ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

সংখ্যা: ২৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত ছলাত মুবারক ও সালাম মুবারক।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৯ সালে ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকায় এসে সে ২৫ ক্যাটাগরির বাংলাদেশী পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর, অর্থাৎ পুরো সোয়া যুগ কেটে গেলেও এখনও সে ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরকালে ৪৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বলা হলেও বাস্তবে আদৌ কাজ হয় না। বাংলাদেশের ব্যাপারে কুচক্রী ভারতীয়দের নীতি ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষিত অঙ্গীকার থেকে মনমোহন সিংয়ের সরে যাওয়ার খবরে সচেতন মহল বিস্মিত হয়নি। কিন্তু অবুঝ, অসচেতন জনগণ বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে পারছে না; যখন তারা শুনছে যে ভারতকে কানেকটিভিটি নাম দিয়ে নতুন করে ট্রানজিট দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল খোলামেলাভাবেই এই কানেকটিভিটির কথা বলেছে।

তবে এবার ‘ট্রানজিট’ বা ‘করিডোর’ শব্দের পরিবর্তে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘কানেকটিভিটি’ বা সংযোগ। এ জন্য নেয়া হয়েছে একগু”ছ পরিকল্পনা। দ্রুত গঠন করা হচ্ছে সচিব পর্যায়ের ওয়ার্কিং কমিটি। তারা খতিয়ে দেখবে এই পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা। ভারতের সাথে ‘কানেকটিভিটি’ বাড়ানোর জন্য কমিটি সুপারিশও করবে। এই পরিকল্পনার আওতায় আখাউড়া-আগরতলা রেল লিঙ্কের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। আগরতলা-রামগড় রেলযোগাযোগের জন্য যৌথ আলোচনা শুরুর পাশাপাশি ভারতের ফুলবাড়িতে বিদ্যমান রেলপথের সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকলে আসাম ও মেঘালয় এবং বাংলাদেশের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীতে যাচাই-বাছাইপূর্বক আরো পোর্ট-অব-কল  স্থাপন ও সংযোজন করা হবে। এই সঙ্গে আরো ব্যাপক কার্যক্রম নিয়ে দু’পক্ষ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। একটি মহল বলার চেষ্টা করছে, ভারতের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য রক্ষা করতে হলে এই কানেকটিভিটি জরুরী। কিš‘ এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মহল বলে আসছে, সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট বা করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই। কানেকটিভিটি শব্দটি সেই করিডোরের ছদ্মবেশ মাত্র।

উল্লেখ্য, ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার জন্য সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা নেই। কারণ এটি একটি জাতীয় ইস্যু। এ ধরনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিষয়টি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা জরুরী। সে সম্পর্কে বিরোধীদের মতামত এবং সম্মতি নেয়া অত্যাবশ্যক। আর বর্তমান জাতীয় সংসদে যেহেতু কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই। যারা আছে তারা যেহেতু সরকারেরই একটি অংশ। সুতরাং ট্রানজিট দেয়ার ক্ষেত্রে এই সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা নেই।

সম্পূর্ণ হক্বদার কোনো দাবি আদায় করতে না পারা সত্ত্বেও ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে। যা সত্যিই দুঃখজনক। কারণ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও সফলতার মুখ দেখেনি তিস্তা ও অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি। স্’লসীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার ব্যাপারেও ভারতের কোনো আগ্রহ দৃশ্যমান হয়নি। সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিককে প্রতিনিয়ত গুলি করে হত্যা করছে দেশটির সীমান্ত বাহিনী-বিএসএফ। এটিও কমিয়ে আনার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আন্তরিক নয় ভারত সরকার। অথচ সেই ভারতকে তাদের দেশের একটি রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাসুবিধা করে দিতে বাংলাদেশকে অনেক বেশি উদগ্রীব দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহজ ও উন্নত করবে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে করণীয় ঠিক করতেই মূলত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছে, ‘ট্রানজিট বা করিডোরের ব্যাপারে আমাদের মাইন্ডসেট আছে। আমাদের দরজা বন্ধ করে রাখলে চলবে না। আমরা দরজা বন্ধ রাখলে অন্যরা খুলে দেবে। আমরা যদি আমাদের দরজা বন্ধ করে দিই, অন্য জায়গা দিয়ে দরজা করে নেবে। কেউ কারো জন্য বসে থাকবে না।

ট্রানজিট নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে যে তোড়জোড় চলছে, তা যে প্রকৃতপক্ষে করিডোর, এ আলোচনা এ যাবৎ যথেষ্ট হয়েছে। ভারতকে কথিত এই ট্রানজিট দিলে, বলা হচ্ছে যে, আয় হবে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান বাস্তবতায় এটা বাংলাদেশের কাছে আদৌ কোনো বড় অংক কিনা, এ প্রশ্নও সঙ্গতকারণেই উঠছে। কারণ, তৈরী পোশাক রফতানি করে এখন বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এটাপ্রায় দ্বিগুণ হবে।

উল্লেখ্য, জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশে গত ৫ বছরে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার। এব্যাপারে যেসব সমস্যা-সঙ্কট জেঁকে বসে আছে, সেসব নিরসন করা গেলে আয় আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

বাস্তবতার নিরিখে এটাই সত্য, তৈরী পোশাক শিল্প ও জনশক্তি রফতানি খাতে উদ্যোক্তারা আরও সতর্ক হলে এবং সরকার অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ও রফতানি বাজারগুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই দুই খাতের আয় আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

কথিত ট্রানজিটের মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলার আয় বাংলাদেশের জন্য মোটেই বড় কোনো আয় বলে বিবেচিত হতে পারে না। ট্রানজিট দিলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, এমন কথা যারা বলতে চায়, তারা বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের অব্যাহত অতীত নেতিবাচক প্রবণতা-আচরণের কথাটি বেমালুম ভুলে যেতে চায়। সর্বোপরি ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়ার সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। স্বার্থ চরমভাবে ক্ষুন্ন হবে। দেশের দুর্বল সড়ক অবকাঠামোর জরুরী প্রসঙ্গও রয়েছে। কোনো কিছু দেয়ার আগে, সে দেশ যত বন্ধুই হোক না কেন, নিজস্ব স্বার্থই সর্বোচ্চ বিবেচ্য বিষয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রানজিট নামেই হোক কিংবা যে নামেই হোক- ভারতকে করিডোর দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী ঈমানদার মুসলমান ঈমানের স্বার্থেই তা বরদাশত করবে না।

মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক  ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার  নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবুবে রব্বানী

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল