যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৮

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসব মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নি¤েœ প্রদত্ত হলো-

১২. প্রসঙ্গ: “খাছ শরয়ী পর্দা”

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

আর উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার চরিত্র মুবারক উনার প্রতি মুনাফিক সরদার ইবনে সুলুল ও তার চেলাদের দেয়া তোহমতের কথা তো সারাবিশ্বেই মশহূর। যা ইফকের ঘটনা হিসেবে মশহূর হয়ে আছে। স্বয়ং খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতা বর্ণনা করেন। অনুরূপ আরো অনেকের পবিত্র চরিত্র মুবারকের প্রতিই তোহমত দিয়েছে মুনাফিক গোষ্ঠী। মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফে অশেষ শুকরিয়া এজন্য যে, মুনাফিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একটি সুন্নত মুবারক আদায় হলো। আর মুনাফিক গোষ্ঠী ইহুদী-নাছারা ও মুনাফি সর্দার ইবনে সুলুলের কায়িম-মাক্বাম সাব্যস্ত হলো।

সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়ছালা হলো- কেউ যদি কারো চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ দেয় তবে তবে তাকে চারজন সাক্ষি পেশ করতে হবে যারা চাক্ষুস দেখেছে। যদি সাক্ষি পেশ করতে না পারে তবে তার শাস্তি হলো ৮০ দোররা। অর্থাৎ তাকে ৮০টি দোররা মারতে হবে। যমীনে যদিও-এর থেকে তারা বেঁচে যায় কিন্তু পরকালে তাদেরকে অবশ্যই তা ভোগ করতে হবে। কাজেই ধারণা বা কল্পনা করে কথা বলার অনুমতি সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অনেক ধারণাই গুনাহর কারণ। অন্যত্র বলেন, “অনুমান বা ধারণাকারীরা ধ্বংস হোক।”

যারা লিফলেট প্রকাশ করেছে সেই মুনাফিক গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যদি কেউ ধারণা করে বলে যে, মুনাফিক গোষ্ঠী ঘরে বেগানা মহিলা নিয়ে অবৈধ কাজ করে আর তার স্ত্রী-কন্যারা পরপুরুষের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে। মুনাফিক গোষ্ঠী এটা মেনে নিবে অবশ্যই?

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।