মুসলমানগণের সম্মানে পবিত্র রমাদ্বানে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইফতার পার্টির আয়োজন ও ভাষণ স্পেনে মুসলমানগণের সাথে যুলুমবাজ খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক প্রতারণারই পুনঃনিদর্শন !! মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে মিসর থেকে হোয়াইট হাউসে ওবামার ভাষণ প্রতারণা, ছলনা, ধোঁকাবাজি আর কপটচারিতার জ্বলজ্বলে নির্দশন।

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে গত ১০ই আগস্ট (২০১১ ঈসায়ী) বুধবার রাতে ইফতারির পর মুসলিমগণের সম্মানে প্রথাগত নৈশভোজের আয়োজন করে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মুসলিমগণকে সম্মান জানাতে এবং দেশের কল্যাণে অবদান রাখায় আমেরিকান মুসলিমগণকে ধন্যবাদ জানাতে প্রতিবছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে!

প্রসঙ্গত বলার অপেক্ষা রাখে না, টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন কর্মকর্তারা, দেশটির গণমাধ্যম ও উগ্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো জ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাতসারে মুসলিমবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালায় এবং মুসলমানগণকে সহিংসকামী, উগ্র মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালায়।

এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলমানগণের সঙ্গে  বৈষম্যমূলক আচরণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এমনকি কেবল মুসলিম নামসম্পন্ন হওয়ার অপরাধে অনেককে বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি অথবা বিনা কারণে ও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অনেক মুসলমানের বাড়িতে এখনও তল্লাশী চালানোর নামে মহা হয়রানি করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মুসলমানগণের সম্মানে এ ইফতারীর আয়োজন এবং ওবামার ভাষণ কতটা সঙ্গতিপূর্ণ অথবা প্রতারণাযুক্ত তা অবশ্যই নির্ণয়ের বিষয়।

উল্লেখ্য, মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে সম্প্রীতিমূলক ভাষণ ওবামা প্রায়ই দিয়ে থাকে। এবং তাতে তার অনিচ্ছায় ইসলামের স্বীকৃতিও এসে যায়।

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে ইফতার পার্টিতে সে বলে, মুসলিম বিশ্ব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরিতে  সে বদ্ধপরিকর। বারাক ওবামা বলে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মুসলিমগণের অবদানের তালিকা অনেক দীর্ঘ। দেশ ও সমাজ গঠনে নিবিড় ভূমিকা রয়েছে তাদের। ইসলাম ধর্মকে ন্যায় বিচার ও উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক মহান ধর্ম বলে অভিহিত করে সে।

ওবামা বলেছে, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের জন্য আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য দেশে ও বিদেশ উভয় ক্ষেত্রেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার প্রতিশ্রুতিগুলির অন্যতম হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন।

গত ১৯ মে হোয়াইট হাউসে ওবামা অনুরূপ বিষয়ে বক্তৃতা করেছে। এর আগে ১০ নভেম্বর ২০১০ ঈসায়ী বারাক ওবামা ইন্দোনেশিয়া সফরকালে বলেছেন, মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো অনেক কাজ করে যেতে হবে।

তারও আগে ২০০৯ সালের শেষে কায়রোয় মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে অনেককেই আপাত মুগ্ধ করেছিল সে। নির্বাচিত হওয়ার পর সেটাই ছিল তার প্রথম বিশ্বমাপের বক্তৃতা। তার পাশে ছিল স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক। সেই বক্তৃতা শুনে এক লেফাফা দুরস্ত মহানুভব স¤্রাটের প্রতি সম্মানে কেবল উপস্থিত শ্রোতারাই নয়, অনেকেই মঞ্চের মধ্যে খাড়া হয়ে তাকে অভিবাদন জানিয়েছিল। তারপর সে পেলো নোবেল পুরস্কার। বিশ্বের দেয়া সম্মান গায়ে মেখে এবং শান্তির মেডেল গলায় ঝুলিয়ে সে বিশ্ব ত্রাতার ভাব নিলো! এদিকে ইরাক আগ্রাসন প্রসারিত হতে থাকল ইরান ও সিরিয়ার দিকেও, আর আফগান যুদ্ধ সীমান্ত ডিঙিয়ে ঢুকে পড়ল পাকিস্তানেও।

অতি সম্প্রতি লাদেনের নামে পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন মুসলমানগণের জন্য অবমাননামূলক ঘটনা।

কিন্তু ৬ই জুন/২০০৯ তারিখে ওবামার মিসরের কায়রো ভাষণ আজো মুছে যায়নি। সাধারণ মুসলমানগণের খ্রিস্টান তথা ওবামাদের প্রতারণা বুঝে উঠার লক্ষ্যে নি¤েœ হুবহু উল্লেখ করা গেল-

বারাক ওবামা:  শুভ বিকেল। অনন্তকালের এই কায়রো নগরীতে আসতে পেরে এবং দুটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অতিথি হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে আল আজহার ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষার প্রতীক হয়ে আছে এবং এক শতকেরও বেশি সময় ধরে মিসরের অগ্রসরতার উৎসভূমি হয়ে আছে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়। একত্রে এ দুুইটিকে মিলিয়ে আপনারা ঐতিহ্য এবং প্রগতির মধ্যে সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমি আপনাদের এবং মিসরের জনগণের আতিথেয়তায় কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে মার্কিন জনগণের এবং আমার দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা নিয়ে আসতে পারায় আমি গর্বিত:

আসসালামু আলাইকুম!

যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমগণের মধ্যে মহা-উত্তেজনার এক কালে আমরা মিলিত হয়েছি –। এই উত্তেজনার শিকড় ঐতিহাসিক শক্তিগুলোর মধ্যে প্রোথিত, যা আজকের দিনের যে কোনো নীতিনির্ধারণী বিতর্কের অনেক ঊর্ধ্বে। ইসলাম এবং পশ্চিমের সম্পর্কে শত শত বছরের সহাবস্থান এবং সহযোগিতা ছিল, কিন্তু একইসঙ্গে সংঘাত ও ধর্মযুদ্ধও ছিল। নিকট অতীতে উপনিবেশিকরণের মধ্য দিয়ে আবারও উত্তেজনা উসকে উঠেছে, যে উপনিবেশিকরণ বহু মুসলিমের অধিকার এবং সুযোগকে অস্বীকার করেছিল এবং একটি স্নায়ুযুদ্ধ যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর আশা-আকাঙ্খার মূল্য না দিয়ে তাদের কেবলই একটি বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে। তদুপরি আধুনিকতা এবং বিশ্বায়নের বল্গাহীন পরিবর্তনের ধারা অনেক মুসলিমের মধ্যে এমন ধারণার জন্ম দিয়েছে যে পশ্চিমারা ইসলামী রীতিনীতির প্রতি বৈরী।

সহিংস চরমপন্থীরা এসব উত্তেজনাকে ব্যবহার করে মুসলিমগণের একটি ক্ষুদ্র হলেও শক্তিমান অংশের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা এবং বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতায় লিপ্ত হতে এসব চরমপন্থীর লাগাতার চেষ্টা আমার দেশের কিছু মানুষকে এমন ভাবতে শিখিয়েছে যে, ইসলাম আবশ্যিকভাবে শুধু আমেরিকা কিংবা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি বৈরী নয়, বরং মানবাধিকারের বিষয়েও বৈরী। এসবই আরও ভীতি এবং অবিশ্বাস জন্ম দিয়েছে।

যতোদিন পর্যন্ত আমাদের পার্থক্য দিয়ে আমাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হবে ততোদিন আমরা কেবল তাদেরই শক্তিশালী করে যাব-যারা শান্তির বদলে ঘৃণার বীজ বপন করেছিলেন, যারা সহযোগিতার বদলে সংঘাত উসকে দিয়েছিলেন; যেই সহযোগিতা আমাদের সব জনগণকে ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারতো। সন্দেহ এবং বিরোধের এই পরিক্রমার অবসান হতেই হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমগণের মধ্যে সম্পর্কের এক নব-সূচনা চাইতে আমি এখানে এই কায়রোতে এসেছি, যে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক স্বার্থ এবং শ্রদ্ধার এবং যা এই সত্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে যে, আমেরিকা ও ইসলাম একরোখা নয় এবং তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজন নেই। বরং তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই মৌলনীতিতে বিশ্বাসী ও ন্যায়বিচার এবং প্রগতির নীতি; সহিষ্ণুতা এবং সব মানুষের মর্যাদার নীতি।

আমি এটা স্বীকার করি যে, রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমি জানি আজকের এই ভাষণ নিয়ে অনেক প্রচার হয়েছে, কিন্তু একটিমাত্র ভাষণে বহু বছরের অবিশ্বাস দূর করা যায় না। আর যেসব জটিল প্রশ্ন আজকে আমাদের এখানে মুখোমুখি করে দিয়েছে তার উত্তরও আমি আজকের এই বিকেলে আমার হাতে যতোটুকু সময় আছে তাতে দিতে পারব না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, অগ্রসর হতে হলে আমাদের অবশ্যই একে অন্যের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে হবে, সেইসব কথা যা আমরা প্রায়শই বুকের মধ্যে পুষে রাখি কিংবা দরজা বন্ধ করে ফিসফিস করে বলি। একে অন্যের কথা শোনার জন্য, একে অন্যের কাছ থেকে শেখার জন্য, একে অন্যকে শ্রদ্ধা করার জন্য এবং একটি ঐকমত্য খোঁজার জন্য আমাদের লাগাতার চেষ্টা থাকা উচিত। যেমনটা

পবিত্র কুরআন আমাদের বলেছে, “আল্লাহকে মনে রাখ এবং সর্বদা সত্য কথা বল।” আজকে আমি সেই চেষ্টাই করব — যতোটা সম্ভব সত্য বলব, আমাদের সামনে যে কাজ পড়ে আছে তার প্রতি ঐকান্তিক থেকে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে শক্তি আমাদের বিভক্ত করে রাখে তার চেয়ে মানব সন্তান হিসেবে আমাদের সাধারণ স্বার্থ অনেক বেশি শক্তিশালী।

এই বিশ্বাসের অনেকটাই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত। আমি একজন খ্রিস্টান, কিন্তু আমার বাবা একটি কেনীয় পরিবারের সন্তান, যারা বংশানুক্রমিকভাবে মুসলিম। শৈশবে আমি ইন্দোনেশিয়ায় বহুবছর কাটিয়েছি। ভোরের আলো ফোটার আগে আর সন্ধ্যা নেমে আসার সময় আজানের ধ্বনি আমার কানে গিয়েছে। যুবক বয়সে আমি শিকাগোতে এমন সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে কর্মজীবন পার করেছি, যেখানে অনেকেই মুসলিম বিশ্বাসের মধ্যে নিজেদের আত্মমর্যাদা ও শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।

ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমি এটাও জানি যে, সভ্যতা ইসলামের কাছে কতটা ঋণী। এই আল আজহারের মতো বিদ্যাপীঠগুলোতে জ্ঞানচর্চা অব্যাহত রেখে ইসলাম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জ্ঞানের আলোকে বয়ে নিয়ে গেছেন এবং ইউরোপের ‘রেনেসাঁ’ ও ‘আলোকপ্রাপ্তি’র পথ তৈরি করে দিয়েছেন। অনেক কিছুই মুসলিম সম্প্রদায়ে সৃষ্টি হয়েছে— যারা অ্যালজেব্রার সূত্রগুলো আবিষ্কার করেছেন তারা মুসলিম সম্প্রদায়, আমাদের চৌম্বকীয় কম্পাস ও দিকনির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, আমাদের লিখনী ও ছাপাছাপি, কীভাবে রোগ ছড়ায় আর কীভাবে তা সারিয়ে তোলা যায় এ সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া এ সবই মুসলিম সম্প্রদায় থেকে আমরা পেয়েছি। ইসলামী সংস্কৃতি আমাদের চমৎকার খিলান আর সুউচ্চ সব মিনার উপহার দিয়েছে, চিরন্তন কাব্য ও মোহনীয় ছন্দ উপহার দিয়েছে, নিপুণ ক্যালিওগ্রাফি এবং আত্মাকে শান্ত করার মতো অনেক স্থান উপহার দিয়েছে। আর ইতিহাসজুড়ে ইসলাম বাণীতে ও কর্মে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং জাতিগত সাম্যের সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে।

আমি এটাও জানি যে, আমেরিকার গল্পের সঙ্গে সবসময়ই ইসলাম জড়িয়ে ছিল। আমার দেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ হল মরক্কো। ১৭৯৬ সালে ত্রিপোলি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আমাদের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস লিখেছিলো, “মুসলিমগণের আইন, ধর্ম অথবা শান্তিময়তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শত্রুতা নেই।” আর প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই আমেরিকান মুসলিমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। তারা আমাদের যুদ্ধে লড়েছেন, তারা আমাদের সরকারে কাজ করেছেন, তারা নাগরিক অধিকারের পক্ষে লড়াই করেছেন, তারা ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়িয়েছেন, তারা- নৈপুণ্য অর্জন করেছেন, তারা নোবেল পেয়েছে, আমাদের সর্বোচ্চ ভবনটি তৈরি করেছেন।

কিছুদিন আগে যখন একজন কংগ্রেসের প্রথম আমেরিকান মুসলিম সদস্য নির্বাচিত হলেন তখন তিনি কুরআন ছুঁয়েই আমাদের সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছেন, তিনি ওই কুরআনটি ব্যবহার করেন যা আমাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টমাস জেফারসন তার নিজের পাঠাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন।

এভাবে আমি ইসলামের এই উৎসভূমিতে আসার আগেই তিনটি মহাদেশে ইসলামকে জেনেছি। এই অভিজ্ঞতা আমার মধ্যে এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করেছে যে, আমেরিকার সঙ্গে ইসলামের অংশীদারিত্ব হবে ইসলাম যা তার ভিত্তিতেই, ইসলাম যা নয় তার ভিত্তিতে নয়।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।