সচিবদের অনেকেরই মদ পানের লাইসেন্স রয়েছে!

সংখ্যা: ২০৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সচিবদের অনেকেরই মদ পানের লাইসেন্স রয়েছে! তারপরেও নতুন করে ১৬ সচিব মদ পানের আবেদন করেছে! আবেদনের তালিকায় রয়েছে বর্তমান এবং সাবেক অনেক মন্ত্রীর নামও!

দেশ কী এখন মদ্যপ-দের হাতে চলে গেছে? নাকি মদ্যপরাই দেশ চালাচ্ছে? অথচ বঙ্গবন্ধু মদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক আমলে মদ রাখার দায়ে রাঘব-বোয়াল মন্ত্রীরাও গ্রেফতার হয়েছিল। সংবিধানে মদ নিষিদ্ধ। তারপরেও প্রশাসনের নাকের ডগায় মদের এত প্রচলন!
পঞ্চদশ সংশোধনীর সংবিধানের নামে ধর্মনিরপেক্ষতা কার্যকর করতে যারা উদ্যোগী হবে তাদেরকে আগে সর্বস্তরে নিষিদ্ধ মদের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
সংবিধানে নিষিদ্ধ মদ যদি এদেশে বন্ধ না হয়; তাহলে সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতাও বাস্তবায়ন হবার নয়। সংবিধানে নিষিদ্ধ থাকলেও যেমন কিছু লোক মদ পানে আগ্রহী, তেমনি সংবিধানে বর্ণিত থাকলেও দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানও ধর্মনিরপেক্ষতা অস্বীকারে আগ্রহী।

 

গত ২৩ ও ২৪ জুলাই হোটেল রূপসীবাংলা এবং প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বার বন্ধ রাখা হয়। ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিসহ অন্যান্য ভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ২০ জুলাই মহাপুলিশ পরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় গোয়েন্দারা ওই দুই হোটেলের বার বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেন। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি বার খোলা থাকলে মদ পান করতে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বাড়বে। এ বিষয়টি ভিআইপিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিভাত হচ্ছে, ভারতের একটি রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সভানেত্রীর প্রতি সম্মান দিতে গিয়ে দেশের যে দুটি আন্তর্জাতিক মানের কথিত হোটেল মদ ছাড়া চলতে পারে না সেখানেও মদ বন্ধ রাখা হয়েছে!

প্রশ্ন হচ্ছে- এদেশে ভারতের সোনিয়ার এত কদর হতে পারলো কিন্তু এদেশে এদেশবাসীর কদর কোথায়? এবং কবে হবে?

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। তাদের দ্বীন ইসলাম। আর ইসলামে এক কাতরা পরিমাণ মদও সম্পূর্ণ হারাম।

ইসলামে হারাম খাদ্য বা পানীয় ঔষধ হিসেবে তখনই মোবাহ হতে পারে যখন নিম্নলিখিত ৪টি শর্ত পাওয়া যাবে।

১. কোনো অসুস্থ ব্যক্তির জন্য কোনো দ্বীনদার পরহেযগার মুসলমান ডাক্তার সুপারিশ করলে।

২. উক্ত হারাম খাদ্য বা পানীয় না খেলে সে মারা যাবে।

৩. উক্ত হারাম খাদ্য বা পানীয় খেলেই সে বাঁচবে অন্যথায় মারা যাবে।

৪. উক্ত হারাম খাদ্য বা পানীয় ব্যতীত অন্য কোনো ঔষধ নেই।

এই ৪টি শর্ত পাওয়া গেলে কেবলমাত্র তখনই অসুস্থ ব্যক্তির জন্য উক্ত হারাম খাদ্য বা পানীয় ব্যবহার করা মুবাহ হতে পারে।

কিন্তু বর্তমানে শুধু এতটুকু লিখলেই হচ্ছে যে-

“আমি অসুস্থ। দিনে দু’বেলা মদ খেতে হবে। এ জন্য চাই অনুমতি।” আর এভাবেই মদ খাওয়ার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে প্রকাশ্যে ছবিসহ আবেদন করেছেন দেশের ২ মন্ত্রী, ৫ এমপি, ১৬ সচিব-যুগ্ম সচিব, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তা!

এ তালিকায় আরও আছেন সাবেক জোট সরকারের সময়ের ৪ মন্ত্রীও! আবেদনের সঙ্গে তারা জমা দিয়েছেন ডাক্তারের সার্টিফিকেট। কারণ বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিকের মদ খাওয়ার লাইসেন্স পাওয়ার একমাত্র শর্ত উপরোক্ত কথিত ডাক্তারি সার্টিফিকেট!

উল্লেখ্য, গত ৩০শে জুন ছিল মদ খাওয়ার লাইসেন্সের জন্য আবেদন নেয়ার শেষ দিন। ১লা জুলাই থেকে শুরু হয়েছে লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া। সরেজমিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে গিয়ে জানা যায় নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন জমা পড়েছে ৭ সহস্রাধিক। এর মধ্যে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছে। রয়েছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীও। সবচেয়ে আলোচিত হলো ১৬ সচিবের আবেদন। এর মধ্যে রয়েছেন ৮ জন পূর্ণ সচিব, বাকিরা যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এছাড়া, শতাধিক পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন আবেদনকারীদের তালিকায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে দু’ধরনের লাইসেন্স দেয়া হয়। একটি হচ্ছে বিদেশী মদ পানের জন্য। এ জন্য নির্ধারিত সরকারি ফি ২ হাজার টাকা। অন্যটি দেশীয় মদ পানের। এর সরকারি ফি ৮০ টাকা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঢাকায় মদ পানের লাইসেন্সধারী ছিলেন ১৩ হাজার ৩শ’ ২২ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ২০ জন ছিলেন বিদেশী মদ পানের লাইসেন্সধারী। আর ৬ হাজার ৩শ’ ২ জন ছিলেন দেশীয় মদ পানের লাইসেন্সধারী। চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে বিদেশী মদ পানের লাইসেন্সের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার আবেদন পড়েছে। এছাড়া, দেশীয় মদ পানের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর আবেদনের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ- এবারই প্রথম ছবিসহ আবেদন করতে হচ্ছে। লাইসেন্সেও এবার ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হবে। তাই পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে অনেকেই এবার আবেদন করেনি। এছাড়া, এবার যারা আবেদন করেছে তাদের অনেকেই ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছে। আবেদনপত্রের পেশার ঘরে অনেকেই প্রকৃত পেশা না লিখে লিখেছে চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি। তবে যারা সমাজে পরিচিত মুখ তারা নিজেদের আড়াল করতে পারেনি। আবার অনেক উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা সরকারি ফি জমা না দিয়েই লাইসেন্স করে দেয়ার জন্য প্রভাব খাটিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের।

জানা গেছে, প্রতি রাতে ঢাকার বারগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। তাদের ৯০ শতাংশ লাইসেন্সধারী নয়। কিন্তু বারগুলোতে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে সেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষ মদ খেতে আসে। অভিযান চালানোর সময় এমন সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে যাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসতে হয়েছে অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাই বারগুলোতে অবৈধভাবে মদ পান চলে এটি জেনেও সেখানে অভিযান চালাতে সাহস পান না মাদকের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে মদ ও জুয়াকে সম্পূর্ণভাবে নিরুৎসাহিত করা হবে।

যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সংবিধান রক্ষার আসল কর্ণধার সে মন্ত্রী-সচিবরাই যদি সংবিধান-এর কার্যত খেলাফ করে তাহলে সংবিধান প্রতিফলন কী করে হবে!

অপরদিকে সংবিধান লঙ্ঘনে এর কর্ণধাররাই কোনো রাখ-ঢাক না রেখে বেসামাল হলেও সরকার বিব্রত হচ্ছে না!

পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ভূমিকা রাখতে পারছে না!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবিধান থেকে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ তুলে নেয়ার তোড়জোড় ঠিকই পালিত হলেও এবং ইসলাম সম্পৃক্ত সব শব্দ তুলে দেয়া হলেও ইসলামবিরোধী অনুষঙ্গগুলো নিষিদ্ধকরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ ও উদ্যম নেই।

যাতে আবারো খোলাখুলিভাবে প্রমাণিত হয়, আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে অন্য ধর্মহীনতা না হলেও ইসলাম-এর ক্ষেত্রে পুরোটাই ইসলামদ্রোহিতা। (নাঊযুবিল্লাহ)

যেমন অন্য সব ধর্মে মদ পান জায়িয হলেও ইসলামে জায়িয নয়।

প্রসঙ্গত, বাস্তবতার আলোকে উল্লেখ্য, সংবিধানে নিষিদ্ধ মদ যদি এদেশে বন্ধ না হয়;

তাহলে সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতাও বাস্তবায়ন হবার নয়।

সংবিধানে নিষিদ্ধ থাকলেও যেমন কিছু লোক মদপানে আগ্রহী

তেমনি সংবিধানে বর্ণিত থাকলেও দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানও ধর্মনিরপেক্ষতা অস্বীকারে আগ্রহী।

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।