মুজাদ্দিদে আ’যম উনার রোব: ভ্যাটিকান স্বীকার করলো ইসলামের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব এবং সত্যতা। প্রকাশ করলো “পাপের ভারে বিপর্যস্ত পাদ্রীদের বিকৃত চরিত্রহীনতা।” চার্চের প্রতি আস্থা হারানো খ্রিস্টানরা কি এরপরও আস্থা রাখবে খ্রিস্টধর্মের উপর? (৪)

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাধারণ মুসলমানের মনে খ্রিস্টান হিন্দু সম্পর্কে একটা প্রচ্ছন্ন ধারণা রয়েছে যে- খ্রিস্টান মাত্রই মদ খায়, চরিত্রহীন। হিন্দুরাও অবাধে অশ্লীলতায় ভাসে। কিন্তু এর পেছনে মূলত কারণটা কি?

সাধারণ মানুষ সে প্রশ্নেও জর্জরিত হয়নি। উত্তরও খুঁজে নেয়নি।

জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে খ্রিস্টানরা যীশু খ্রিস্ট বলে। যীশুর নামে তারা বুকে ক্রুশ রাখে। কিন্তু এই যীশুরই প্রচুর নগ্ন ছবি তারা এঁকেছে। প্রকাশ করেছে। তাদের অনেকের রচনায়ই শুধু অশ্লীলভাবে প্রকাশ নয় এমনকি যীশুকে সমকামী বানিয়ে তারা অনেক সিনেমাও তৈরি করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!

এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি তাতে খ্রিস্টান দেশে দেশে কোনো প্রতিবাদ উঠেনি। সমালোচনার  ঝড় উঠেনি। বিস্ফোরণ হয়নি।

এমনকি খোদ পোপরাও কোনো উচ্চ-বাচ্চ করেনি। আর এখানেই খ্রিস্টান মাত্রই চরিত্রহীন ও মাতাল হওয়ার কারণটা খুঁজে বের করা সহজ হয়।

অর্থাৎ কিনা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে খ্রিস্টানদের আক্বীদা খুবই খারাপ। আর যেহেতু নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে তাদের আক্বীদা খারাপ সেহেতু তাদের আমলও অনিবার্যভাবে খারাপ অর্থাৎ তারা যখন বিশ্বাস করে নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ভুল করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! পাপ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!

তখন তারাও আর পাপ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। দ্বিধা করে না, ভয় করে না। পাপ থেকে বিরত থাকার উৎসাহ পায় না।

বলাবাহুল্য, বাইবেলে নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে চরিত্রহীনতা মাতলামিসহ বহু অপবাদ দেয়া হয়েছে। আর মূলত সে কারণেই খ্রিস্টানরা জš§গতভাবে এসব পাপাচারে মগ্ন থাকে। নাঊযুবিল্লাহ। এবং এটা এখন এতই ব্যাপকতা লাভ করেছে যে, খোদ পোপরা পর্যন্ত একে একে সবাই শুধু ব্যভিচার নয় সমকামিতার মত জঘন্য পাপাচারে রীতিমত ভয়াবহ আসক্ত ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, পাদ্রীদের এ তাছির এখন সাধারণ খ্রিস্টানদের মাঝেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চিলিতে সমকামী বিয়ের আইনি বৈধতা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসে বিল উত্থাপন করেছে দেশটির স্যোশালিস্ট পার্টির প্রধান ফুলভিও রোসি।

এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর গিভো ভেস্টারভেলে  পুরুষ বন্ধু মিশায়েলকে বিয়ে করে। নাঊযুবিল্লাহ! এবং এটাকে তাদের ব্যক্তিগত জীবন অভিরুচি বলে দাবি করে। অপরদিকে কিছুদিন আগে ব্রিটেনেও সমকামী বিয়ের বৈধতা দেয়া হয়। এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইতিহাসে প্রথম সমকামী দু’জন পুরুষ বিয়ে করে। তাও তারা খ্রিস্টানদের মাঝে যেমন তেমন ব্যক্তি নন। তাদের একজন ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস ব্রায়ান্ট। অন্যজন বাণিজ্যমন্ত্রী জারেড ক্রেনি। দু’জনেই লেবার দলের। পার্লামেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্রায়ান্ট বলেন- পার্লামেন্ট একটি বিশেষ জায়গা। সমকামিতে বিয়ের ক্ষেত্রকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। পস্বাধর্ম হয়ে তারা বলেছে, আমরা গর্বিত যে, এখন যুক্তরাজ্যের যেকেউ সমকামিতে বিয়ে করতে পারবেন। এর আগে ২০০৬ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বেন ব্রাডশ সমকামিতে বিয়ে করে এমন প্রথম এমপি হওয়ার রেকর্ড অর্জন করেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন বিবিসি’র সাংবাদিক নিল ডালগ্লেইশকে।

আর আর্জেন্টিনায় গত আগস্ট মাসে সমকামী বিয়ের আইনি বৈধতা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চিলির কার্ডিনাল ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার ইরাজুরিজ আর্জেন্টিনায় সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ের আইনি সমর্থনকে বিপথগামিতা বলে আখ্যা দিয়েছেন।

কার্ডিনালের এ বক্তব্যের জবাবে সিনেটর রোসি বলেন, সমকামী বিয়েকে একটি প্রকল্প হিসেবে আমি উপস্থাপন করবো এবং এ ব্যাপারটিকে স্বাগত জানানোর জন্য আমি গির্জাকেও আহবান জানাচ্ছি।

বলাবাহুল্য, গির্জা এখন নিজেই এ ঘৃণ্য কাজে মত্ত। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বরং আরো পশুসুলভ মনোবৃত্তির। তারা গির্জায় আশ্রয় নেয়া বালকদের বলাৎকার করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!

মূলত রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে চার্চের শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নতুন কোনো ঘটনা নয়। যদিও চার্চের যাজকদের এসব কুকর্মের খতিয়ান ইহুদী-খ্রিস্টান নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় খুব কমই প্রকাশ হয়ে থাকে।]

বাংলাদেশের একটা মহল প্রায়ই ইসলাম ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করতে চান। নাতিকে দাদির ওয়ারিছ করা। তিন তালাক দিলেও না হওয়া এগুলো তার উদাহরণ। বর্তমানে এ অনৈসলামিক প্রবণতা আরো বেড়েছে। তারা এখন বাবার সম্পত্তির ওয়ারিসের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা চাইছেন। এমনকি নারীদের পর্দা করার ব্যাপারে বাধ্য না করারও নির্দেশ দিচ্ছেন।

বলাবহুল্য আমাদের দেশের গণতন্ত্র পশ্চিমা গণতন্ত্রের আদলেই। আমাদের দেশের ঈজচঈ ও ঈচঈ অর্থাৎ ফৌজদারী দ-বিধি ও দেওয়া আইন কার্যবিধি সেই ব্রিটিশদেরই করে যাওয়া।

এতদ্বপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ ধ্যান ধারণার প্রেক্ষাপটেই চলেন আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও আইনজ্ঞরা। এদেশে ইসলামের উপর তারা আঘাত হানতে চান। যেমনটি খ্রিস্ট ধর্মের উপর একের পর এক আঘাত হেনেছে খ্রিস্টানরা।

খ্রিস্টান ধর্মের উপর একের পর এক আঘাতের অবশ্য পটভূমি রয়েছে। কারণ খ্রিস্টান ধর্ম একটা বাতিল ধর্ম এবং এটা পরিপূর্ণ ধর্ম নয়। একারণেই খ্রিস্টধর্ম রক্ষার নামেই উদ্ভব হয়েছে মৌলবাদের। ১৯১৩ সালে অর্থডক্স খ্রিস্টানরা যার প্রচলন ঘটিয়েছিল।

উল্লেখ্য খ্রিস্টান ধর্ম যেহেতু বাতিল ধর্ম, খ্রিস্টানরা যেহেতু এটাকে বিকৃত করে ফেলছে সে বিকৃতির বিস্তার আজ তাদের ধর্মযাজকদের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যাথলিক গির্জাগুলোতে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা একের পর এক প্রকাশ পাওয়ায় পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তথা ভ্যাটিকান এখন কঠিন সমস্যার মধ্যে রয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের যৌনতা এখন গোটা ক্যাথলিক ব্যবস্থার জন্য দুষ্ট ক্ষতে পরিণত হয়েছে। যা মূলত তাদের হাক্বীক্বত বটে।

কোমল শিশুদের ওপর খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের যৌন নিপীড়নের অসংখ্য ঘটনায় গোটা বিশ্বই আজ হতবাক।

ব্রাজিল, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যাথলিক গির্জাগুলোতে চরম মানবতা বিরোধী এসব ঘটনা ঘটেছে।

সাধারণ খ্রিস্টানরা এসব ঘটনায় ধর্মযাজকদের ওপর এখন ভীষণ ক্ষুব্ধ। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট গির্জাগুলোর ঘৃণ্য এ ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের যৌন অনাচারের ঘটনাবলী ফাঁস হবার পর এই ধর্মের মৌলিক বিষয়ে কিছু পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। অস্ট্রিয়ার একজন ধর্মযাজক, খ্রিস্টান ধর্মগুরুদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধের বিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

পোপ তথা ভ্যাটিকান এখন এমন এক তিক্ত বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছেন, যা গোটা খ্রিস্ট ধর্মের জন্য বড় আঘাত তথা তাদের হাক্বীক্বত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আয়ারল্যান্ডে শিশুদেরকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশের পর পোপ ক্যাথলিক গির্জাগুলোর মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে নিজেও কাজ শুরু করেছেন। তিনি আয়ারল্যান্ডের ধর্মযাজকদের সাথে দুই দিনব্যাপী আলোচনার পর শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে অশ্লীল অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি আইরিশ খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আয়ারল্যান্ডের গির্জাগুলোর মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এ জন্য ধর্মযাজকদের চেষ্টা চালাতে হবে।

পোপের সাথে সাক্ষাৎকালে আইরিশ ধর্মযাজক জোসেফ দাফি বলেছেন, কলঙ্কের যে ছাপ গির্জায় লেগেছে, তা মুছে ফেলার কোন পথ নেই।

ধর্মযাজকদের অপকর্মের খবরে ধার্মিক খ্রিস্টানরা আজ উদ্বেলিত, কারণ খ্রিস্টানদের তথাকথিত আধ্যাত্মিকতা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া যাদের দায়িত্ব, তারাই আজ চরম সীমালঙ্ঘনকারী। জার্মানির ধর্মযাজক কনফারেন্সের সচিব হ্যান্স লাংগদুরফার সাপ্তাহিক এশপিগ্যালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেসব ঘটনা ফাঁস হয়েছে, তা গির্জাগুলোর নোঙরা চেহারাকে তুলে ধরেছে এবং এর ফলে আমরা খুবই ব্যথিত হয়েছি।

অপরাধী ধর্মযাজকদের নিন্দা ও সমালোচনার মাধ্যমে পোপ তথা ভ্যাটিকান জনমতের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এই কৌশল কাজে লাগেনি।

পোপ সম্প্রতি মালটা সফরকালে ধর্মযাজকদের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হওয়া কয়েকজনের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি এ সময় অশ্রুসজল চোখে এসব অপকর্মের ব্যাপারে দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি মাল্টায় বলেছেন, পাপাচার গির্জার ভাবমূর্তিকে আহত করেছে। এ সফরের একই সময় ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানায় যে, পোপ ধর্ষণের শিকার লোকজনের সাথে বৈঠককালে তাদের জন্য দোয়া করেছেন এবং এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যারা অন্যায় ও অপকর্মের সাথে জড়িত, গির্জা কর্তৃপক্ষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎপর বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, অপরাধী ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থার পাশাপাশি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

পোপের দুঃখ প্রকাশ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে এসব সংস্থা বলেছে, পোপকে কাজের মাধ্যমে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিতে হবে।

ইউরোপ ও আমেরিকায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা, গোটা বিশ্বেই ভ্যাটিকান ও পোপের আসল ভাবমূর্তিকে ফুটিয়ে তুলেছে। মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএসের এক জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারী ২৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক বলেছেন, পোপের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক নয়। এ জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মাঝে পোপের জনপ্রিয়তা ২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এর আগে ২০০৬ সালে পরিচালিত একই ধরনের এক জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, মার্কিন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মাঝে পোপের জনপ্রিয়তা প্রায় চল্লিশ শতাংশ। ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের মাধ্যমে যারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই শিশু এবং এসব শিশু গির্জাগুলোর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুলগুলোতে পড়াশোনা করতো। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যাদের আস্থা নেই এমন ধার্মিক পরিবার, তাদের সন্তানরা নৈতিক ও চারিত্রিক শিক্ষা পাবে এই আশায় গির্জার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি করে থাকে। সম্প্রতি প্রকাশিত এসব ঘটনা ক্যাথলিক ধার্মিক পরিবারগুলোর খ্রিস্টান ধর্মের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেছে।

ভ্যাটিকান ও পোপ ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার মাধ্যমে এসব কলঙ্ক চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু পাদ্রীদের বলাৎকারের ঘটনা বহুদিন যাবৎ যে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে খ্রিস্টান পাদ্রীদের যৌন অনাচারের ঘটনাবলীকে এভাবে ঢাকা দেয়া সম্ভব হবে না। গির্জাগুলোতে যৌনতা এত বেশি চরম আকার ধারণ করেছে যে, এসব ঘটনা একটির পর একটি প্রকাশিত হতেই থাকবে। অন্যদিকে গির্জাগুলোতে এ পর্যন্ত যৌন নির্যাতনের বহু ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কোন ধর্মযাজকেরই এ জন্য শাস্তি হয়নি। গির্জা কর্তৃপক্ষ কৌশলে এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পোপ ষোড়শ বেনিডিক্ট-এর আগে নিজেই এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খ্রিস্টান পাদ্রী বা ধর্মযাজকদের যৌন নিপীড়নের কারণ হিসেবে পাদ্রীদের জন্য ‘বিবাহ নিষিদ্ধ’ থাকাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলাবাহুল্য, এসব ঘটনা আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খ্রিস্টানদের চোখে অঙ্গুলি দিয়ে সতর্ক করার শামিল। যা মুজাদ্দিদে আ’যম উনার রোবে এখন তাসবীহর ছিঁড়ে যাওয়া দানার মত একের পর এক প্রকাশ পাচ্ছে।

এর পেছনে একদিকে রয়েছে খ্রিস্টান পাদ্রীদের অনৈতিকতা অপরদিকে খ্রিস্টধর্মের অসারতা।

কারণ খ্রিস্টধর্ম অনুযায়ী খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিয়ে করার বিধান নেই। অপরদিকে ইসলামে বলা হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, বৈরাগ্য সাধন ইসলামে নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, যে কোন মেয়েলোককে বিয়ে করলো না সে এমন জিনিসকে অস্বীকার করলো যাতে আল্লাহ পাক অনেক নিয়ামত রেখেছিলেন।

তিনি আরো ইরশাদ করেন, বিয়ে করা আমার সুন্নত।

মূলত এজন্যই ইসলামকে আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াত শরীফ-এ পরিপূর্ণ বলেছেন।

কাজেই, দুইয়ে, দুইয়ে চার এর মতই হিসাব করে খ্রিস্টনারা মিলিয়ে দেখতে পারে যে তাদের ধর্ম বাতিল ও বিকৃত এবং এ থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য তারা মুজাদ্দিদ আ’যম উনার ছোহবতে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাজাত পেতে পারে। ইনশাআল্লাহ চলবে।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।