মুজাদ্দিদে আ’যম, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত- সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম ঐতিহাসিক এক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক

সংখ্যা: ২৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “অধিকাংশ আহলে কিতাবরা (ইহুদী-নাছারা) প্রতিহিংসা বশত চায়- ঈমান আনার পর পুনরায় তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দিতে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১০৯)

অমুসলিমরা মুসলমানগণের ঈমান নষ্ট করে বেইমান কাফের  হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে যে মাধ্যমগুলোকে বেছে নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল- ১) নাস্তিকতা অর্থাৎ কুফরী সিলেবাস সম্বলিত শিক্ষা ব্যবস্থা। ২) সুদ ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা। ৩) আইন ও বিচার ব্যবস্থা।

সম্মানিত ও পবিত্র হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, “কেউ যদি কোথাও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী গুনাহের কাজ সংগঠিত হতে দেখে তখন সে ব্যক্তি যেন তা প্রতিহত করে তার হাত দ্বারা, তা সম্ভব না হলে মুখে বলে বাধা দিবে, তাও সম্ভব না হলে অন্তরে ঘৃণা করে উক্ত স্থান ত্যাগ করবে, এটা অত্যন্ত দূর্বল ঈমানের পরিচয়। আর অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে, “এই তিন স্তরের পরে সরিষা পরিমাণ ঈমানও অবশিষ্ট থাকে না।”

সম্রাজ্যবাদীরা  গণতন্ত্রের  মত এক অর্থহীন- অচল- অকার্যকর পদ্ধতি বিশ্বে চাপিয়ে দিয়ে এবং তার মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা আদায়ে সহায়ক শাসক শ্রেণী বসিয়ে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। এইসব শাসক শ্রেণী কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের সুবিধাটুকুই দেখে প্রকারান্তরে বঞ্চিত থাকে আপামর জনগোষ্ঠী। এতদিন যাবত এই তথাকথিত গণতন্ত্র মানুষকে শিখিয়েছে “বিচার ব্যবস্থা” হচ্ছে স্বাধীন এবং সেখানে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ তার ন্যায্য হক আদায় করতে সক্ষম হবে। যদিও এটা ছিল গণতন্ত্রীদের ফাকা বুলী বরং বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই বিচার ব্যবস্থাও মূলত শাসক শ্রেণী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদীরা দখল নিয়েছে এই বিচার ব্যবস্থার উপর।  যে দেশে তাদের অনুগত শাসক না থাকে সেখানে তাদের মতাদর্শের বিচারক বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে নিচ্ছে আর্থসামাজিক, দ্বীনি ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- এবং অনেকটা জোর করেই মানুষকে ইসলাম থেকে, ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্রাজ্যবাদীদের অনুগত বিচারক শ্রেণী দ্বারা বাংলাদেশের শিক্ষালয় থেকে পর্দা উঠিয়ে দেয়া, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম তুলে দেয়া, হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে মূর্তি বসানোর মত সাহস দেখিয়েছিল কিন্তু সেখানে তারা সফল হতে পারেনি। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দেবার লক্ষ্যে এই স¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সাম্রাজ্যবাদীরা কোর্টকে ব্যবহার করছে যার প্রমাণ এখন অনেক দেশেই রয়েছে।

বর্তমান সময়ের যিনি মহাসম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ্, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কাফির-মুশরিক এবং সাম্রাজ্যবাদীদের এইসব অপকৌশল সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত। তিনি এই বাংলাদেশের আদালতে চাপিয়ে দেয়া বৃটিশ বেনিয়াদের রচিত মনগড়া আইনের ফাঁক-ফোকরসমূহে তাদের তৈরি অস্ত্র প্রয়োগ করেই এদের প্রতিহত করার জন্য শুরু করেন “আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম”। এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমান উনাদের আক্বীদা বিশুদ্ধ করে ঈমান হিফাজত করা। আইনী কার্যক্রম ও বিচার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত মানুষদের সম্মানিত শরীয়ত সম্পর্কে নেই স্পষ্ট ধারণা আবার যাদের ছিটেফোঁটা যাও আছে সাম্রাজ্যবাদীদের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে এসে তারা সঠিক ইসলাম উনাকে উপস্থাপন করতে ভয় পায় ফলে এরই ফাঁক দিয়ে তারা সাধারণ মুসলমান উনাদের ঈমান হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ। সে কারণেই হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি এই “আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম” চালু করেন। সুবহানাল্লাহ। এই প্রক্রিয়াটি যেমনি ব্যয়বহুল তেমনি কস্টসাধ্য। কেননা সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে হেঁটে এখানে কার্যক্রম চালানোর জন্য যেমনি প্রয়োজন ছিল দক্ষ এবং ইসলাম উনার অনুশাসন উপলব্ধিকারী আইনজীবি তেমনি প্রয়োজন ছিল কার্যক্রম সঞ্চালনের জন্য লোকবল। কিন্তু যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদিদ্দে আযম আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ফলে মহান মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার দ্বারা সকল অসাধ্য কাজও সম্পূর্ণ করিয়ে নিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

আপনাদের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল । এখান থেকে অনেক বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং অন্য অনেক বিষয়ে কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।

আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্রসহ ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট থাকায় ইন্টারনেটের দুটি বিতর্কিত ও ধর্মহীনতার বিষবাষ্প ছড়ানো পেইজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারক নাঈমা হায়দার ও বিচারক মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন জামানার তাজদীদী মূখপত্র দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বঙ্গবন্ধু মহিলা আইনজীবী সমিতির সুপ্রিম কোর্ট শাখার সম্পাদক সাইয়্যিদা সাবিনা আহমেদ মলি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

আইনজীবী সাইয়্যিদা সাবিনা আহমেদ মলি জানান, সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুকের একটি পেইজ এবং ধর্মকারী নামক একটি ওয়েবসাইটে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্রসহ আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে। বিষয়গুলো রিটকারীর কাছে ধর্ম অবমাননা মনে হয়েছে। এসব আপত্তিকর সাইটের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জামানার তাজদীদী মূখপত্র ‘দৈনিক আল ইহসান’ পত্রিকার সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান বিটিআরসি’র কাছে আবেদন করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে পরে মন্তব্যগুলোর কপি নিয়ে তিনি শাহজাহানপুর থানায় এজাহার করতে গেলে থানা থেকেও তা গ্রহণ করা হয়নি। এরপর তিনি হাইকোর্টে গত ১০ সেপ্টেম্বর-২০১৫ বৃহস্পতিবার রিট আবেদন করেন। দায়েরকৃত রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্ট ফেইসবুকের ওই পেইজ এবং ধর্মকারী ওয়েবসাইট বন্ধ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে।

রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়।

এদিকে প্রতিটি মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন, ঈমানের মূল যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ চিত্রসহ আপত্তিকর কনটেন্টসমৃদ্ধ দুটি ইন্টারনেট পেইজ বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় হক্কানী-রব্বানী আলিম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।