পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় চলছে দেশ। কোটিপতির সংখ্যা এখন লাখেরও বেশি। অধিকাংশরাই কর ফাঁকি দিচ্ছে। অথচ যাকাতদানের চেতনা তৈরি করলে ধনীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতো। তাতে সম্পদ আহরণ হতো অনেক বেশি, দারিদ্রতা দূর হতো নিমিষেই।

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুষম বণ্টন, স্বতঃস্ফূর্ত সমৃদ্ধির উচ্চাশা নিয়েই যাত্রা হয়েছিল স্বাধীনতা-উত্তর উন্নয়ন পরিকল্পনার। তবে উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে সাম্প্রতিক দশকগুলোয় সামাজিক অসমতা ও বৈষম্য যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে পাকিস্তান আমলের অর্থনীতিরই যেন পুনরুজ্জীবন ঘটছে। সমাজের বিরাট এক অংশ এখনো ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে ঘুমাতে যায়। পরিপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাদ্য, প্রয়োজনীয় বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পরিবেশসম্মত আবাসনসুবিধা এখনো সাধারণের আয়ত্তেরই বাইরে। সমাজের ৭৫ শতাংশের জীবনে অসচ্ছলতা ও অস্বাচ্ছন্দ্যের অন্ত নেই। জীবনমুখী ও সম্মানিত ইসলামমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উন্নয়নতত্ত্ব দেখার প্রয়োজন অনেকটাই হারিয়ে গেছে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে।

প্রসঙ্গত বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, দেশের উন্নয়নতত্ত্বের প্রধান ত্রুটি হচ্ছে, এখানে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় আয় বৃদ্ধির উপর; বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হয়নি মোটেও। ফলে জাতীয় আয় বাড়ার প্রধান সুবিধাভোগী সীমিত কিছু মানুষ, আর বিরাট অংশের সম্ভাবনা ক্রমেই মিইয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের দ্রুত বড় হওয়া অতি ধনী ও সুবিধাভোগীদের সাম্প্রতিক চিত্র ফুটে উঠেছে ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৩-এ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ন্যূনতম ৩ কোটি ডলার বা ২৫০ কোটি টাকা সম্পদধারীর সংখ্যা ৯০। তাদের কাছে গচ্ছিত মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১২ শতাংশ। এক বছর আগে এমন ধনীর সংখ্যা ছিল ৮৫। তাদের কাছে গচ্ছিত সম্পদ ছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে। সেখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে সম্পদ কুক্ষিগতের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি। ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে। তাই পাঁচ বছর আগের চিত্র জানার জন্য দেশী-বিদেশী ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভা-ারের হিসাবে, ন্যূনতম ৩ কোটি ডলার সম্পদ আছে এমন অতি ধনী ২০০৯ সালে ছিল সর্বোচ্চ ৫০ জন। তাদের কাছে গচ্ছিত মোট সম্পদের পরিমাণও ৭০০ কোটি ডলারের বেশি হবে না।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট- ২০১৩ রিপোর্ট যথাযথ নয়। তবে উল্লেখ্য, ‘আমাদের উন্নয়ন সাফল্যে দারিদ্র্যের হার কমার কথা বলা হলেও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বেড়েই চলেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমাজের একটি অংশ বড় অঙ্কের কালো টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। কিছু লোক হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে যাওয়ায় সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যা এসময়কার অস্থিতিশীলতার অন্যতম কারণ। বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার সময় এসেছে এখন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ওয়েলফেয়ার মনিটরিং সার্ভে অনুযায়ী, মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশের হাতেই সম্পদের সবচেয়ে বড় অংশ। মধ্যবিত্ত শ্রেণী মোট জনসংখ্যার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। এর বাইরে ৭৫ শতাংশ মানুষই উন্নয়নের বড় ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কোনোভাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে দিন পার করছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। আর দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী এমন মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিতের সংখ্যা দেড় কোটি। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ খাদ্যচাহিদা মেটাতে হয়ে পড়ছে ঋণগ্রস্ত। সমাজের এ অংশটি ক্রমেই ঋণভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

তবে বিবিএসের হিসাবের সঙ্গে একমত নয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছে, মোট জনগোষ্ঠীর ৪ শতাংশ নয়, মাত্র এক হাজারের কাছেই কেন্দ্রীভূত সবচেয়ে বেশি সম্পদ। ধনী-দরিদ্রের এ ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। নেট সম্পদ ২ কোটি টাকা হলে মোট আয়করের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। এছাড়া নেট সম্পদ ১০ কোটি টাকার বেশি হলে মোট আয়করের উপর ১৫ শতাংশ সারসার্জ হিসেবে জমা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, চোখের সামনেই কোটিপতিদের একটি বড় অংশ বছরের পর বছর রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে তারা কর ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। কর বিবরণীতে ২ কোটি টাকা নেট সম্পদ দেখিয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৮৬৫ জন। পাকিস্তান শাসনামলে ২২ পরিবারের হাতে দেশের মোট সম্পদের বড় অংশ গচ্ছিত ছিল। সেটি স্বাধীনতার কয়েক দশকের মধ্যেই আবার মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে চলে আসে।

বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে দেশের ৪ কোটি ৬৯ লাখ মানুষের দৈনিক আয় ১ দশমিক ৯ ডলার। আর ১ দশমিক ২৫ ডলার আয় করে ৬ কোটি ৪৩ লাখ। সংস্থাটি বলছে, সব মিলিয়ে এ দেশে প্রায় ১১ কোটি ১২ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছে।

উল্লেখ্য, ধনী-দরিদ্র্যের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য ইউরোপ-আমেরিকায়ও দেখা যায়। কিন্তু সেখানে ধনীরা সম্পদ উৎপাদনশীল কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অবৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছে কিছু ব্যক্তি। সেটি উৎপাদনশীল কাজে লাগানো হচ্ছে না। ফলে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের হাল নাগাদে বাংলাদেশে বৈধ কোটিপতির সংখ্যা ২৩ হাজারেরও বেশি। ১৯৭৫ সালে দেশে বৈধ কোটিপতির সংখ্যা যেখানে ছিল মাত্র ৪৭ জন। কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলির কাছ থেকে প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে যে প্রতিবেদন তৈরি করে কোটিপতির এই সংখ্যা নিরূপন করেছে। এটা নির্ভরযোগ্য ভিত্তি। তবে অবৈধ বিত্তের বহু কোটিপতি স্বনামে-বেনামে এই হিসাবের বাইরে রয়ে গেছে। এদের শনাক্ত করা কঠিন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে গত প্রায় চার দশকে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবার ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে দুই থেকে তিনগুণ। আশির দশক পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে মাঝারি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের একটা বিশেষ অবস্থান ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীদের আধিপত্য বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৩০ জন এবং এদের মোট আমানতের পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৫৪৪ কোটি টাকা।

কোটিপতির সংখ্যা মূলত আরো অনেক বেশি। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু ব্যাংকে আমানতকারীদের তালিকা থেকে এ হিসাব বের করেছে। যে সকল কোটিপতি তাদের টাকা দেশীয় ব্যাংকে রাখে না অথবা অংশ বিশেষ রাখে এবং যারা বিভিন্ন নামে একাধিক একাউন্টে ভাগ করে করে টাকা জমা রাখে তাদের হিসাব ওই ২৮ হাজারের বাইরে।

এছাড়া এখানে শুধু ক্যাশ টাকার হিসাবে কোটিপতির সংখ্যা বের করা হয়েছে। নামিদামি জমি ও বহু বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক, শত শত ভরি স্বর্ণালংকার ও ডায়মন্ডের ক্রেতা কোটিপতিদের হিসাব এ ২৮ হাজারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বোঝা যাচ্ছে যে, সার্বিক বিবেচনায় প্রকৃত তথ্য বের হয়ে এলে দেখা যাবে, দেশে কোটিপতির সংখ্যা হয়তো এক লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে, ওই ২৮ হাজার কোটিপতি হচ্ছে ব্যাংকের মোট আমানতকারীদের ০.৬% অথচ তাদের একাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ হলো মোট জমা টাকার এক তৃতীয়াংশ।

উপরোক্ত দুটি তথ্য থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আমাদের দেশে আসলে সম্পদ অনেক। পুরো ১৬ কোটি জনগোষ্ঠী ভালোভাবে খেয়ে-পরে চলার মতো যথেষ্ট সম্পদ এই দেশেই বিদ্যমান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওই সম্পদের বেশির ভাগই আবদ্ধ হয়ে আছে মাত্র ৫-৬% লোকের হাতে।

ধনী-গরীবের এ চরম বৈষম্য পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার ফসল এবং যতদিন বাজার ও অর্থনীতিতে পুঁজিবাদের রাজত্ব বহাল থাকবে ততদিন এ বৈষম্য বাড়তেই থাকবে। কারণ এ নীতির বাস্তবতাই হচ্ছে তেলা মাথায় তেল দেওয়া, ধনীকে আরো সম্পদশালী করা আর গরীবকে ফকীরে পরিণত করা।

ধনী-দরিদ্র তথা সম্পদের দিক থেকে মানুষের মাঝে তারতম্য সর্বযুগেই ছিল। কিন্তু একই সমাজের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের পাহাড়সম সম্পদের অধিকারী হয়ে অত্যধিক বিলাসী জীবনযাপন করা এবং একই সমাজের বেশির ভাগ লোকের ক্ষুধা-দারিদ্র ও অর্থনৈতিক কষ্ট-ক্লেশ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা একমাত্র পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থাতেই সম্ভব। কারণ এ ব্যবস্থায় একদিক থেকে সম্পদ আহরণে রয়েছে অবাধ স্বাধীনতা। অপরদিকে সে সম্পদ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ ও বাধ্যবাধকতা। সম্পদ অর্জনে যেমন কোনো নীতি-নৈতিকতা বা হালাল-হারাম দেখার প্রয়োজন হয় না; বরং সুদ, জুয়া, কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি, মুনাফাখোরী এবং কাগজপত্রের কারসাজি বা কৌশলের মারপ্যাঁচে অন্যের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার সব পথই খোলা থাকে, তেমনিভাবে সে টাকা-পয়সা ব্যয়ও করা যায় যে কোনো প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয়, বৈধ-অবৈধ এবং তথাকথিত (অশ্লীল) বিনোদনসহ যে কোনো খাতে। এছাড়া নীতি-নৈতিকতার বালাই না থাকায় আরেকটি বিশাল ধনাঢ্য শ্রেণী তৈরি হয় ঘুষ, প্রতারণা ও জুলুম-নির্যাতন ও ক্ষমতার দাপটে মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।

মূলত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহুবিধ সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে পুঁজিবাদী অর্থ-ব্যবস্থার ছোবল থেকে বেরিয়ে এসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইনসাফভিত্তিক অর্থনীতির বাস্তবায়ন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অন্যতম স্তম্ভ যাকাত উনার কঠোর বাস্তবায়ন। সে প্রসঙ্গে আফদ্বালুন নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেছিলেন, “যে যাকাতের একটি রশি দিতেও অস্বীকার করবে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ করবো।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ যাকাত আদায় সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার করলে ধনী মানুষের মাঝে কর ফাঁকি দেয়ার মতো প্রবণতা থাকবে না। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকাত দিবেন। তাতে আয়কর থেকে যে রাজস্ব আসে তার চেয়ে বহুগুণ সম্পদ সরকারি কোষাগারে জমা হবে এবং খুব সহজেই তার সুফল দেশের দরিদ্র মানুষ পাবে। দারিদ্র্যতা মুহূর্তেই বিমোচন হবে। সুবহানাল্লাহ! (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।