‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

সংখ্যা: ২৫২তম সংখ্যা | বিভাগ:

যেমন দাবি করা হয় তেমন গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও প্রচলিত আছে কিনা- তা একটি জোরালো প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্ন আরো সংবেদনশীল ও গুরুতর। এদেশের ‘সংবিধান’ থেকে ‘সরকার’ কোথাও অতীতেও জনগণের চরম অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়নি এবং এখনো হচ্ছে না। এমনকি সরকারেও ক্ষমতাসীন দলের নীতি ও প্রথা প্রবর্তিত হচ্ছে না- সে কথাও এখন ওপেন সিক্রেট। পাশাপাশি সরকারের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে বামপন্থী মন্ত্রী-কর্মীরা- তা এখন সর্বমহলে সমালোচিত।

বামপন্থীরা ক্বিয়ামত পর্যন্ত যা করতে পারতো না, তা বর্তমান সরকারের কাঁধে ভর করে তারা অনায়াসে করে যাচ্ছে। দেশের জনমতকে উপেক্ষা করে চলছে। জনমত লাঞ্ছিত হচ্ছে। জনমত নিষ্পেষিত হচ্ছে। জনমত বিপন্ন হচ্ছে। গণতন্ত্রের কবর রচিত হচ্ছে। জয় হচ্ছে বামপন্থীদের। প্রচার হচ্ছে বামনীতির- এসব কথা আজ সংক্ষুব্ধ জনতার মুখে মুখে।

বিশেষ করে বর্তমান শিক্ষানীতিতে, বিতর্কিত ও বামঘেঁষা শিক্ষামন্ত্রী যে তার বামদর্শন ও নাস্তিক্যবাদী চিন্তা পুরোটাই ঢুকিয়েছে, তা এখন রাখ-ঢাকের সম্পূর্ণ বাইরে। শিক্ষানীতিতে এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানগণ উনাদেরকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে। শিক্ষানীতিতে মুসলমানগণ উনাদের ধর্মীয়-বিশ্বাসকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে সমূলে উৎপাটনের কুটকৌশল করা হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অন্যধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে নিয়ে খেলা করা হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ মুবারক শব্দটুকুর অক্ষুণœতা ও অখ-তা নিয়ে পরিহাস করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ নামে। অথচ পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ একটি ওহীক শব্দ মুবারক। যার মূল্যায়ন ওহী মুবারক হিসেবে। পক্ষান্তরে ‘নৈতিকতা’ একটি সমাজে প্রচলিত শব্দ। যা পরিবর্তনশীল, রকমফেরযুক্ত এবং অনৈসলামিক। তাহলে পাঠ্যপুস্তক বইটির অর্থ দাঁড়ায় ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামিক শিক্ষা।’ নাউযুবিল্লাহ! এ স্ববিরোধিতার জন্য বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রীই দায়ী। কূটকৌশলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অনৈসলামের দিকে ধাবিত করা অথবা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উঠিয়ে দেয়াই তার আসল ষড়যন্ত্র।

নৈতিকতা বা গড়ৎধষরঃু শব্দটি এসেছে ল্যাটিন গড়ৎধষরঃধং থেকে। যার অর্থ- প্রথা, চরিত্র, যথাযথ ব্যবহার। উল্লেখ্য, এসব শব্দ একটিও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যথার্থ নয়।

উদাহরণত বলা যায়, আমাদের সমাজে ঘুষ অনৈতিক। কিন্তু সুদ নৈতিক। অথচ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সুদ ও ঘুষ দুটোই অনৈতিক। আবার আমাদের দেশে মিনিস্কার্ট পরা অনৈতিক। কিন্তু আমেরিকায় মিনিস্কার্ট কেন, বিবস্ত্র হয়েও সমুদ্র সৈকত, পার্কে ঘোরা অনৈতিক নয়। অপরদিকে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশে বোরকা পরা অনৈতিক। নাঊযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে ফ্রান্স, ইতালী, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে সমকামিতাও রাষ্ট্রীয় আইনে এবং নৈতিকভাবে সমর্থিত। নাঊযুবিল্লাহ!

দেখা যাচ্ছে, নৈতিকতার সংজ্ঞা হলো- যে সমাজে যা প্রচলিত তাই নৈতিক। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম এ সংজ্ঞার ঘোর বিরোধী।

চাপের মুখে আমাদের দেশে সরকার কালো টাকা সাদা করার নৈতিকতা দিয়েছে। আর এখন যেভাবে বিবস্ত্রপনা, অশ্লীলতা, লিভটুগেদার ইত্যাদি বাড়ছে, সামনে খোদা না করুন, জনগণের চাপে এগুলোও রাষ্ট্রীয় আইনে নৈতিক হয়ে যেতে পারে। উদাহরণতঃ কিছুদিন আগে সরকার বিশেষ বিবাহ আইন প্রণয়ন করেছিলো। কিন্তু উল্লিখিত সব কিছুই প্রচ- রকমের অনৈসলামী। কাজেই ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ আর ‘নৈতিকতা’ এক নয়।

প্রসঙ্গত, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান, “নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র পবিত্র ইসলাম।” তথাকথিত কোনো নৈতিকতা নয়। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)

“যদি তারা আপনার সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হয়, তবে বলে দিন, আমি এবং আমার অনুসরণকারীগণ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছি।” তথাকথিত নৈতিকতা নয়। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)

“তারা কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত দ্বীন উনার পরিবর্তে অন্য ধর্ম তালাশ করছে?” অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম ছাড়া তথাকথিত অন্য কোনো নৈতিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)

“যে লোক পবিত্র দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, অর্থাৎ তথাকথিত নৈতিকতা গ্রহণ করে; কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)

“আর এটাই আপনার মহান পালনকর্তা উনার সরল পথ। আমি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে পবিত্র আয়াতসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করেছি।” এখানে অন্য কোনো ধরনের নৈতিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৬)

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের সাপেক্ষে প্রতিভাত হয়, ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ ও ‘নৈতিক’ শিক্ষার মূল অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ ও ‘অনৈসলামী শিক্ষা।’ নাউযুবিল্লাহ! যার ফলাফল হচ্ছে শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা। মূলত, এটাই বামঘেঁষা শিক্ষামন্ত্রীর গোপন উদ্দেশ্য। এদেশের মুসলমান ছেলে-মেয়েদেরকে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাশূন্য করাই তার বামদর্শন ও নাস্তিক্যবাদী মিশন। এর বিরুদ্ধে এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানগণ উনাদেরকে পবিত্র ঈমান উনার দায়বোধ থেকেই জেগে উঠতে হবে।

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।