নারীরা এখন প্রকাশ্যে সিগারেট থেকে সব ধরণের মাদক সেবন ও বিকি-কিনিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। রক্ষা পেতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার বিকল্প নেই ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’- এ কথাটি কমবেশি সবারই জানা। তারপরও অনেকে ধূমপান করেই চলেছে। ইদানীং মেয়েদের প্রকাশ্যে ধূমপানের দৃশ্য অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে।

সংখ্যা: ২৬৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

একটা সময় সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নারীরা লুকিয়ে ধূমপান করলেও এখন জনবহুল স্থানে সবার সামনে তারা ধূমপান করছে। এমনকি নারীদের এই মাদকাসক্তি শুধু ধূমপানের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। সিসা, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের মতো মাদকেও তারা দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দেয়া তথ্যে, ঢাকার সিসা বারগুলোতে নারীরা এখন নিয়মিত সিসার মধ্যে ‘হার্ড ড্রাগস’, যেমন ইয়াবা ও গাঁজা মিশিয়ে সেবন করছে। মূলত আর্থিকভাবে সচ্ছল ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মেয়েরাই ধূমপানে বেশি আসক্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছে, মাদক গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে এখন অনেকটা বেপরোয়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা আগে ছিল না।

বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে, দেশে মোট নারীর দুই কোটিরও কিছু বেশি তামাক সেবন ও ধূমপানে আসক্ত। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩.৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপর এক জরিপ করে। এ তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির চার ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীই ধূমপায়ী। আর এর মধ্যে শতকরা ৬৬ ভাগই চারুকলা অনুষদের ছাত্রী। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত ২০১২ সালের এক জরিপে জানা যায়, দেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে, দেশের ৪০ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা চার লাখ। এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও এক অনুষ্ঠানে দেশে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করে।

তবে শুধু ধূমপান নয়, ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নারীদের লাগামহীন সিসা গ্রহণের দৃশ্যও এখন চোখে পড়ছে।

মাদক চিকিৎসায় জড়িত ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন ডিজে পার্টিগুলোতেও এখন নারীরা ধূমপান, সিসা গ্রহণের সঙ্গে আশঙ্কাজনকহারে ইয়াবা সেবন করছে। আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীসহ নিম্নবিত্ত নারীদের অনেকেই গাঁজা সেবন করছে। এর মধ্যে ধূমপানের পর নারীরা সবচেয়ে বেশি আসক্ত ইয়াবায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, ইয়াবা আকৃতিতে ছোট, এর গন্ধ স্ট্রবেরির মতো, দেখতেও রঙিন ও আকর্ষণীয়। ফলে কিশোরীরা সহজেই ইয়াবায় আসক্ত হয়। এ ছাড়া মধ্যবয়সী নারীরা সুই দিয়ে প্যাথেড্রিন ওষুধ নেয়ার সময় অনেকেই এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ ফেনসিডিলও খাচ্ছে। কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মেয়েদের অনেকেই ইয়াবা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।

পাশাপাশি মদ্যপায়ী নারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে রাজধানীতে। আধুনিকতার নামে বল্গাহারা মানসিকতা এবং হিন্দি সিরিয়ালের প্রভাবে রাজধানীতে বিভিন্ন বিয়ে-শাদী, খতনা, জন্মদিন এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে এখন মদপানের আয়োজন খুবই স্বাভাবিক হয়ে পড়ছে। পুলিশের সহায়তায় এখন রাজধানীজুড়ে চলছে মদের রমরমা বাণিজ্য। তাছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রভাবেও এখন অনেক পরিবারের নারীরা মদপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে ঘটে চলেছে অঘটন।

এদিকে পুরুষের চেয়ে নারীদের দাপট বেড়েছে মাদক সাম্রাজ্যে। শতাধিক ভয়ঙ্কর নারীর হাতে পরিচালিত হচ্ছে রাজধানীর মাদক ব্যবসা। বারবার আইনের আওতায় এনেও তাদের আটকে রাখা যাচ্ছে না। জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক চিহ্নিত মাদক আখড়াকে ঘিরে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক নারী সক্রিয়। তারা মাদকের চালান মজুদ, পরিবহন ও বিক্রির কাজে নিয়োজিত। মাদক পরিবহনে নারীরা বিশেষ সুবিধা পায় বলে এ জগতে নারীদের উপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় পেশাদার নারী মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে শীর্ষ ৩০ জন বর্তমানে নেপথ্য কারিগর। তাদের চেইন অব কমান্ডে বিভিন্ন দল-উপদল কাজ করে। তারা প্রকাশ্যে খুব একটা আসে না। চলাফেরা করে অত্যাধুনিক গাড়িতে। থাকে অভিজাত এলাকার বিলাসবহুল বাড়িতে। সেখানে শুধু মাদকই চলে না, অবাধে চলে দেহব্যবসাও। অভিযোগ রয়েছে, এসব রঙমহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ সদস্য নিয়মিত যাতায়াত করে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলার আশপাশ এলাকায় প্রায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাদক ও সিগারেট সেবন করতে দেখা যায়।

হলের আবাসিক শিক্ষক ছাত্রীদের মাদক সেবন সম্পর্কে অবগত হলেও বাইরের জানাজানির ভয়ে তারা কোন তথ্য ফাঁস করতে চায় না। এছাড়া মাদকাসক্ত অনেক ছাত্রী রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আবাসিক শিক্ষকরা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সাহস পান না।

ক্যাম্পাসে মেয়ে মাদকসেবীদের মধ্যে বেশির ভাগ চারুকলারই ছাত্রী। তারা প্রকাশ্যে চারুকলার সামনে ও আবাসিক হলে মাদক সেবন করে। তারা চারুকলার ভিতর ও বাইরে ছেলেবন্ধুকে সাথে নিয়ে সিগারেট ও গাঁজা সেবন করে।

চারুকলার একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, নেশাকে এখানে প্রগতিশীলতা বলে গণ্য করা হয়। এখানে কেউ বাধা দেয় না। সন্ধ্যার পর চারুকলায় ব্যাপক আকারে বসে মাদকের আড্ডা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদকের আড্ডা। সন্ধ্যার পর চারুকলার নির্দিষ্ট আইডি কার্ডধারী ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে না পারায় অনেকটা নিরাপদেই চলে মাদক সেবনের আসর।

মূলত, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ নারীদের সিগারেট ও মাদকে ভয়াবহ আসক্তির দ্বারা প্রতিভাত হয় যে- দেশের নারীসমাজ ভয়াবহ অবক্ষয়, অনৈতিকতা তথা চরিত্রহীনতার স্রোতে ভাসছে। যে দেশে নারী সমাজ আদর্শবিবর্জিত হয়, সে দেশে ভালো সন্তান, ভালো জাতি কোনোদিনই আশা করা যায় না। মূলত, বাংলাদেশে এখন ভালো নাগরিক বসবাস করছে এটা বলা যাবে না। বরং একটা ঘুনে ধরা পচনশীল জাতিই বর্তমানে বেঁচে আছে। এর থেকে রেহাই পেতে হলে সর্বাগ্রে নারী সমাজকে আদর্শপ্রবণ ও সংশোধনের বিকল্প নেই।

আর এজন্য সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, আফদ্বালুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক হাছিল করার বিকল্প নেই।

কারণ একমাত্র তিনিই নারী জাতিকে মাদকসহ সমস্ত হারাম কুফরী থেকে ফিরিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত মা’রিফত দান করছেন। হাক্বীকী আল্লাহওয়ালীতে পরিণত করে দিচ্ছেন। এজন্য তিনি অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে প্রতিদিন ‘ফাল ইয়াফরহু’ মাহফিল জারি করেছেন। প্রতি ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার এবং জুমুয়াবারসহ পুরো সাইয়্যিদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসব্যাপী বিশেষ ‘ফাল ইয়াফরহু’ মাহফিলের ব্যবস্থা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস