আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী জালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লানতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক  রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-৫

সংখ্যা: ২১১তম সংখ্যা | বিভাগ:

উল্লেখ্য বাতিল রেজাখানী ফিরকার মুখপত্রের গুমরাহ জাহিল লেখক লিখেছে-“আরবের নজদী ওহাবীরা পীর-মুরীদী, সিলসিলাহ ও ওসীলাহ ইত্যাদীর ঘোর বিরোধী। ওই মতবাদের আমদানীকারক এ দু’নেতাও ওহাবী মতবাদের সাথে একমত।” নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক!

হে মু’মিন মুসলমান পাঠক, নজদী ওহাবী গং যে পীর মুরীদী, সিলসিলাহ, ওসীলাহ ইত্যাদী বিশ্বাস করেনা এবং হরদম যে এগুলোর বিরোধীতা করে এটাতো আজ সারা মুসলিম জাহানে প্রতিষ্ঠিত সত্য কথা। এটাতো নতুন কোন কথা নয়। তবে নতুন কথা, নতুন অপবাদ, নতুন কলঙ্ক লেপন হলো এটাই যে, আমীরূল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার প্রতি তোহমত দেয়া, তিনি পীর-মুরীদী, ওসীলাহ সিলসিলাহ ইত্যাদী ইলমে তাছাউফের মৌলিক বিষয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! অথচ আজ পর্যন্ত দুনিয়ার যমীনে মুসলিম উম্মাহর মাঝে যারা পীর-মরীদী, সিলসিলাহ, ওসীলাহ ইত্যাদী বিষয়গুলো ইলমী এবং আমলীভাবে দলীল আদীল্লাহর দ্বারা যিন্দা রেখেছেন উনারা  আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনারই নূরানী নিছবতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এই গুমরাহ জাহিল রেজাখানী অত:পর লিখেছে- “..কিন্তু রহস্যজনকভাবে পরবর্তীতে তথাকথিত পীর সেজে বসলেন খোদ সৈয়্যদ আহমদ বেরলভী। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন হযরত শাহ আবদুল আযীয রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা আলায়’হির ভ্রাতুস্পুত্র ও জামাতা। এর ফলে উপমহাদেশের কিছু সরলপ্রান লোক সৈয়দ আহমদ বেরেলভীর হাতে বাই’আত গ্রহন করেছিলেন; আর কিছুলোক তার নেতৃত্বে বালাকোটের যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে তার নিকট থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তাদের সিলসিলাহগুলোতে এভাবে সৈয়দ আহমদ বেরলভীর নামটাও ঢুকে পড়েছে।”

প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত কথাগুলো ঐ গুমরাহ জাহিলের লিখিত সব কথার একটা সাধারন ভূমিকা মাত্র। এখানে সে বলেছে, আগে হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি ওহাবী মতবাদের সাথে একমত ছিলেন পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে পীর সেজে বসেন অর্থাৎ ওহাবী মতবাদের বিপরীত আমল শুরু করেন। এই গুমরাহ জাহিলটা একই লেখাতেই আবার বলেছে-“ নিজে পীর সেজে যারা যিয়ারত ও ওসীলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ওহাবী আক্বীদা পোষণ করে তাদের ভ-ামীর পক্ষে আর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না।” আসলে মিথ্যা তোহমত দিয়ে হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের শানে অপবাদ আরোপ করার অপচেষ্টা করলে নিজের কুয়াতে নিজেকে পড়েই ডুবতে হয়। এই ভ- বিদয়াতী রেজাখানী ফিরকার লোকগুলো কোথাও বলছে, হযরত শহীদে আ’যম বেরেলভী আলাইহিস সালাম তিনি আগে সুন্নী আক্বীদার ছিলেন পরে হজ্জে গিয়ে ওহাবী মতবাদ আনেন। আবার বলছে, আগে ওহাবী মতবাদের সাথে একমত ছিলেন পরে রহস্যজনক কারনে পীর সেজে বসেন। নাউজুবিল্লাহ!

সংক্ষেপে আসল কথা, আসল ইতিহাস হলো, আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরেলভী আলাইহিস সালাম তিনি বংশ পরম্পরায় আদতেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আমল আক্বীদার মধ্যে ছিলেন, একই আক্বীদার মাশায়িখ বিশেষ করে ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট সুন্নী আক্বীদার কারনেই বাইয়াত গ্রহন করেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর আমল আক্বীদায় জাহিরী বাতিনী উভয় দিক হতে সর্বোচ্চ তরক্কী হাসিল করার কারনেই  পরবর্তীতে হযরত শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট হতে তিনি প্রধান খিলাফতের নিয়ামত লাভ করেন। জাহিরী বাতিনী উভয় দিক হতে তিনি হযরত শাহ ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান খলীফা হবার কারনেই তৎকালীন সবচাইতে মশহুর আলিম হযরত শাহ ঈসমাইল শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আবদুল হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনারা আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারকে নিজেদেরকে সপে দেন। সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহী!

একই কারনেই তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশের সহজ সরল ঈমানদান ধর্মপ্রান সুন্নী মুসলমানগণ যারা এই রেজাখানী বিদাতী ফিরকার মতো কুটিল চরিত্রের অন্ধ গুমরাহ ছিলেননা উনারা প্রায় সকলেই আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার নুরানী হস্তে বায়াত গ্রহন করেন। ঐতিহাসিক বালাকোটের প্রান্তরে ইংরেজ শিখ মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদে উনার মুবারক নেতৃত্বে সামিল হয়েছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল হক্কানী রব্বানী আলিম উলামা, পীর-মাশায়িখসহ ঈমানদীপ্ত সাধারন মুসলিম উম্মাহ।

যারা সরাসরি জিহাদে যেতে পারেননি তাঁরা ধন সম্পদ, মাল-ছামানা, টাকা পয়সা দিয়ে শরীক হয়েছিলেন। একমাত্র বাতিল ফিরকাসমূহ ও ইংরেজদের দালাল বর্তমান জামানার আলোচ্য এই রেজাখানীদের মুরব্বী গং তখন হাত পা গুটে ইংরেজদের পদলেহন করতেই ব্যস্ত থাকে। এরা তখনও ইংরেজ ইহুদী নাছারাদের দালালী করেছে বর্তমানেও আমল আক্বিদায় এরা ইহুদী নাছারা ওহাবী খারেজীদের সাদৃশ্যতা গ্রহন করেছে। লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ! এ বিষয়ে আমরা সামনে বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহসহ আলোচনা করবো-ইনশাআল্লাহ!

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস