ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২৭

সংখ্যা: ২০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

[শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।]

(ধারাবাহিক)

মুহম্মদ আলী পাশা যিনি পবিত্র আরব জাহানের শহরগুলিকে দস্যুমুক্ত করাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যুগপৎভাবে শ্রম এবং স্বর্ণমুদ্রার নিরলস ব্যয় ঘটাতে থাকলেন সেই পবিত্র লক্ষ্যে। (আজকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যায় যে, আজকে সউদী ওহাবী সরকার সারাবিশ্ব  জুড়ে একইভাবে হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করছে মুসলমানদেরকে ওহাবীজমের বিষবাষ্পে কলুষিত করার জন্য। লা-মাযহাবীদের এই বিষাক্ত ছোবল থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী উনাদের কিতাবাদি পাঠের কোনো বিকল্প নেই। এবং সারাবিশ্ব জুড়ে বর্তমানে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের একমাত্র দলীলভিত্তিক মুখপত্র হলো তাজদীদী কিতাব মাসিক আল বাইয়্যিনাত। আব্দুল্লাহ ইবনে সাউদ তার মুসলিম নির্যাতনকারী লুটেরা বাহিনীসহ গ্রেফতার হয় এবং মিসরে প্রেরিত হয়। মুহররমুল হারাম ১২৪৩ হিজরীতে মুহম্মদ আলী পাশা স্বভাবজাত শরাফত এবং ইহসান অনুযায়ীই দস্যু ইবনে সাউদের মুখোমুখি হলেন।

বেশ পরিশ্রমের ধকল গিয়েছে তোমার উপরে বোঝা যাচ্ছে, কম সংগ্রাম তো আর করনি। পাশা বললেন আব্দুল্লাহ বিন সাউদকে।

You have struggled very hard” the pasha said, নছীব এবং নিয়তির ভাঙ্গা গড়ার লীলাই হল যুদ্ধ। ইবনে সাউদের প্রত্যুত্তর।

War is an affair of fate and luck, Ibn Sa’ud answered.

পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন পাশা “আমার ছেলে ইবরাহীম পাশাকে কেমন দেখলে?”

How do you find my son Ibrahim Pasha?

“অত্যন্ত সাহসী একজন বীর পুরুষ। বুদ্ধিমত্তা তার সাসিকতার ঊর্ধ্বে প্রাধান্য পেয়েছে। আর আমরা অতি কঠোর প্রচেষ্টা চালানো সত্ত্বেও আল্লাহ পাক তিনি নছীবে যা রেখেছেন তাই ঘটেছে। চিন্তা করনা। আমি তোমার জন্য যিনি খলীফাতুল মুসলিমীন উনার কাছে একখানা চিঠি লিখছি সদয় আচরণের জন্য।

দস্যু ইবনে সাউদের জবাব “নছীবে যা রয়েছে তা ঘটবেই।”

-এই সুরম্য বক্সটি কেন বহন করছ? এখানে আমার বাবা যা লুটপাট করেছিল মুবারক হুজরাতুন নববীয়্যাহ থেকে (নাউযুবিল্লাহ!) তা রাখা আছে। আমি এগুলো আমাদের যিনি সুলতান রয়েছেন তার কাছে পেশ করবো। (লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।) মুহম্মদ আলী পাশা নির্দেশ করলেন সুরম্য পাত্রটি খোলার জন্য। বিপুল পরিমাণ স্বর্ণমুদ্রার সাথে সাথে তিনটি কুরআন শরীফ-এর নুসখা, ৩৩০টি বিশাল বিশাল মুক্তা, একটি বিশাল পান্না এবং স্বর্ণের চেইন। পবিত্র হুজরাতুন নববীয়্যাহ থেকে যাই চুরি করা হয়েছে তাই দেখা গেলো। নাঊযুবিল্লাহ! (অসমাপ্ত)

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।