প্রসঙ্গ : কাফির বিশ্বের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট ও দৈনদশা রক্ষা পেতে হলে তওবা এবং মুজাদ্দিদে আ’যম উনার ছোহবতের বিকল্প নেই

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

সত্য এসেছে। মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার যোগ্য। মূলত সত্য সত্যই। তবে সত্য যখন উদ্ভাসিত হয় তখন সূর্যের চেয়ে বেশি আলোকিত করে। প্রসঙ্গত মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এমন এক মহাসত্য যিনি লক্ষ-কোটি সূর্যের চেয়েও বেশি ঝলমলে আলোকিত। বেমেছাল মহান পুরুষ। মহামহিম মুজাদ্দিদ। উনার তাজদীদের রোবে গোটা বিশ্ব থরথর। কাফির বিশ্ব হয়রান-পেরেশান। তাদের দীর্ঘদিনের সাম্রাজ্য ও শক্তি সব তাদের মাকরের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। খোদ আমেরিকাসহ গোটা কাফির বিশ্ব আজ খোলামেলাভাবেই তাদের দৈনদশা স্বীকার করছে।

শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে যেমনটা হয়, কাফির বিশ্বের অর্থনীতির দশাও তেমন হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ ভর করেছে। অবকাঠামো খাত থেকে শিল্পখাত সর্বত্র স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নতুন চাকরি হওয়া দূরে থাক, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কর্মজীবী বেকার হয়েছে। এখনো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। মুজাদ্দিদে আ’যম, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে দোয়া করছেন তখন থেকেই তাদের এ করুণ অবস্থা।

অর্থনৈতিক মন্দায় যুক্তরাষ্ট্রে শুধু বেকারত্ব বাড়ছে ৬ কোটিরও ঊর্ধ্বে, বাড়ছে দারিদ্র্যও। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক দেশটিতে এখন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখন তাদের স্বীকৃত মতেই। এর মধ্যে ২ কোটি ঊর্ধ্ব পরিবার ঠিকভাবে খেতে পায় না। মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ২০১০ সালের আদমশুমারি রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। তাতে দেখা যায়, দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ২০০৯ সালের ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১০ সালে হয়েছে ১৬ শতাংশ। এ হিসাব অনুযায়ী দেশটির প্রতি পাঁচজনে প্রায় একজন দরিদ্র।

যুক্তরাষ্ট্রে চার সদস্যের কোন পরিবারের বার্ষিক আয় ২২ হাজার ৩১৪ ডলার বা এর কম হলে এবং একজনের বার্ষিক আয় ১১ হাজার ১৩৯ ডলার বা এর কম হলে দরিদ্র হিসাবে গণ্য করা হয়। প্যারিসভিত্তিক সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চার বছর ধরে দেশটিতে দরিদ্রসীমার নিচে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রিপোর্টে আরো দেখা যায়, কালো এবং স্পেনীয় মানুষের মধ্যে দরিদ্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সালে এদের মধ্যে দারিদ্র্য ছিল যথাক্রমে ২৭.৪ শতাংশ ও ২৬.৬ শতাংশ। দারিদ্র্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক পারিবারিক আয় গড়ে ২.৩ শতাংশ কমেছে।

দারিদ্র্য বেড়েছে ছোটদের মধ্যেও। ১৮ বছরের কম বয়স এমন দরিদ্রের সংখ্যা ২০০৯ সালের ২০.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১০ সালে হয়েছে ৫ শতাংশ। এছাড়া স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নেই এমন মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা এখন ১০০ মিলিয়ন।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০১১ সালে কাফির বিশ্বে ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হবে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। কাফির বিশ্বে অর্থনীতির এ দুরবস্থার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ইউরোপের অর্থনীতির নড়বড়ে অবস্থা।

ইউরোপে বেকারত্ব প্রায় ৩০ শতাংশের কম-বেশি থাকছে। তা ইউরোপের গা-সহা হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রায় ২৭টি দেশের মধ্যে ১৭টি দেশ ইউরোভুক্ত। দেশগুলোতে একক ইউরো মুদ্রা ব্যবহৃত হচ্ছে।

অপরদিকে জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোজোন মন্দা আক্রান্ত। ইউরোজোনকে সাপোর্ট দিচ্ছিল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ইউরোজোনের মধ্যে গ্রিস আয়ারল্যান্ড, স্পেন, সাইপ্রাস প্রভৃতি দেশে মন্দা প্রকট আকার ধারণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আইএমএফ মিলে প্রাথমিকভাবে তা মোকাবিলা করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রিসে আজ প্রায় এক বছর ধরেই জনগণ রাস্তায়। কারণ সরকার কৃচ্ছতা সাধন করতে বাধ্য হওয়ায় একদিকে যেমন কর্মজীবীরা চাকরি থেকে ছাঁটাই হচ্ছে অন্যদিকে তাদের পেনশনের আয় কমে যাচ্ছে। গ্রিস এখন ৩৪,০০০ কোটি ইউরো (৪৮,৫০০ কোটি ডলার) দেনার দায়ে জর্জরিত। এ দেনা থেকে কিছুটা পরিত্রাণের জন্য আইএমএফ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে ১,২০০ কোটি ইউরো ধার দেয়ার কথা আগামী মাসে। এটা তাদের দেয়া বেইল-আউট প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তি। প্রথম কিস্তিতে ১,৮০০ কোটি ইউরো দিয়েছে ২০১০ সালে। তাদের জরাগ্রস্ত অর্থনীতি সে অর্থ খেয়ে ফেলেছে। এখন আরেকটি নতুন করে অর্থ না দিলে যা হবে সেটা আরো ভয়াবহ। কারণ, গ্রিসের এ দেনার মধ্যে ৫৭ শতাংশই পাবে ফ্রান্স, ৪০ শতাংশ জার্মানি, ১৪.৬ শতাংশ যুক্তরাজ্যের সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি বিনিয়োগকারী। গ্রিস এখন এ দেনা পরিশোধ না করতে পারলে ফ্রান্স ও জার্মানির মতো বড় অর্থনীতিগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত অর্থ সংকটে পড়বে। যা ইউরোপ এবং গোটা কাফির বিশ্বের জন্য নতুন মন্দা ডেকে আনবে। শুধু গ্রিস নয় ইতালি, স্পেন, আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি দেশও হাজার হাজার কোটি ডলার ঋণ নিয়ে বসে আছে। তাদের অর্থনীতি এগুতে পারছে না বলে ঋণ পরিশোধও হচ্ছে না। এদিকে জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে রফতানি আয়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। ২০১১ ও ২০১২ সালে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হবে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে। এমনকি তা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। চীনেও মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বন্যায় ও খরায় চীনে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে।

এমন অবস্থায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পরিণতি ২য় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালীন পরিস্থিতির চেয়েও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তথাকথিত বিশ্লেষকরা শুধু এ পর্যন্তই ভাবতে পেরেছেন। কিন্তু তারা এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারেননি। মূলত এ আজ অনিবার্য সত্য যে আসন্ন দুরবস্থা ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে জালিম, কাফির বিশ্বকে অতীতে মুসলমানদের উপর তাদের সীমাহীন জুলুমের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে সর্বোপরি যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম উনার শরণাপন্ন ও উনার মুবারক ছোহবতে আসতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র তারা বর্তমান মন্দা থেকে রক্ষা পেতে পারবে। অন্যথায় অর্থনৈতিক মন্দা সহ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা আযাব-গযবেই তারা ধুঁকে ধুঁকে মরবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।