মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ বিষয়ে কারো কোনো প্রকার ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক- (৬ষ্ঠ পর্ব)

সংখ্যা: ২৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহর বা ইহতিয়াতুয ‍যুহর এর আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-চলমান), ৩৬. সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৫-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-

৩৭তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে

‘সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক’ পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭১-৭৪)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتـٰى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ وَاٰدَمُ بَيْـنَ الرُّوْحِ وَالْـجَسَدِ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার জন্য মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক কখন হতে নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থাৎ আপনি কখন থেকে মহাসম্মানিত নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন রূহ এবং জিস্ম মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন তখনও আমি মহাসম্মানিত নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, আহকামুশ শরী‘য়াহ্ লিল ইশবীলী, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৫-৭৭)

عَنْ حَضْرَتْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّهٗ قَالَ اِنِّـىْ عِنْدَ اللهِ مَكْتُوْبٌ خَاتَـمُ النَّبِـيِّـيْـنَ وَاِنَّ اٰدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِـىْ طِيْنَتِهٖ وَسَاُخْبِـرُكُمْ بِاَوَّلِ اَمْرِىْ دَعْوَةُ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَبِشَارَةُ حَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ وَرُؤْيَا اُمِّىَ الَّتِـىْ رَاَتْ حِيـْنَ وَضَعَتْنِـىْ وَقَدْ خَرَجَ لَـهَا نُوْرٌ اَضَاءَ لَـهَا مِنْهُ قُصُوْرُ الشَّامِ.

অর্থ: “হযরত ‘ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমি তখনও ‘খ¦াতামুন নাবিয়্যীন’ রূপে লিপিবদ্ধ ছিলাম যখন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মাটির খামির মুবারক-এ ছিলেন। আমি আপনাদেরকে আরো সংবাদ মুবারক দিচ্ছি যে, আমার মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার প্রথম প্রকাশ হলো সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দু‘আ মুবারক এবং হযরত ‘ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক আর আমার মহাসম্মানিত এবং মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার প্রত্যক্ষ দর্শন মুবারক, যা তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় দেখেছিলেন যে, উনার থেকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক প্রকাশিত হয়েছেন, সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোতে তিনি সিরিয়ার রাজপ্রাসাদসমূহ পর্যন্ত দেখতে পান।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুস সুন্নাহ্ শরীফ ১৩/২০৭, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৭৮-৮৩)

عَنْ حَضْرَتْ اُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ كُنْتُ اِمَامَ النَّبِـيِّـيْـنَ وَخَطِيْبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ غَيْـرَ فَخْرٍ.

অর্থ: “হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন আমিই হব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম ও খতীব এবং উনাদের শুপারিশকারী। এতে আমার কোন ফখর নেই।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ্ শরীফ, মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫/১৩৭, মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৭৪, মিশকাত শরীফ, মুসনাদে শাশী ২/৩৮২ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৮৪-৮৫)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى فَضَّلَ سَيِّدَنَا مُـحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْاَنْۢبِيَاءِ وَعَلـٰى اَهْلِ السَّمَاءِ فَقَالُوْا يَا اَبَا عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ بِـمَ فَضَّلَهُ اللهُ عَلـٰى اَهْلِ السَّمَاءِ قَالَ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى قَالَ لِاَهْلِ السَّمَاءِ وَمَنْ يَّقُلْ مِنْهُمْ اِنِّـىْ اِلٰهٌ مِّنْ دُوْنِهٖ فَذٰلِكَ نَـجْزِيْهِ جَهَنَّمَ كَذٰلِكَ نَـجْزِى الظَّالِمِيْـنَ وَقَالَ اللهُ تَعَالـٰى لِسَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا لِّـيَغْفِرَ لَكَ اللهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْۢبِكَ وَمَا تَاَخَّرَ قَالُوْا وَمَا فَضْلُهٗ عَلَى الْاَنْۢبِيَاءِ قَالَ قَالَ اللهُ تَعَالـٰى وَمَا اَرْسَلْنَا مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهٖ لِيُبَيِّـنَ لَـهُمْ فَيُضِلُّ اللهُ مَنْ يَّشَاءُ اَلْاٰيَة وَقَالَ اللهُ تَعَالـٰى لِسَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ فَاَرْسَلَهٗ اِلَـى الْـجِنِّ وَالْاِنْسِ.

 অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত ফযীলত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে হযরত আবূ আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু! (হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার কুনিয়াত মুবারক) মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কিভাবে সম্মানিত ফযীলত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন? হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আকাশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘(আসমানবাসী) উনাদের যে কেউ বলবে যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া আমিই ইলাহ বা মা’বুদ, না‘ঊযুবিল্লাহ! আমি তাকে জাহান্নামে শাস্তি প্রদান করব। আর আমি যালিমদেরকে অনুরূপই শাস্তি প্রদান করে থাকি।’ আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনার জন্য বরকত ও কল্যাণের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা এজন্য যে, নিশ্চয়ই আমি আপনার সম্মানার্থে আপনার উম্মতদেরকে প্রকাশ্য বিজয় দান করেছি। (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিজয়ের মুহতাজ নন। আর জয় পরাজয় তো উনার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়; বরং উম্মতের সাথে সংশ্লিষ্ট। তিনি জয় পরাজয়ের মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা বিজয় দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা পরাজিত করেন।) মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র রেখেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর কিভাবে উনাকে সম্মানিত ফযীলত মুবারক দেয়া হয়েছে? জওয়াবে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি যখনই কোন হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করেছি, উনাকে আপন সম্প্রদায়ের ভাষা দিয়েই পাঠিয়েছি, যেন তিনি তাদেরকে (মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত হুকুম-আহকাম মুবারকসমূহ) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। অতঃপর যারা তা গ্রহণ করবে না, অস্বীকার করবে, তারা গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে।’ আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, (আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম!) আমি আপনাকে সমস্ত মানুষের জন্য মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে পাঠিয়েছি, (সৃষ্টি মুবারক করেছি।)’ সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে জ্বিন-ইনসান (সমস্ত কায়িনাতের) জন্যই পাঠিয়েছেন, (সৃষ্টি মুবারক করেছেন)।” সুবহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, মুসনাদে দারিমী শরীফ ১/৬৮)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৮৬-৮৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ ذَرِّ ۣ الْغِفَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ عَلِمْتَ اَنَّكَ نَبِـىٌّ حَتَّـى اسْتَيْقَنْتَ فَقَالَ يَا اَبَا ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَتَانِـىْ مَلَكَانِ وَاَنَا بِـبَعْضِ بَطْحَاءِ مَكَّةَ فَوَقَعَ اَحَدُهُـمَا عَلَى الْاَرْضِ وَكَانَ الْاٰخَرُ بَيْـنَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ فَقَالَ اَحَدُهُـمَا لِصَاحِبِهٖ اَهُوَ هُوَ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَزِنْهُ بِرَجُلٍ فَوُزِنْتُ بِهٖ فَوَزُنْتُهٗ ثُـمَّ قَالَ زِنْهُ بِعَشَرَةٍ فَوُزِنْتُ بِـهِمْ فَرَجَحْتُهُمْ ثُـمَّ قَالَ زِنْهُ بِـمِائَةٍ فَوُزِنْتُ بِـهِمْ فَرَجَحْتُهُمْ كَاَنِّـىْ اَنْظُرُ اِلَيْهِمْ يَنْتَـثِـرُوْنَ عَلَىَّ مِنْ خِفَّةِ الْمِيْزَانِ قَالَ فَقَالَ اَحَدُهُـمَا لِصَاحِبِهٖ لَوْ وَزَنْتَهٗ بِاُمَّتِهٖ لَرَجَحَهَا.

 অর্থ: “হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূল্লাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াতী ও রিসালতী শান মুবারক প্রকাশ পেলে? আপনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে কখন জানতে পারলেন যে, আপনি মহাসম্মানিত নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এমন কি আপনি এই বিষয়ে আপনার সম্মানিত উম্মত উনাদেরকে প্রকাশ করার অনুমতি মুবারক পেলেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! একদা আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার বাত্হা উপত্যকায় ছিলাম। এই সময় দুইজন সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা আমার নিকট আসলেন। উনাদের একজন মাটিতে নেমে আসলেন এবং অপরজন আসমান ও যমীনের মাঝখানে রইলেন। অতঃপর একজন অপরজনকে বললেন, ইনি কি তিনিই? অপরজন বললেন; হ্যাঁ। তখন একজন বললেন, আচ্ছা, উনাকে কোনো এক ব্যক্তির সাথে ওযন করুন। অতঃপর আমাকে এক ব্যক্তির সাথে ওযন করা হল। তখন আমি ঐ এক ব্যক্তির অপেক্ষা ওযনে বেশি হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ! তারপর বললেন, এবার উনাকে দশ ব্যক্তির সাথে ওযন করুন। সুতরাং আমাকে দশ ব্যক্তির সাথে ওযন করা হল। এবারও আমি তাদের থেকে ভারি হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর বললেন, আচ্ছা, এবার উনাকে একশত জনের সাথে ওযন করুন। সুতরাং আমাকে তাদের সাথে ওযন করা হলো। এবারও আমি তাদের উপর ভারি হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর বললেন, আচ্ছা, এবার উনাকে এক হাজার জনের সাথে ওযন করুন। সুতরাং আমাকে তাদের সাথে ওযন করা হলো। এবারও আমি তাদের উপর ভারি হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মনে হচ্ছে, আমি যেন এখনও তাদেরকে দেখছি। তাদের পাল্লা হালকা হয়ে এমনভাবে উপরে উঠে গিয়েছে যে, আমার আশঙ্কা হলো, তারা যেন আমার উপরে ছিটকিয়ে পরবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তখন উনাদের একজন অপরজনকে বললেন, যদি আপনি উনাকে উনার সমস্ত উম্মতদের সাথেও ওযন করেন, (যদি সমস্ত কায়িনাতের সাথেও ওযন করেন,) তখনও উনার পাল্লা মুবারক ভারী হয়ে যাবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে দারিমী শরীফ ১/১৬৪, মিশকাত শরীফ, মিরকাতুল মাফাতীহ্ শরহু মিশকাতুল মাছাবীহ্ ৯/৩৬৯৫ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৮৯-১০২)

عَنْ حَضْرَتْ جُبَيْـرِ بْنِ مُطْعِمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اِنَّ لِـىْ اَسْـمَاءً اَنَا سَيِّدُنَا مُـحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَنَا سَيِّدُنَا اَحْـمَدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَنَا الْمَاحِىَ الَّذِىْ يَـمْحُو اللهُ بِـىَ الْكُفْرَ وَاَنَا الْـحَاشِرُ الَّذِىْ يُـحْشَرُ النَّاسُ عَلـٰى قَدَمِىْ وَاَنَا الْعَاقِبُ وَالْعَاقِبُ الَّذِىْ لَيْسَ بَعْدَهٗ شَىْءٌ.

অর্থ: “হযরত যুবাইর ইবনে মুত্‘য়িম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেছেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, আমার অনেকগুলি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক রয়েছেন। আমি সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি সাইয়্যিদুনা আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি মাহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহ পাক আমার দ্বারা কুফরকে নিশ্চিহ্ন করবেন। আমি আল হাশির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, (কিয়ামতের দিন) সমস্ত মানুষকে (সমস্ত জিন-ইনসানকে) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক (ক্বদম মুবারক) উনার নিকট সমাবেত করা হবে। আর আমি হলাম আল্ আক্বিব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ‘আক্বিব’ হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি, যাঁর পরে আর কোন নবী নেই।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুসনাদে হুমায়দী ১/৪৭৬, আল কুনা’ ওয়াল আসমা’ ১/২, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ২/১২১, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী ১৩/২১১, মু’জামুশ শুয়ূখ ১/৫১২, মুস্তাখরাজে আবী ‘আওয়ানাহ ১৮/৭০, মুসনাদে দারিমী শরীফ ২/৯১৮, আল ইস্তিযকার ৮/৬২১, আল মাফাতীহ্ ফী শরহিল মাছাবীহ্ ৬/১১৫, জামি‘উল উছূল ১১/২১৫, মাছাবীহুস সুন্নাহ্ ৪/৪৩, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১০৩-১১২)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ مُوْسَى الْاَشْعَرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَمِّىْ لَنَا نَفْسَهٗ اَسْـمَاءً فَقَالَ اَنَا سَيِّدُنَا مُـحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَيِّدُنَا اَحْـمَدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُقَفِّىْ وَالْـحَاشِرُ وَنَبِـىُّ التَّوْبَةِ وَنَبِـىُّ الرَّحْـمَةِ.

অর্থ: “হযরত আবু মূসা আশ্‘আরী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের কাছে উনার স্বীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসম বা নাম মুবারকসমূহ বর্ণনা করতেন। তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমি সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি সাইয়্যিদুনা আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি মুক্বফ্ফী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মনোনীত), আমি হাশির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সমবেতকারী) এবং আমি নবীয়ে তওবা এবং আমি নবীয়ে রহমত।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ১৩/২১৮, ছহীহ্ ইবনে হিব্বান ১৪/২২১, মুস্তাখরাজে আবী ‘আওয়ানাহ্ ১৮/৭৭, তুহ্ফতুল আবরার ৩/৪৬২, ফাতহুল মুন‘ইম ৯/২০৬, জামি‘উল উছূল ১১/২১৫, কাশফুল মানাহিজ ১/২২৮, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ ৯/৩৬৯৭ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১১৩-১২০)

عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَاْتِيْهَا فَيَقِيْلُ عِنْدَهَا فَتَبْسُطُ نَطْعًا فَيَقِيْلُ عَلَيْهِ وَكَانَ كَثِيْـرَ الْعَرَقِ فَكَانَتْ تَـجْمَعُ عَرَقَهٗ فَتَجْعَلُهٗ فِـى الطِّـيْبِ فَقَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا اُمَّ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا مَا هٰذَا قَالَتْ عَرَقُكَ نَـجْعَلُهٗ فِـىْ طِـيْـبِنَا وَهُوَ مِنْ اَطْـيَبِ الطِّـيْبِ وَفِـىْ رِوَايَةٍ قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَرْجُوْ بَرَكَتَهٗ لِصِبْـيَانِنَا قَالَ اَصَبْتِ.

অর্থ: “হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (দয়া করে) প্রায় সময় উনার বাড়ীতে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখতেন এবং দ্বিপ্রহরে সেখানে বিশ্রাম মুবারক নিতেন। তখন হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য একখানা চামড়ার ফরশ (বিছানা মুবারক) বিছিয়ে দিতেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাতে বিশ্রাম মুবারক নিতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিস্ম মুবারক) থেকে অত্যধিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘাম মুবারক) বের হতেন। আর হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারকসমূহ একত্রিত করে আতর বা সুগন্ধির মধ্যে মিশিয়ে রাখতেন। সুবহানাল্লাহ! একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা মুবারক করেন, হে হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা! আপনি এটা কি করছেন? তিনি বলেন, এটা আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক  উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক আমরা আমাদের সুগন্ধির সাথে মিশ্রিত করবো। মূলত এটাই সর্বোত্তম সুগন্ধি মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এতে আমরা আমাদের বাচ্চাদের জন্য (ব্যবহারের মাধ্যমে) বরকতের আশা করি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি ঠিকই করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারানী ২৫/১২২, ফাতহুল মুন‘ইম ৯/১৭৮, মাছাবীহুস সুন্নাহ্ ৪/৪৮, কাশফুল মানাহিজ ৫/১৪১, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ ৯/৩৭০৩ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১২১-১২৬)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ جُرَىٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَتَيْتُ الْمَدِيْنَةَ فَرَاَيْتُ رَجُلًا يَّصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَّأْيِهٖ لَا يَقُوْلُ شَيْئًا اِلَّا صَدَرُوْا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هٰذَا قَالُوْا هٰذَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْـنِ قَالَ لَا تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلَامُ فَاِنَّ عَلَيْكَ السَّلَامُ تَـحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلَامُ عَلَيْكَ قُلْتُ اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِىْ اِذَا اَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهٗ كَشَفَهٗ عَنْكَ وَاِنْ اَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهٗ اَنْۢـبَتَهَا لَكَ وَاِذَا كُنْتَ بِاَرْضٍ قَفْرٍ اَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهٗ رَدَّهَا عَلَيْكَ.

অর্থ: “হযরত আবূ জুরাই জাবির ইবনে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ আসলাম। তখন আমি দেখতে পেলাম যে, একজন মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার তা’লীম-তালকীন মুবারক, ওয়ায-নসীহত মুবারক অনুযায়ী মানুষ চলে থাকেন। তিনি যাই বলেন, যা আদেশ-নির্দেশ মুবারক করেন সকলে হুবহু সেটাই আমল করেন। সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, তিনি কোন মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক? উনারা বললেন, (তিনি হচ্ছেন) মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আমি ‘আলাইকাস সালাম’ ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দুই বার বললাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি ‘আলাইকাস সালাম’ বলবেন না, ‘আলাইকাস সালাম’ মৃত ব্যক্তিদের সম্বোধন। আপনি বলুন, ‘আস সালামু আলাইকা’। আমি (আস সালামু আলাইকা বললাম। তারপর) বললাম, আপনি কি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (হ্যাঁ) আমি ঐ মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে, দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হও তখন তুমি উনার নিকট দো‘আ করলে তিনি তোমার বিপদ-আপদ, দুঃখ-দূর্দশা দূর করে দেন। যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি উনার নিকট দো‘আ করলে তিনি তোমার জমিতে ফসল ফলিয়ে দেন, দূর্ভিক্ষ দূর করে দেন। যখন তুমি কোন জনমানব শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন তুমি উনার নিকট দো‘আ করলে তিনি তোমার বাহন ফিরিয়ে দেন, বাহনের ব্যাবস্থা করে দেন।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, আল কুনা’ ওয়াল আসমা’ ১/৫৫, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ১০/২৩৬, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ  ৪/১৩৪৪, জামি‘উল উছূল ১১/৭৪৬ ইত্যাদি)

এক কথায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

অসমাপ্ত

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

 

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২