রাজধানীর লাখ লাখ বস্তিবাসীসহ অধিকাংশ নাগরিক জড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। নির্বোধ রাষ্ট্রযন্ত্র এক্ষেত্রে অসহায় ও অক্ষম। পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার শিক্ষা সংযমই সব অপরাধ প্রবণতা নির্মূল করতে পারে, অপরাধীদের নিবৃত্ত করতে পারে।

সংখ্যা: ২২৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

ঘনবসতি আর অবৈধ কর্মকাণ্ডের নিরাপদ স্থান হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের অপকর্মের জন্য বেছে নেয় রাজধানীর বস্তিগুলো।

প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক নেতারা বস্তির অপরাধীদের ব্যবহার করে নানাভাবে ফায়দা লুটছে। অস্ত্র-মাদক কেনা-বেচা, নারী-শিশু পাচার, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও অসামাজিক কার্যক্রমসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে বস্তির অপরাধীরা। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নানা উদ্যোগ নিয়েও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। সম্প্রতি পুলিশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও এনজিও রাজধানীর প্রায় ৪ হাজার বস্তিতে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে উদঘাটন করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওইসব বস্তির লক্ষাধিক অপরাধী নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে কিশোরদের সংখ্যাই বেশি। বস্তির এসব অপরাধীকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে একাধিক প্রভাবশালী চক্র। ওই চক্রটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বস্তির লোকজনকে ব্যবহার করছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আবার বস্তির ভেতরেই পাওয়া যাচ্ছে বোমা ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ।

রাজধানীতে অহরহ ঘটে যাওয়া প্রায় সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দুই হচ্ছে বস্তি। অস্ত্র ব্যবসা, খুন-খারাবি, ছিনতাই বা ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গে থাকছে বস্তিকেন্দ্রিক অপরাধীরা। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা নিয়ে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ সংগঠনের পেছনে কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে এলাকার প্রভাবশালীদের ইন্ধন রয়েছে। তারা অভিজাত এলাকার বিলাসবহুল অট্টালিকায় বসবাস করলেও তাদের ব্যবসার কর্মক্ষেত্র বিভিন্ন এলাকার বস্তি।

মূলত বস্তির অপরাধ কর্মকা- নিয়ন্ত্রণ করতে রাষ্ট্রের কোনো উদ্যোগ নেই। আসলে শুধু বস্তি নয় কোনো নাগরিকের অপরাধ নিয়ন্ত্রণেই রাষ্ট্রের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।

কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বলা হয় নির্বোধ। এই নির্বোধ রাষ্ট্র নাগরিককে সঠিক জীবন দর্শন দিতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে ফৌজদারী ও দেওয়ানী দ-বিধি তথা কথিত যে আইনের শাসনের বর্ণনা থাকে বাস্তবে তা যেমন কার্যকর হয় না। তেমনি আদর্শগতভাবেও তা মানুষের মনকে আকৃষ্ট ও তৃপ্ত তথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এজন্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ফৌজদারী অপরাধের জন্য গুরুতর শাস্তির বিধান থাকলেও নিত্যনতুন অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে। মামলার সংখ্যাও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। পাশাপাশি পুলিশ, বিচারকও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি মাদক-নারীর সাথেও তারা জড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে আইনি প্রক্রিয়া তার কথিত মূল্যবোধ খুবই ঠুনকো। এটা মানুষের অপরাধ প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ ও নিবৃত্ত করতে পারে না।

পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে প্রেরণ করেছি।”

মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানুষকে যে জান্নাত উনার সুসংবাদ দিয়েছেন সে সুসংবাদের আশায় মানুষের পক্ষে অপরাধ থেকে সংযমী হওয়া সহজ, সম্ভব ও স্বাভাবিক।

পাশাপাশি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানুষকে জাহান্নামের যে ভীতি প্রদর্শন করেছেন তাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মানুষের পক্ষে পাপাচার থেকে সংযমী হওয়া সম্ভব, সহজ এবং স্বাভাবিক।

কিন্তু প্রচলিত আইনের শাসনে শুধু নামমাত্র ভয়ের কথা আছে কিন্তু কোনো সুসংবাদের কথা নেই। অপরদিকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরা মানুষ বিধায় তাদেরকে প্রলুব্ধ অথবা বাধ্য করে প্রভাবশালী অথবা কৌশলী অথবা বিত্তশালী অপরাধীরা ঠিকই দিনের পর দিন পার পেয়ে যাচ্ছে। এতে করে অপরাধের মাত্রা দিনদিন বিস্ময়করভাবে বেড়েই চলছে। এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শুধু গণতন্ত্র কেন? কোনো কথিত রাষ্ট্রের পক্ষেই সম্ভব নয়।

কাজেই শুধু বস্তিবাসী নয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সব নাগরিকের মাঝেই পবিত্র দ্বীন ইসলামী দর্শনের বিস্তার ঘটাতে হবে। পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ঘটাতে হবে। বস্তিবাসী, অট্টালিকাবাসী সবাইর মাঝে কবর, হাশর, মিযান, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদির ভয় ও সুসংবাদ ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। তবেই মানুষ সংযমী হবে। অপরাধ প্রবণতা কমবে। অপরাধী নিবৃত্ত হবে। চলমান পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফও আমাদের এই সংযমের শিক্ষা দেয়। এই সংযমের শিক্ষা প্রয়োগ করার জন্য রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

 

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।