যুদ্ধাপরাধের বিচারকে যারা ‘না’ করতে পারে; সে মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোন্ দুরভিসন্ধিজনক কারণে ফতওয়াকেও ‘না’ বলছে ॥ পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্টতা প্রচার করছে- তা উদঘাটন করতে হবে ॥ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে, ইসলামের দৃষ্টিতে- রাষ্ট্রপতি  থেকে চকিদার’ পর্যন্ত সব মুসলমানই ফতওয়ার অধীন

সংখ্যা: ১৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে উচ্চ মার্গের এবং আহামরি টাইপের কোনো অনুষঙ্গ নয়; সে বিষয়ে সচেতনতা অনেক দেরিতে হলেও বর্তমানে শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা দাবি করলেই তারা যে প্রশ্নাতীত অধিষ্ঠানের অধিকারী নয়- তাও এখন খোলামেলা সাব্যস্ত হয়েছে।

বিশেষ করে স্বাধীনতা উত্তর ৩৮ বছর ধরে কাক্সিক্ষত এবং বর্তমানে জনআলোড়নে পরিণত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে কথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নেতিবাচক ও ‘না’ বোধক বক্তব্য গভীর প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বলাবাহুল্য, সুবিধাবাদী ও ইসলাম বিরোধী মিশনধারী তথাকথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অনুকরণে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা এদেশের কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোও তাদের প্রভুদের মিশন বাস্তবায়নে ভীষণ তৎপরতা দেখাচ্ছে।

এমনকি এ বিষয়ে যেনতেনভাবে রাষ্ট্রপতিকেও সংশ্লিষ্ট করে দেশের সর্বোচ্চ অলঙ্কারিক এ পদকে তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টার প্রয়াস চালাচ্ছে।

গ্রামীণ নারীদের হয়রানি বন্ধ করা যে কোন বিবেকবান মানুষেরই কাম্য। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ঈসায়ী তারিখে রোববার রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সমীপে কথিত ‘মানবাধিকার কমিশন’ যে রিপোর্ট পেশ করেছে তার ভাষ্যমতে গ্রামীণ নারীদের সব হয়রানির মূল কারণ যেন ফতওয়াই। বিবৃত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি কথিত ফতওয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির একটি বক্তব্য নিতে পেরে (?) এখন তার ভীষণ উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি স্বীয় গোত্রের ও চিহ্নিত ঘরানার একটি কথিত জাতীয় দৈনিকে গত ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ঈসায়ী সোমবার ‘রাষ্ট্রপতির আহ্বান’ শিরোনামে দুরভিসন্ধিমূলক সম্পাদকীয় নিবন্ধও প্রকাশ করেছে।

গভীর পরিতাপের বিষয়- ফতওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতির খ-িত সমর্থনকেই ভিত্তি করে এরা অপপ্রচারের ঢেড়া পেটাচ্ছে। মিথ্যার বেসাতি চালাচ্ছে।

অথচ সাংবিধানিকভাবেই খোদ রাষ্ট্রপতি তথা গোটা দেশই ফতওয়ার অধীন। কারণ সংবিধানের মূলনীতিতে বলা হয়েছে, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস।’

এছাড়া সংবিধানের ২ (ক) অনুচ্ছেদে ব্যক্ত করা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম; তবে অন্যান্য ধর্মও শান্তিতে পালন করা যাবে।

উল্লেখ্য, অন্যান্য ধর্ম শান্তিতে পালনের কথা বলা হলেও সংবিধানে স্পষ্টত প্রাধান্য ও কথিত রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়েছে ইসলামের।

অর্থাৎ ইসলাম ছাড়া দেশের, সংবিধানের প্রজাসাধারণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।

আর ইসলামের আরেকটি পরিভাষা হল ‘ছহীহ ফতওয়া’।

কালিমা শরীফও এক অর্থে ঈমানের ফতওয়া।

কে মুসলমান তাও নির্ণয় হয় ফতওয়ার দ্বারা।

মুসলমানের ইবাদতের প্রতিটি বিষয়ই ‘ফতওয়া’। কিসে নামায হবে, কিসে নামায ভঙ্গ হবে- তাই ‘ফতওয়া’।

রোযা, হজ্জ, যাকাতের সব মাসয়ালা-মাসায়িলই ‘ফতওয়া’।

এছাড়া একজন মুসলমানের করণীয় সব কিছুর কোনটা হারাম কোনটা হালাল সবই ‘ফতওয়া’।

‘ফতওয়া’ বলতে যারা শুধু তালাকের ফতওয়াই বুঝে, তারা যে কতদূর জাহিল, তা প্রকাশের দায়িত্ব তারাই এখন খোদ রাষ্ট্রের উপর বর্তিয়ে দিয়েছে।

ফতওয়া সম্পর্কে আদৌ কোন জ্ঞান না নিয়েই তারা ফতওয়ার পরমাণু পরিমাণ অংশ তালাক আর হিল্লার বিষয়টিকে রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করে সব ধরনের ফতওয়া নিষিদ্ধের ব্যাপারে বাৎচিত রটিয়েছে।

কারো কারো মাথা ব্যথা হয় বলে তারা গোটা মানবজাতির মাথাসমূহকেই কেটে ফেলার মত অনুমোদন লাভের প্রক্রিয়া করেছে। প্রচার চালাচ্ছে।

অথচ কারো কারো মাথা ব্যথা হলেও বেশির ভাগ মানুষেরই যেমন মাথা সুস্থ আছে, তদ্রুপ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফতওয়ার অপব্যবহার হলেও এই ফতওয়া অনুযায়ীই যে গোটা মুসলিম বিশ্ব তথা এদেশবাসী মুসলমান তাদের গোটা ধর্মীয় জীবন-যাপন করছে- দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জ্ঞানটুকু তথাকথিত ফতওয়া বিরোধীদের নেই।

বলাবাহুল্য, তথাকথিত ফতওয়া বিরোধীরাও এক ধরনের ফতওয়াবাজ।

কারণ কোনো ফতওয়া মানা যাবে না অথবা সব ধরনের ফতওয়া নিষিদ্ধ, ফতওয়ার আঙ্গিকে উক্ত দুটো বাক্যও বড় ফতওয়া। দেখা যাচ্ছে, ফতওয়া বিরোধীরা কোনো কিছু না জেনেই খোদ রাষ্ট্রপ্রতি পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাষ্ট্রপতিকে জড়িয়েছে। এবং রাষ্ট্রপতির বরাতে দূরভিসন্ধিমূলক প্রচার চালাচ্ছে।

এতে করে যে তারা রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অলঙ্কারিক পদটির ভাবমর্যাদাই কেবল ক্ষুণœ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তারা মূলত এ ইস্যুতে মৌলবাদী ধর্মব্যবসায়ীদেরও অশুভ তৎপরতা চালাবার উসকানি দিচ্ছে।

বলাবাহুল্য, তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী এবং প্রগতিবাদী, আমলা, আইনজীবী ও সংস্কৃতিবাদীদের এহেন অজ্ঞতার পুরো সুযোগটা লুফে নেয় ধর্মব্যবসায়ী রাজনীতিকরা।

অতীতে “ফতওয়া ছিল এবং ফতওয়া থাকবে” শীর্ষক আন্দোলনের পটভূমিকা এটাই।

মূলত সবধরনের ফতওয়া নিষিদ্ধ করার সরাসরি অর্থ এটাই যে, গোটা ইসলামকেই নিষিদ্ধ করা।

অথচ নিষিদ্ধ ফতওয়া সম্পর্কে খোদ ইসলামেই বিশেষভাবে বলা হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তিকে ইলম ব্যতীত ফতওয়া দেয়া হয়েছে, অতঃপর সে তদানুযায়ী কাজ করেছে, তার গুনাহ যে তাকে ফতওয়া দিয়েছে, তার উপরই পড়বে।” (আবু দাউদ শরীফ)

মূলত ফতওয়া প্রসঙ্গে যদি কোনো বিপত্তি হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো ফতওয়ার নামে যদি কেউ ভুল ফতওয়া দেয় তাহলে সেটা শক্ত হাতে বন্ধ করা হোক এবং কোনো ধর্মব্যবসায়ী যাতে ফতওয়া না দিতে পারে তা কঠোরভাবে দমন করা হোক।

এদিকে ফতওয়াকে কথিত রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে সংঘর্ষ মুখী বলে অপপ্রচারণারও সুযোগ নেই। ফতওয়া ধর্মীয় আক্বীদা ও আমলের বিষয়।

কাজেই একে নিয়ে টানা-হেঁচড়া অথবা ফতওয়া সম্পর্কে অন্ধের হাতি দেখার মত মূল্যায়নে শুধু রাষ্ট্রপতিকেই বিতর্কিত করবে না বরং গোটা দেশেই অশান্তির অনল প্রজ্বলিত করবে।

অতএব, আগুন নিয়ে খেলার পরিণতির মতই ফতওয়াকে নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক, অনাবশ্যক ও অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্য দান ও পদক্ষেপ গ্রহণে রাষ্ট্রপতি থেকে সব মহলকেই সচেতন থাকতে হবে।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬২

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২০ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল