রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশে ঈদের বাজারে হিন্দি সিরিয়ালের চরম প্রভাব কেন? সরকার কী করে ভারতীয় পোশাক আমদানির অনুমতি দেয়? সরকার কী নিজেই এদেশীয় পোশাক শিল্প ও পবিত্র ধর্মীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করতে চায়?

সংখ্যা: ২২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

বাংলাদেশের ঈদ বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। বিশেষ করে পোশাক ব্যবসায়ীগণ বহু আগে থেকে ঈদের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। ফ্যাশন ডিজাইনারদের ঈদই থাকে তাদের লক্ষ্য। তারা নানান ধরনের ডিজাইনের পোশাক ঈদ বাজারে ছাড়ে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বেশি ভাল নয়। তাই ঈদের পরে তেমন পোশাক বিক্রয় হয় না। সেজন্য তাদের বড় টার্গেট থাকে ঈদ বাজার।

প্রসঙ্গত সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় হচ্ছে- আমাদের দেশের প্রায় গোটা ঈদ বাজারটি ভারতীয়দের দখলে। বৈধ-অবৈধ বিভিন্ন পথে ভারতীয় পোশাক আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমান সরকারের সময়ে তা আরো বাড়ছে।

মফস্বল শহর, বিভাগীয় শহর, রাজধানী শহর, সকল জায়গায় মার্কেটগুলোতে ভারতীয় নি¤œমানের পোশাকের ছড়াছড়ি। ভারতীয় সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পীদের নামে এসব পোশাক বিক্রি হয়। আমাদের দেশের মানুষ খুব কম সচেতন। তাই পঞ্চাশ টাকা দামের পোশাক হাজার টাকা দিয়েও কিনতে তারা দ্বিধাবোধ করছে না। এসব পোশাকের পক্ষে প্রচারণায় কাজ করছে বাংলাদেশী বহু মডেল তারকা। ভারতীয় এই নি¤œমানের পোশাকের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- বাংলাদেশী পোশাক প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ীগণ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- বাংলাদেশী জনগণ। ক্ষতি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির। দুঃখজনক আমাদের দেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও ফ্যাশন ডিজাইনারগণ ভারতীয় কু-রুচির পোশাকের ডিজাইনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা মেয়েদের জন্য যেসব পোশাক তৈরি করে ঈদবাজারে আনছে তা ভদ্র রুচিশীল কোন পরিবারের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব নয়। একদিকে দেশীয় পোশাক প্রস্তুতকারীদের এমন অবস্থা, অন্যদিকে ভারতীয়দের বাংলাদেশী ঈদ বাজারে প্রভাব বিস্তার। সব কিছু মিলিয়ে দেশটা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

রাজধানীর নামিদামি বিপণি বিতানগুলোতে ঈদের বাজারে একচেটিয়া দখল করে নিয়েছে ভারতীয় পোশাক। ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার প্লাস-এর সিরিয়ালের নামে ও হিন্দি সিনেমার নামে বাজারে এসেছে অনেক পোশাক। আর এসব পোশাক বিকিকিনি চলছে দেদারছে। নূরে আজম, রেশম কা জরি, শের খান, এক ফুল দুই মালি, বাবুল কি কলি, মন মানে না, ও মাই গড, মেনে পেয়ার কিয়া, আয়শা টাকিয়া, বিপুল, বিশাল, সোনিয়া, গঙ্গা এমন সব বাহারি নামের সেলাই ছাড়া থ্রি পিসে ছেয়ে গেছে নামিদামি মার্কেটে। ক্রেতারা এসব পোশাক ক্রয় করতে ছুটে যাচ্ছে মার্কেটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিসমার খান, ওহ মাই গড, আশিকি-২, বডিগার্ড, রা ওয়ান- এসবই বর্তমান ভারতীয় হিট সিনেমার নাম। আর এসব হিট ছবির নামে পোশাকের নাম। ভারতের মুম্বাইয়ের হিন্দি হিট ছবির নামের পোশাকে ছড়াছড়ি ঢাকার ঈদ বাজার। ভারতীয় হিট ছবি ও সিরিয়ালের নামের মোহে বিকিকিনি হচ্ছে ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের পবিত্র ঈদের পোশাক।

সরকারের উদাসীনতার কারণে বস্ত্রখাতে ভারত এদেশের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। দেশীয় বস্ত্রশিল্পকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় বস্ত্র আসা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে বছরের পর বছর ধরে ধরনা দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। দেশীয় তাঁত শিল্পের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকারের দুর্বলতার সুযোগে একশ্রেণীর দোকান মালিক ভারতীয় বস্ত্র চোরাই পথে এনে বিক্রি করছে। আর তাদের কাছে মার খাচ্ছে এদেশীয় পোশাক। তারা শুধু দেশীয় পোশাককে ধ্বংস করছে তা নয় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। দেশীয় বস্ত্রখাতকে বাঁচাতে হলে দেশের মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

অপরদিকে শুধু দামি পোশাকই নয় ভারতের নিম্নমানের কাপড়ে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশের ঈদ বাজার। বাহারী নাম দিয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ সব পোশাক। শুধু চাকচিক্যের মোহে পড়ে তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়ছে এসব কাপড়ের দিকে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক হারে আমদানি করা হয়েছে ভারতের নিম্নমানের পোশাক। গুণে কিংবা মানে নয় শুধু ভারতীয় তারকাদের নামে এসব পোশাকের নামকরণ করায় বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক। এর ফলে দেশীয় পোশাক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। গুণে ও মানে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দেশী পোশাক বিক্রির পরিমাণ খুব কম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- দেশী শিল্পকে ধ্বংস করতেই ভারত থেকে পবিত্র ঈদ মওসুমে পোশাক আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ভারতীয় নায়িকা-গায়িকাদের অনুকরণে পোশাক আমদানির সুযোগ দিয়ে সরকারই এদেশে অবাধ ভারতীয় সংস্কৃতির লালন ও প্রসার করছে। যা সংবিধানের ২৩ নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট খেলাপ। সংবিধানের ২৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

অপরদিকে সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম’। আর এদেশের ৯৭ ভাগ লোক মুসলমান। সুতরাং এদেশে কী করে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শ ও ঐতিহ্যের বিপরীত পোশাক চলতে পারে? সঙ্গতকারণেই আমাদের দৃঢ় ও বুলন্দ এবং বলিষ্ঠ আওয়াজ- “সরকারকে অবিলম্বে ভারতীয় পোশাক নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া দেশে যে ৫০০ ফ্যাশন হাউস রয়েছে তারা যে পবিত্র দ্বীন ইসলামী আদর্শ উনার খেলাপ প্রায় বিবস্ত্র পোশাক তৈরি করছে এগুলো কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে এবং বিশেষ উল্লেখযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে- এদেশ ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সংঘাতপূর্ণ সংস্কৃতি পোশাক কিছুই এদেশে গ্রহণযোগ্য হবেনা।”

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে  পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ- তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।