্তী উম্মাত ক্বওমে নূহ আলাইহিস সালাম, ক্বওমে আ’দ ও ক্বওমে ছামূদ তাদের ধ্বংসের ঘটনাবহুল দিনসমূহ। কারো মতে: মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত ও শাস্তি। (তাফসীরুল্ কুরআনিল আযীম লিত্ ত্ববারানী লেখক: ইমাম আবুল ক্বাসিম সুলাইমান বিন আহমাদ বিন আইয়ূব বিন মুত্বীর লাখমী শামী ত্ববারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ-৫)

وحكى الطبري رحمة الله عليه عن فرقة انها قالت: (ايام الله) نعمه، وعن فرقة انها قالت: (ايام الله) نقمه. (الـمحرر الوجيز اى تفسير ابن عطية المؤلف: ابو محمد عبد الحق بن غالب بن عبد الرحمن بن تمام بن عطية الاندلسي المحاربي رحمة الله عليه المتوفى ۵۴۲ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: হযরত ইমাম ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, এক দল মুফাসসিরীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন: (আইয়ামিল্লাহ) হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ। অন্য দল মুফাসসিরীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন: (আইয়ামিল্লাহ) হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার শাস্তিসমূহ। (আল্ মুর্হারারুল ওয়াজীয অর্থাৎ তাফসীরু ইবনি আতিয়্যাহ লেখক: হযরত আবূ মুহাম্মাদ আব্দুল হক্ব বিন গালিব বিন আব্দুর রহমান বিন তাম্মাম বিন আতিয়্যাহ আন্দালুসী মুহারবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫৪২ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ الله) اي عقوباته للامم المتقدمة، وقيل: انعامه على بني اسرائيل، واللفظ يعم النعم والنقم. (التسهيل لعلوم التنزيل اى تفسير ابن جزي المؤلف: محمد بن احمد بن محمد بن جزي الكلبي الغرناطي المالكي رحمة الله عليه سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পূর্ববর্তী উম্মাতের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার তরফ থেকে শাস্তি নাযিলের দিনসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন। কারো মতে: বাণী ইসরাঈলদের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে নিয়ামত নাযিলের দিন। আইয়াম শব্দটি সর্বপ্রকার নিয়ামত ও সর্বপ্রকার শাস্তি অর্থে ব্যবহার হয়েছে। (আত্ তাসহীল লিউলূমিত তানযীল অর্থাৎ তাফসীরে ইবনু জুযী লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন জুযী কালবী গারনাত্বী মালিকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ الله) اي بنعمائه وبلائِه كما ينبىء عنه. (ارشاد العقل السليم الى مزايا الكتاب الكريم اى تفسير ابي السعود المؤلف: ابو السعود العمادي محمد بن محمد بن مصطفى رحمة الله عليه المتوفى ۹۸۲ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ ও উনার পক্ষ থেকে শাস্তিসমূহ। যেমনটি বর্ণিত আছে। (ইরশাদুল আক্বলিস্ সালীম ইলা মাযায়াল্ কিতাবিল কারীম অর্থাৎ তাফসীরু আবিস্ সাঊদ লেখক: হযরত আবুস্ সাঊদ আম্মাদী মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মুছত্বফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৯৮২ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

(وَذَكِّرْهُم بِاَيَّامِ الله) قال: بِنِعَمِ اللهِ. (الجواهر الحسان في تفسير القران اى تفسير الثعالبي المؤلف: ابو زيد عبد الرحمن بن محمد بن مخلوف الثعالبي رحمة الله عليه المتوفى ۸۷۵ هجرى سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵(

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) হযরত মুফাসসিরীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম বলেন: আইয়ামিল্লাহ হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ। (আল্ জাওয়াহিরুল হাস্সান ফী তাফসীরিল কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুস্ সায়ালাবী লেখক: হযরত আবূ যায়েদ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ বিন মাখলূফ ছায়ালাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮৭৫ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وذكرهم) وَعِظهم (بايام الله) بنعمه اي بالتَّرغيب والتَّرهيب والوعد والوعيد. (الوجيز في تفسير الكتاب العزيز المؤلف: ابو الحسن علي بن احمد بن محمد بن علي الواحدي النيسابوري الشافعي رحمة الله عليه المتوفى ۴۶۸ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵(

অর্থ: (তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) তাদেরকে উপদেশ দিন (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা) উনার নিয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। অর্থাৎ উৎসাহ প্রদানের সাথে, ভীতি প্রদর্শনের সাথে ও প্রতিশ্রুতি প্রদানের সাথে। (আল্ ওয়াজীয ফী তাফসীরিল্ কিতাবিল আযীয লেখক: হযরত আবুল হাসান আলী বিন আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন আলী ওয়াহিদী নীসাবূরী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৪৬৮ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

البيهقي في شعب الإيمان عن أبي بن كعب رضي الله عنه عن النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم في قوله {وذكرهم بايام الله} قال: بنعم الله وآلائه.

واخرج عبد الرزاق وَابن المنذر عن ابن عباس رضي الله عنهما {وذكرهم بايام الله} قال نعم الله.

واخرج ابن المنذر وَابن ابي حاتم عن مجاهد رضي الله عنه قال: لما نزلت {وذكرهم بايام الله} قال: وعظهم.

واخرج ابن جرير عن مجاهد رضي الله عنه في قوله: {وذكرهم بايام الله} قال: بالنعم التي انعم بها عليهم أنجاهم من ال فرعون وفلق لهم البحر وظلل عليهم الغمام وانزل عليهم المن والسلوى.

واخرج ابن ابي حاتم عن الربيع رضي الله عنه في قوله: {وذكرهم بايام الله} قال: بوقائع الله في القرون الاولى. (الدر المنثور في التفسير بالماثور المؤلف: الامام المجدد لقرن العاشر عبد الرحمن بن ابي بكر السيوطي الشافعي رحمة الله عليه ۹۱۱ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: হযরত ইমাম বাইহাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় কিতাব ‘শুয়াবুল ঈমান’ উনার মধ্যে হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন যে, নূরুম মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ইরশাদ মুবারক করেন: তা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত সমূহ ও অনুগ্রহ সমূহ।

হযরত আব্দুর রয্যাক্ব ও হযরত ইবনুল মুনযির রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনার থেকে বর্ণনা করেছেন যে (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ হলো- মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত সমূহ।

হযরত ইবনুল মুনযির ও হযরত ইবনু আবী হাতিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত মুজাহিদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বলেন: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) অর্থ তাদেরকে উপদেশ দান করুন।

হযরত ইবনু জারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুজাহিদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন: তাদের প্রতি নিয়ামত সমূহ যেমন ফিরাঊন সম্প্রদায়ের অত্যাচার থেকে নাজাত লাভ, সাগর ফেঁড়ে রাস্তা তৈরি হওয়া, তাদের উপর মেঘমালা দ্বারা ছায়া প্রদান এবং মান্না-সালওয়া খাদ্য নাযিল ইত্যাদীর কথা স্মরণ করিয়ে দিন।

হযরত ইবনু আবী হাতিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত রবী’ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন: প্রাক যুগের ঘটনাবহুল দিনসমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। (আদ্ দুররুল মানছূর ফিত্ তাফসীর বিল মা’ছূর লেখক: দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ ইমাম আব্দুর রহমান বিন আবূ বকর সুয়ূতী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৯১১ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

اَيام الله قال ابن عباس رضى الله عنه ومجاهد رحمة الله عليه وقتادة رحمة الله عليه: نعم الله عليهم ورواه ابي مرفوعا.

وعن ابن عباس رضى الله عنه ايضا ومقاتل رحمة الله عليه وابن زيد رحمة الله عليه: وقائعه ونقماته في الامم الماضية، ويقال: فلان عالم بايام العرب اى وقائعها وحروبها وملاحمها كيوم ذي قار ويوم الفجار ويوم فضة وغيرها. (تفسير البحر المحيط المؤلف: محمد بن يوسف الشهير بابي حيان الاندلسي رحمة الله عليه سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহ। হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন: ইহা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে তাদের উপর বর্ষিত নিয়ামত সমূহ। হযরত উবাই রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইহা মারফূ’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত যায়েদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন: পূর্ববর্র্তী উম্মাতদের ঘটনা ও তাদের উপর শাস্তি নাযিলের কথা। কেউ কেউ বলেন: আরবদের ঘটনাবহুল দিনসমূহ যেমন যুদ্ধ-বিগ্রহ, যী ক্বার-এর দিন, ইয়াওমুল ফুজ্জার, ইয়াওমু ফিদ্দাহ ও অন্যান্য দিনসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে বলা হয়েছে। (তাফসীরুল বাহরিল্ মুহীত্ব লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ আবূ হাইয়ান আন্দালুসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

وَذَكِّرْهُمْ باََيَّامِ اللهِ وانذرهم بوقائعه التي وقعت على الامم قبلهم: قوم نوح عليه السلام وعاد وثمود. ومنه ايام العرب لحروبها وملاحمها كيوم ذى قار ويوم الفجار ويوم قضة وغيرها وهو الظاهر. وعن ابن عباس رضى الله عنهما: نعماؤه وبلاؤه. (الكشاف عن حقائق التنزيل وعيون الأقاويل فى وجوه التأويل المؤلف: العلامة جار الله ابو القاسم محمود بن عمر الزمخشرى الحنفي رحمة الله عليه الولادة ۴۶۷ هجري الوفاة ۵۳۸ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। তাদেরকে পূর্ববর্তী উম্মাতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করুন। যেমন: ক্বওমে নূহ আলাইহিস সালাম, ক্বওমে আ’দ ও ক্বওমে ছামূদ। তন্মধ্যে আরবদের যুদ্ধ-বিগ্রহ, যী ক্বার-এর দিন, ইয়াওমুল ফুজ্জার, ইয়াওমু ফিদ্দাহ ও অন্যান্য দিনসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে বলা হয়েছে, যা স্পষ্ট। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা তিনি বলেন: আইয়ামিল্লাহ অর্থ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত সমূহ ও আযাব সমূহ। (আল্ কাশশাফ আন্ হাক্বায়িক্বিত্ তানযীল ওয়া উইউনুল্ আক্বাবীল ফী উজূহিত্ তা’বীল লেখক: আল্লামা জারুল্লাহ আবুল ক্বাসিম মাহমূদ বিন উমর যামাখশারী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত: ৪৬৭ হিজরী ওয়াফাত: ৫৩৮ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وذكرهم بايام الله) بوقائعه التي وقعت على الامم الدارجة وايام العرب حروبها وقيل بنعمائه وبلائه. (تفسير البيضاوى المؤلف: ناصرالدين ابو سعيد عبد الله بن عمر بن محمد الشيرازي البيضاوي الشافعي رحمة الله عليه سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) পূর্ববর্তী বহুলপরিচিত উম্মাতদের ঘটনাসমূহ এবং আরবদের যুদ্ধের দিনসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন। কারো কারো মতে: আইয়ামিল্লাহ অর্থ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত সমূহ ও আযাব সমূহ। (তাফসীরুল বাইদ্বাবী লেখক: হযরত নাছিরুদ্দীন আবূ সাঈদ আব্দুল্লাহ বিন উমর বিন মুহাম্মাদ শীরাযী বাইদ্বাবী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

قال ابنُ عبَّاسٍ وابيُّ بن كعب ومجاهدٌ وقتادة رضي الله عنهم وذكرهم بنعم الله. وقال مقاتلٌ رحمة الله عليه: بوقائع الله في الامم السَالفة. (تفسير اللباب لابن عادل المؤلف: ابو حفص عمر بن على ابن عادل الدمشقى الحنبلى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۸۸۰ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বলেন: তাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামত সমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। হযরত মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: ইহা হচ্ছে পূর্ববর্তী উম্মাতদের ঘটনাবহুল দিনসমূহ। (তাফসীরুল লুবাব লিইবনি আদিল লেখক: হযরত আবূ হাফ্স উমর বিন আলী বিন আদিল দামিশ্কী হাম্বালী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮৮০ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

)وذكِّرهم بايام الله) فيه ثلاثة تأويلات: احدها: معناه وعظهم بما سلف من الايام الماضية لهم، قاله ابن جرير رحمة الله عليه.

الثاني: بالايام التي انتقم الله فيها من القرون الاولى، قاله الربيع وابن زيد رحمة الله عليهما.

الثالث: ان معنى ايام الله ان نعم الله عليهم، قاله مجاهد وقتادة رحمة الله عليهم، وقد رواه ابيّ بن كعب رضى الله عنه مرفوعاً. (النكت والعيون اى تفسير الماوردى المؤلف: ابو الحسن علي بن محمد بن حبيب الماوردي البصري رحمة الله عليهم سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: (মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়সমূহের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন) এখানে তিনখানা ব্যাখ্যা রয়েছে। এক: তাদেরকে পূর্ববর্তী দিনসমূহের কথা স্মরণ করে দিয়ে উপদেশ দান করুন। যা হযরত ইবনুল জারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন।

দ্বিতীয়: প্রাক যুগের দিনের কথা স্মরণ করতে বলা হয়েছে, যাতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেছিলেন। যা হযরত রবী’ ও হযরত যায়েদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা বলেছেন।

তৃতীয়: আইয়ামিল্লাহ অর্থ তাদের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে নিয়ামত নাযিলের দিন। যা হযরত মুজাহিদ ও হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা বলেছেন। যা হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারফূ’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। (আন্ নুকুতু ওয়াল উইঊন অর্থাৎ তাফসীরুল মাওয়ারাদী লেখক: হযরত আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মাদ বিন হাবীব মাওয়ারাদী বাছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

فِي اَيَّامِ اللهِ قَوْلَانِ احَدُهُمَا نِعَمُه الثَّانِي نِقَمُه قَالَهُ الْحَسَنُ رحمة الله عليه. (احكام القران لابن العربي المؤلف: القاضي محمد بن عبد الله ابو بكر بن العربي المعافري الاشبيلي المالكي المتوفى ۵۴۳ هجري سورة ابراهيم شريف رقم الاية ۵

অর্থ: আইয়ামিল্লাহ উনার ব্যাপারে দু’খানা ব্যাখ্যা রয়েছে। এক: মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিয়ামতসমূহ এবং দুই: মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে শাস্তি নাযিল। যা হযরত হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন। (আহকামুল কুরআন লিইবনিল্ আরাবী লেখক: হযরত ক্বাদ্বী মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আবূ বকর বিন আরাবী মায়ারিফী আশবীলী মালিকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫৪৩ হিজরী পবিত্র সূরাহ ইবরাহীম শরীফ -৫)

‘পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ’ উনার ৫ নম্বর আয়াত শরীফ এবং উনার বিশুদ্ধ তাফসীর থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হলো যে, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পূর্ববর্তী নিয়ামতপূর্ণ ঘটনা, দিন, তা’রীখ, মাস ইত্যাদি গুলোকে স্বরণ করতে বলেছেন এজন্য যে, যাতে এ থেকে নছীহত বা উপদেশ গ্রহণ করা হয়।

একইভাবে অতীতের অবাধ্য জাতিদের উপর আরোপিত আযাব-গযব থেকেও উপদেশ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। নিয়ামতপূর্ণ বিষয় যেমন- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা ও আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট দিন রাত্রী, লাইলাতুর রগায়িব শরীফ, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলুল্ বাইত আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের দিন বার ও উনাদের সংশ্লিষ্ট বরকতী ঘটনাসমূহ, আশুরা মিনাল মুর্হারম শরীফ, লাইলাতুল মি’রাজ শরীফ, লাইলাতুল বরায়াত শরীফ, লাইলাতুল ক্বদর শরীফ “আইয়্যামিল্লাহ” উনার মধ্যে শামিল। সুবহানাল্লাহ!

 অসমাপ্ত

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭