ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৬)

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

প্রসঙ্গ : স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত দশটি মাক্বাম হাছিল করার কোশেশ করবে।

রিয়াযত-মাশাক্কাত তথা কাম ও মোহ ত্যাগ করতঃ আত্মার চিকিৎসা করা শরীয়তের নির্দেশ

পূর্ব প্রকাশিতের পর

হযরত মুআয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মানুষের শত্রু তিনটি। সংসার, শয়তান এবং প্রবৃত্তি। জনৈক বিজ্ঞ বুযূর্গ তিনি বলেছেন, যার নফস বা প্রবৃত্তি প্রবল সে লালসার মোহে নিজেকে বন্দী করে রাখে। তার লোভের বন্দীখানায় সে আবদ্ধ থাকে এবং তার হাতে তার লাগাম দিয়ে দেয়। যেখানে ইচ্ছে সেখানে তাকে টেনে নেয়। হযরত জাফর ইবনে হামীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন যে, আলিম  ও বিজ্ঞ লোকগণ উনারা সবাই বলেছেন, সুখ ত্যাগ না করলে সুখ লাভ করা যায় না। হযরত ইয়াহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, রুটির অতিরিক্ত যা খাওয়া হয় তা লোভ ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি পার্থিব লালসাকে ভালবাসে সে যেন অপমানের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্ণিত  আছে যে, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম তিনি যখন দয়া করে মিশরের কোষাধ্যক্ষ পদ গ্রহন করলেন, তখন একদা তিনি রাজ্যের মধ্যে ১২ হাজার সম্ভ্রান্ত ও গণ্যমান্য লোকসহ অশ্বারোহণে ভ্রমণ করছিলেন। তখন মিসর-মন্ত্রী আযীযের স্ত্রী জুলায়খা তিনি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার গমন পথে বসে থাকলেন। উনাকে দেখে তিনি বললেন, আল্লাহ পাক পবিত্র। যিনি রাজা-বাদশাহদেরকে পাপের গোলাম বানিয়েছেন এবং সৎকার্যরত ব্যক্তি উনাদেরকে রাজা বানিয়েছেন। লোভ ও লালসা রাজাদেরকে গোলামে পরিণত করেছে এবং এটাই অশান্তি সৃষ্টিকারীদের শাস্তি। পক্ষান্তরে, ধৈর্য ও আল্লাহ ভীতিওয়ালা বান্দা উনাদেরকে রাজার আসনে আরোহণ করিয়েছেন। তখন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম-উনাকে আল্লাহ পাক যেভাবে সংবাদ দিয়েছেন তদ্রƒপ তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-উনাকে ভয় করে এবং ধৈর্য ধারণ করে নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার নষ্ট করেন না।” সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, আমি এক রাত সজাগ থেকে নামায পড়লাম; কিন্তু ইতঃপূর্বে তাতে যে আনন্দ পেয়েছি তা পেলাম না। তখন আমি ঘুমানোর ইচ্ছা করেও ঘুমাতে পারলাম না। তারপর আমি বের হয়ে দেখলাম যে, একব্যক্তি কম্বলাবৃত হয়ে পথের উপর পড়ে রয়েছে। আমার আগমন টের পেয়ে সে বলল, হে আবুল কাসেম! আপনি আমার নিকট আসুন। আমি বললাম, হে ভাই! তুমি তো প্রথমে একথা বলনি? সে বলল, হ্যাঁ আমি আপনার হৃদয়কে আমার জন্য আলোড়িত হতে আল্লাহ পাক-উনার নিকট প্রার্থনা করেছি। আমি বললাম, তিনি তা কবুল করেছেন। বল, তোমার প্রয়োজন কি? সে জিজ্ঞেস করল, প্রবৃত্তির রোগের প্রতি লক্ষ্য করে বলল, শুনে রাখ, আমি তোমাকে একথা শতবার বলেছি। কিন্তু তুমি তা অস্বীকার করেছ। শুধু আমাকে জুনাইদের মতামত শুনতে বলেছ। এখন তো তাও শুনতে পেলে। তারপরই সে সেখান থেকে উঠে চলে গেল; কিন্তু আমি তাকে চিনতে পারলাম না।

হযরত ইয়াযীদ রাক্কাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, হে বন্ধুগণ! তোমরা দুনিয়ায় আমাকে শীতল পানি পান করতে দিও না। কেননা আমি আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত হতে পারি। একব্যক্তি হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনাকে জিজ্ঞেস করল, আমি কখন কথা বলব? তিনি বললেন, যখন তুমি নীরব থাকতে ইচ্ছে কর। সে বলল, কখন আমি নীরব থাকব? তিনি বললেন, যখন তুমি কথা বলতে ইচ্ছে কর। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বেহেশতে যেতে উৎসুক সে যেন পার্থিব লোভ থেকে মুক্ত থাকে। হযরত মালেক ইবনে দীনার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাজারে ঘুরা-ফেরা করতেন। যখন তিনি উনার কোন পছন্দনীয় জিনিস দেখতেন তিনি উনার মনকে বলতেন, ধৈর্য ধারণ কর।

যখন আলিম এবং বুযূর্গ ব্যক্তিগণ উনাদের সম্মিলিত মতানুযায়ী প্রবৃত্তির বিরুদ্ধাচরণ ও লোভ নিবারণ ব্যতীত আখিরাতের সৌভাগ্যের অন্য পথ নেই তখন একথার উপর ঈমান আনা অবশ্য কর্তব্য। প্রবৃত্তির মধ্যে কি ত্যাগ করা উচিত আর কি ত্যাগ করা উচিত নয় তার বিশ্লেষণের জ্ঞান সম্পর্কে আমরা যা উপরে উল্লেখ করছি তা দ্বারাই তা বুঝা যাবে। রিয়াযত বা চরিত্র উন্নতিকর পরিশ্রম এবং এর গুপ্ত তত্ত্ব অর্জন করতে হলে প্রয়োজনের পরিমাণ ব্যতীত এমন কোন বস্তু উপভোগ করবে না যা কবরে পাওয়া যাবে না। পানাহার, পোশাক-পরিচ্ছদ, বসবাসের গৃহ এবং বিবাহ-শাদীর ক্ষেত্রে যথাসাধ্য সংক্ষেপ করবে এবং তা প্রয়োজনের সীমার মধ্যে রাখবে। কেননা যদি এসব ক্ষেত্রে কোন কিছুর প্রতি অধিক লিপ্ত হয়ে পড় তাহলে তার সাথে মুহব্বত পয়দা হবে যে কারণে মৃত্যুর সময় আবার দুনিয়ায় ফিরে আসার জন্য মনে আসা জেগে উঠবে। যার নিকট আখিরাতের কোন সম্বল নেই সেই দুনিয়ায় ফিরে আসার জন্য ইচ্ছা করে।

হৃদয়কে সবসময় আল্লাহ পাক-উনার মা’রিফাত বা পরিচয় জ্ঞান মুহব্বত এবং আল্লাহ পাক-উনার সম্পর্কে চিন্তায় রত রাখবে। আল্লাহ পাক উনার উদ্দেশ্যে অন্যান্য সকল সম্পর্ক ছিন্ন করবে। কেবলমাত্র আল্লাহ পাক-উনার সাহচর্যে থাকা শক্তি অর্জন করবে। যেসব বিষয় আল্লাহ পাক উনার যিকির ও ফিকির থেকে দূরে রাখে সে সব পার্থিব বিষয়গুলো অন্তর থেকে দূর করে দেবে। যে ব্যক্তি তার হাক্বীক্বত বা প্রকৃত তত্ত্ব বুঝতে না পারে সে পার্থিব বিষয়ের নিকটবর্তী হয়ে পড়ে।

এদিক থেকে মানুষকে চারভাগে ভাগ করা যায়। এক প্রকার লোকের হৃদয় আল্লাহ পাক-উনার যিকিরের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে এবং জীবিকা নির্বাহের অতি আবশ্যকীয় কাজ ব্যতীত তারা দুনিয়ার কোন কিছুর দিকে লক্ষ্য করে না। উনারা ছিদ্দীক্বীন উনাদের অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন পরিশ্রম ও চেষ্টা-সাধনা ব্যতীত এই স্তরে উপনীত হওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া এজন্য কঠোরভাবে প্রবৃত্তির সংযম অবলম্বন করাও অপরিহার্য।

আর এক প্রকার লোক সাংসারিক ব্যাপার নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং তার হৃদয়ে প্রবৃত্তির কথা ব্যতীত আল্লাহ পাক-উনার স্মরণ বাকী থাকে না। কেননা সে তাকে শুধু রসনার দ্বারা স্মরণ করে, হৃদয়ের দ্বারা নয়। এরূপ ব্যক্তি ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অন্যতম।

আর একপ্রকার লোক ধর্ম ও সংসার উভয় ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকে বটে, কিন্তু তার হৃদয়ে ধর্মীয় ব্যাপারই প্রবল থাকে। তাকেও দোযখের নিকট আসতে হবে কিন্তু তার হৃদয়ে আল্লাহ পাক-উনার যিকিরের প্রাবল্যের পরিমাণ অনুযায়ী সে যথাসময়ে তা থেকে মুক্তি লাভ করবে।

চতুর্থ প্রকার লোকগণও ধর্ম ও সংসার উভয় নিয়ে ব্যস্ত থাকে; কিন্তু তার হৃদয়ে ধর্ম অপেক্ষা সংসারের মায়া প্রবল। তাকে দীর্ঘদিন দোযখে থাকতে হবে। অবশ্য দোযখ থেকে শেষ পর্যন্ত সে মুক্তি লাভ করবে। যদি তার মন থেকে আল্লাহ পাক উনার স্মরণ সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত না হয়।

হালাল দ্রব্য উপভোগ করা হালাল। তবে কিরূপে তা আবার আল্লাহ পাক-উনার থেকে দূরবর্তী হবার কারণ হয়? মূলত সংসারের মুহব্বত সমস্ত পাপের মূল। কোন বস্তু হালাল হলেও তার সাথে যদি সংসার জড়িত থাকে আল্লাহ পাক উনার সাথে কোন যোগাযোগ না থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে আল্লাহ পাক-উনার থেকে দূরবর্তী বলতে হয়। যে হালাল জিনিস প্রয়োজন বহির্ভূত তা সংসারের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই তা আল্লাহ পাক-উনার থেকে দূরবর্তী হবার কারণ হয়।

হযরত ইব্রাহীম খাওয়াছ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, একবার লাকাম পর্বতের উপর অবস্থানকালে আমি একটি গাছে অসংখ্য ডালিম ঝুলছে দেখতে পেলাম। তখন আমার মনে একটি ডালিম খাওয়ার ইচ্ছে জাগল। সুতরাং আমি একটি ডালিম ছিঁড়ে নিয়ে ভেঙে তা মুখে দিলাম। কিন্তু ডালিমটি খুবই টক লাগল। তখন আমি তা ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম। পথিমধ্যে একটি দরিদ্র লোককে রাস্তার উপরে পড়ে থাকতে দেখলাম, অসংখ্য বোলতা তাকে দংশন করছিল। আমি তাকে সালাম দিলে সে সালামের জবাব দিয়ে আমার নাম ধরে বলল, হে ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমি আশ্চর্যান্বিত হয়ে উনাকে বললাম, আপনি আমাকে চিনেন কি করে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-উনাকে চিনে তার নিকট কোন বিষয়ই গুপ্ত থাকে না। আমি বললাম, বুঝতে পারলাম, আপনি আল্লাহ পাক উনার বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তবে আপনি বোলতার দংশন থেকে রক্ষা পাবার জন্য কেন আল্লাহ পাক-উনার নিকট প্রার্থনা করছেন না? তিনি বললেন, আপনিও তো আল্লাহ পাক-উনার বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তবে আপনি কেন ডালিমের লোভ থেকে রক্ষা পাবার জন্য আল্লাহ পাক-উনার নিকট প্রার্থনা করলেন না? ডালিমের লোভরূপ বোলতার দংশনজনিত জখম পরকালে প্রকাশ পাবে এবং যন্ত্রণা দিতে থাকবে; কিন্তু আমার প্রতি এই বোলতার দংশন দুনিয়াই শেষ হয়ে যাবে। লোকটির কথা শুনে আর উনার সাথে কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে নীরবে চলে গেলাম।

হযরত সাররী ছাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর্যন্ত আমার মন আখরোট ফল মধুর মধ্যে ভিজিয়ে খেতে চেয়েছে; কিন্তু আমি অদ্যাবধি মনের সে আশা পূরণ করিনি। প্রবৃত্তিকে হালাল দ্রব্য উপভোগে দমন না করলে আখিরাতের পথে চলার জন্য হৃদয়কে সংশোধন করা সম্ভব হয় না। কেননা যখন প্রবৃত্তিকে কোন কোন হালাল দ্রব্য থেকে বারণ না করা হয় তখন ক্রমে ক্রমে তা হারাম দ্রব্যের প্রতিও লোভ করতে শুরু করবে। যে ব্যক্তি পরনিন্দা ও অনর্থক বাক্য বলতে তার রসনাকে বিরত রাখতে ইচ্ছে করে, তার নীরব থাকাই কর্তব্য। সে তখন শুধু আল্লাহ পাক-উনার যিকির এবং ধর্মের আবশ্যকীয় বিষয়গুলো পালন করতে থাকবে যে পর্যন্ত না অনর্থক কথার লোভ তার হৃদয় থেকে চলে যায়। সে সত্য কথা ব্যতীত অন্য কোন কথাই বলবে না। তখন তার নীরব থাকাই ইবাদত। আবার অন্য সময় তার কথা বলা ইবাদত। যখন সব সুন্দর জিনিসের প্রতি লক্ষ্য করাই চোখের অভ্যাস, তখন যেদিকে দৃষ্টিপাত করা হারাম, সেদিকেও সে লক্ষ্য করতে থাকে।

সমস্ত প্রবৃত্তির অবস্থাই তদ্রূপ। কেননা যে প্রবৃত্তি দ্বারা হালাল অন্বেষণ করা হয়, তদ্বারা আবার হারাম জিনিসও অন্বেষণ করা হয়। প্রবৃত্তি একই, কিন্তু হারাম কার্য থেকে তাকে বিরত রাখাই কর্তব্য। যদি প্রয়োজনের মধ্যে লোভকে সীমিত করা না হয় তবে তা প্রবল হয়ে যায়। এটাই হালাল দ্রব্যের বিপদ। এর পিছনে এতদপেক্ষাও বড় বিপদ আছে, তা এই, মন সংসারের সুখণ্ড সম্পদে আনন্দ পাওয়া। তার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে তা মন্দ হোক আর ভাল হোক তাতে শান্তি লাভ করে। তখন সে তজ্জন্য মোহমত্ত লোকের ন্যায় উন্মুক্ত হয়ে যায়। তা থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয় না। সংসারের প্রতি তদ্রƒপ আসক্তি ও ভালবাসা ধ্বংসকর বিষসদৃশ। তা প্রত্যেক শিরায় উপশিরায় প্রবাহিত হয় এবং হৃদয় থেকে ভয়, দুঃখ, মৃত্যু চিন্তা কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার কথা দূর করে দেয়। এটাই আত্মার মৃত্যু। (অসমাপ্ত)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫১)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫২)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৩)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৪)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৫৫)