ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নয়? তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার তা বরদাশত করে কি করে? ভারত কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে না? তাহলে ভারতীয় ‘র’ এদেশের আইন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তোয়াক্কা না করে তাদের শত্রুকে ভারতে পাঠায় কি করে?

সংখ্যা: ২৩৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাংলাদেশ কি ধীরে ধীরে ভারতের থাবার মধ্যে চলে যাচ্ছে? কেনোভাবেই এই থাবা থেকে বের হতে পারছে না ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে। ক্ষমতাসীন দল কি ভারতের সেবাদাস? ভারতকে সবকিছু দেয়ার জন্য মরিয়া? তিস্তার পানিশূন্যতা থেকে ফারাক্কার বাঁধের বিপরীতে ভারতকে ট্রানজিট, বিদ্যুৎ করিডোরসহ কতকিছু দেয়ার উদাহরণ দিতে হবে?

ভারত আমাদের নদীগুলো মেরে ফেলছে। আমাদের নদী হিসেবে খ্যাত নদীগুলোর পানি মেশিন দিয়ে টেনে নিতেও তারা কুণ্ঠা বোধ করছে না। তাদের বাঁধগুলো আমাদের জন্য আজ মরণ ফাঁদ। পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার কথা বললেও আজো তাদের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না। কিন্তু শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন। নতুন নতুন বাঁধ নির্মাণে তাদের কোনো বিরাম দেখা যাচ্ছে না। অথচ চীন গঙ্গা নদীর উৎসমুখে বাঁধ (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) নির্মাণ করতে গেলে তারা প্রতিবাদ করতে জাতিসংঘে যেতেও পিছপা হয়নি।

ভারত নদীগুলোতে বাঁধ দেয়ার ফলে বাংলাদেশ দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রথমত, শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিমাণে পানি পাচ্ছে না। আবার বন্যার মৌসুমে ভারত অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিচ্ছে বলে আমরা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি। এই পানিতে নদীর ভাঙ্গন বেড়ে যায়। ফলে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হতে থাকে।

নদী নিয়ে তাদের আগ্রাসনে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে নদীর পানি প্রত্যাহার। এক নদীর পানি আরেক নদীতে দেয়ার ফলে মূল যে নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাতে পানির স্বল্পতা দেখা যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ভরা মৌসুমেও সঠিকভাবে পানি পাচ্ছে না।

ভারত সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে গরু-ছাগলের মতো। আগে গুলি করে হত্যা করতো। আমাদের প্রতিবাদের মুখে তারা ওয়াদা করলো গুলি করে আর মানুষ হত্যা করবে না। তাই এখন তারা পাথর ছুড়ে, লাঠি ছুড়ে, অত্যাচার করে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে। যেন আমাদের জীবনের কোনো দাম নেই। অথচ নির্লজ্জের মতো তারা বলছে আত্মরক্ষার জন্য তারা হত্যা করছে।

ভারত আমাদের মধ্য দিয়ে তাদের পণ্য নিয়ে যাচ্ছে। এতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ৯০ ভাগ খরচ কম হচ্ছে। তার উপর তাদের এর জন্য কোনো খরচ বহন করতে হচ্ছে না। উপরন্তু আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে তাদের মাল পৌঁছে দেবার জন্য। তার উপর আমাদের রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্টের যে ক্ষতি হচ্ছে তা তো আলাদা। ভারত থেকে যে রাস্তা ভারতে গিয়ে শেষ হয়েছে তার নাম কি করে ট্রানজিট হয় তা বোধগম্য নয়। অথচ তারা আমাদের কোনো পথ করে দিচ্ছে না যাতে করে আমরা সড়ক পথে বহিঃবিশ্বের সাথে যোগাযোগ/ব্যবসা করতে পারি। তারা তা কখনোই হতে দিবে না। কারণ তাহলে আমাদের তাদের উপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। যা তাদের একচ্ছত্র ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর। তারা আমাদের চিরজীবন দাবিয়ে রাখতে চায়।

একসময় বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের অহঙ্কার ছিল এসকিউ, ক্রিস্টাল, মাস্টার্ড, হলিউড, শান্তা, রোজ, ফরচুনা, ট্রাস্ট, শাহরিয়ার, স্টারলি ও ইউনিয়ন অ্যাজাক্সসহ উন্নত মানের কারখানা। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- তারা আজ বাংলাদেশের নেই। নানা ছলে বলে কৌশলে এগুলো কিনে নিয়েছে ভারতের কেম্পানিগুলো। এতে সহযোগিতা করেছে এদেশে কাজ করতে আসা ভারতীয় কর্মকর্তারা। তারা কৌশলে শ্রমিক অসন্তোষ লাগিয়ে এই কারখানাগুলো লোকসানে নিয়ে গিয়েছে। তারপর উদ্ধারের নামে কিনে নিয়েছে। এতে তারা ব্যবহার করছে ভারত বংশোদ্ভুত কানাডা, ইংল্যান্ড আর আমেরিকান সিটিজেনশিপদের। আজ ভারতে তাদের দেশের কোটা পূরণ করছে, সাথে সাথে আমাদের দেশের কোটার সহায়তা নিয়ে তাদের পোশাক রপ্তানি করছে। এতে বাংলাদেশের প্রকৃত কারখানাগুলো কোটা পূরণ করার আগেই তারা কোটা পূরণ করে ফেলছে। যার ফলে আমরা কোটার প্রকৃত লাভ তুলতে পারছি না। এখন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে লিড দিচ্ছে ভারতের কোম্পানী।

আমাদের দেশের পাটকে তারা কৌশলে শেষ করে দিয়েছে। এর জন্য সহায়তা নিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক আর এশিয়ান ব্যাংকের। তারা বাংলাদেশকে অর্থায়ন করেছে পাট কারখানা বন্ধ করতে। অথচ ভারতের রুগ্ন পাটশিল্পকে বাঁচাতে সেই তারাই আবার টাকা ঢেলেছে। ফলে আমাদের দেশের পাট আজ তাদের দেশে চলে গেছে।

আমাদের সমুদ্র সীমা অমিমাংসিত বলে তারা আমাদের সীমানার ভিতরে ঢুকে তাদের সীমা বলে দাবি করছে। (এটি মিয়ানমারও করছে)। যদি তাদের ইচ্ছা পূরণ হয় তাহলে তিন বিঘা করিডোরের মতো বাংলাদেশেরও কয়েক বিঘা করিডোর লাগবে বহিঃসমুদ্রে যাবার জন্য। একেই বলে দাদাগিরি।

তারা সমুদ্র থেকেই আমাদের ইলিশ নিয়ে নিচ্ছে। তারা অবাধে আমাদের সীমান্তে প্রবেশ করে মাছ ধরছে। আবার আমাদের জেলেদের কাছ থেকে চোরাই পথে সমুদ্র থেকেই কিনে নিচ্ছে ইলিশ। তাছাড়া স্থল পথে চোরাই কারবার তো আছেই। কিন্তু এর বিপরীতে তারা আমাদের দিচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, অবৈধ অস্ত্র। তাদের দেশের সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ফেনসিডিল কারখানা শুধু বাংলাদেশে পাচার করার জন্য। এগুলো নিয়ে বিএসএফ-এর কোনো মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা গরু ব্যবসা নিয়ে। তাই আমাদের মেরে ফেলতেও তাদের কোনো বাঁধে না।

সমুদ্র সন্ত্রাসে যুক্ত হয়েছে তাদের জেলেদের অত্যাচার। আগে লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরতে আসতো। এখন আধুনিক ট্রলারে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা প্রায় জোর করে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এই ট্রলারগুলোতে যোগাযোগের আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় তারা একে অপরের সাথে সহজেই অতি দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে। ফলে এক মিনিটেই তাদের সব জড় হয়ে যায়। যদি বাংলাদেশের জেলেরা তাদের কাজে প্রতিবাদ করে তাহলে আমাদের নিজেদেরকেই দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে হয়। তারা দ্রুত যোগাযোগ করে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের জেলেদেরই ধাওয়া করে। অনেক সময় জাল আর নৌকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর উপর রয়েছে তাদের আধুনিক মাছ ধরার জাল। এই জালগুলো মাইলের পর মাইল বিস্তৃত থাকে। বাংলাদেশের সীমান্তে তারা ১০০-১৫০ ট্রলার নিয়ে প্রবেশ করে। এইভাবে মাইলের পর মাইল জাল বিছিয়ে টেনে মাছ ধরলে বাংলাদেশে সমুদ্রে একসময় মাছ বলে কিছু থাকবে না।

তাদের দাবি আমাদের দেশে তাদের দেশের বিচ্ছিন্নবাদীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই। অথচ তাদের দেশে প্রকাশ্যে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলন চলছে। এমনকি এই আন্দোলনের লোকেরা নিজেদের মধ্যে স্বাধীন বঙ্গভূমির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার তৈরি করে নিয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রকাশ্য এবং দৃশ্যত সরকারিভাবেও ভারতীয় মুশরিকরা বাংলাদেশ সরকারকে থোরাই কেয়ার করে। বরং এমন আচরণ করে যাতে প্রতিভাত হয় বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য। নাঊযুবিল্লাহ!

প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিল/২০১৪ ঈসায়ী মঙ্গলবার, এক সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বাংলাদেশে আইএসআই এর এক এজেন্ট ওয়াকাসকে ‘র’ গ্রেফতার করেছে ঢাকায়। যদিও ওয়াকাস বাংলাদেশে আছে বলে ‘র’-এর কাছে তথ্য ছিল কিন্তু তার অবস্থানের ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল তারা। এদিকে ‘র’-এর তৎপরতায় এবং অন্যান্য ঘটনায় আইএসআই ধারণা করে- তাদের এজেন্টের কাভার নষ্ট হয়ে গেছে এবং তাকে দেশে ফেরত নেয়া জরুরী। এরই সূত্র ধরে ওয়াকাসের জন্য একটা পাসেপোর্ট তৈরি করে সংস্থাটি।

আইএসআই’র তৈরিকৃত পাসপোর্টটি নিয়ে ওয়াকাস যখন ঢাকায় হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়, ইমিগ্রেশনে কর্মকর্তাদের মনে তা দেখা মাত্র সন্দেহের উদ্রেক হয়। তারা আবিষ্কার করে, পাসপোর্টে বিমানবন্দরে প্রবেশের টিকিট নেই। সন্দেহ পাকাপোক্ত হতেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ওয়াকাসকে আটকের প্রস্তুতি নেয়। এরই মাঝে বিষয়টি ‘র’-এর একজন কর্মকর্তার নজরে আসে। সে তার স্মার্ট ফোনে দ্রুত ওয়াকাসের একটি ছবি তোলে। ছবিটি ‘র’-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ‘র’-এর কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখতে পায়, ছবির ওই ব্যক্তিকেই খুঁজছে তারা। এরপর ‘র’-এর কর্মকর্তারা তাদের কৌশল খাটিয়ে ওয়াকাসকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে তারা তাকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে ঢাকায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং)-এর হাতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর আটকের বিষয়ে কিছু জানে না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ১৬ এপ্রিল ২০১৪ ঈসায়ী ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সে এ কথা বলে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলে যে, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। পত্রপত্রিকায় পড়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’

‘র’-এর এমন এখতিয়ার আছে কিনা, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলে যে, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের বন্দীবিনিময় চুক্তি আছে। কিন্তু এমন কোনো এখতিয়ার তাদের নেই।’

বলাবাহুল্য, সংঘটিত ঘটনায় সংক্ষুদ্ধ দেশের স্বাধীনতা দরদী সব সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি কিভাবে আইএসআই’এর একজন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা কেন তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়- তার ব্যাখা সরকারকে দিতে হবে।

বলাবাহুল্য, ঢাকা থেকে ‘র’-এর কর্মকর্তাদের আইএসআই’র এজেন্টকে ধরে নেয়ার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দেখা যাচ্ছে, এদেশে এদেশীয় গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ও শক্তিশালী অবস্থানে আছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। নাঊযুবিল্লাহ! মূলত, ক্ষমতাসীন সরকারের সমর্থন, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায়ই এরূপটি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক ইরান ও পাকিস্তানের একটি ঘটনার উল্লেখ করা যায়। গত ২রা ফেব্রুয়ারিতে (২০১৪ ঈসায়ী) ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত বেলুচিস্তানে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জাইশ উল আদল ইরানের পাঁচজন বর্ডার গার্ডকে কিডন্যাপ করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ইরান সরকার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান সরকারকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় ও দ্রুত তাদের সেনাদের মুক্ত করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করে, সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবকেও তারা চিঠি দেয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ইস্যুটা উত্থাপন করে। এতে পাকিস্তান-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়। অন্যদিকে ইরান সরকার বিকল্প উপায়ে কূটনৈতিকভাবে তাদের সেনাদের মুক্ত করতে নানা তৎপরতা চালায়। অবশ্য ইরান সরকার হুমকি দেয় এতে কাজ না হলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তারা সেনা পাঠাতে বাধ্য হবে। যাই হোক, পাকিস্তান সরকার ইরানি বর্ডার গার্ড উদ্ধারে তেমন কিছুই করতে পারেনি। ইরান সরকার স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতায় ও কূটনৈতিকভাবে তাদের চারজন বর্ডার গার্ডকে মুক্ত করে! অবশ্য একজন বর্ডার গার্ডকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।

যেখানে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী এরকম কোনো সহিংস ঘটনা এখন পর্যন্ত সংঘটিত হয়নি। তারপরেও ভারতের আচরণ আমাদের সাধারণ নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত সংক্ষোভের। বাংলাদেশ সরকারের উচিত নাগরিকদের ক্ষোভ প্রশমনে এবং উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা নিরসনে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, শ্রীনগরী।

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯