আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়া উনার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পরযালোচনা-১৭

সংখ্যা: ২২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র ইলম শিক্ষা : প্রিয় পাঠক! পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, যুগের ইমাম, আওলাদে রসূল, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক শিশুকালে পবিত্র ইলম শিক্ষা সাধারণভাবে অন্য সকলের ন্যায় অর্জন করেননি। বরং তিনি ইলাহী পাক উনার সুমহান ইশারায় মুবারক-এ শিশুকাল হতেই মুরাকাবা-মুশাহাদা. গভীর ধ্যান-খেয়াল, জিহাদপ্রিয়তা ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। অবশ্য এরই মধ্যে তিনি পবিত্র দ্বীনি ইলম উনার প্রায় সকল শাখায় উন্নতি লাভ করেন। বিশেষতঃ উনার যখন বয়স মুবারক সতের তখন তিনি আট জনের একটি কাফেলা নিয়ে লোক্ষè হয়ে দিল্লি গমন করেন। কিন্তু রিয়াজত-মুশাহাদা, ইলাহী ইশকের তীব্রতার কাছে অক্ষম হয়ে উনার কাফেলার অপর সাতজন এদিক সেদিক হারিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, তিনি উনার সঙ্গীদেরকে উদ্দেশ্য করে নছীহত মুবারক পেশ করেন এই বলে, “হে বন্ধুগণ! এত তালাশ, অনুসন্ধান এবং কষ্ট ও পরিশ্রম সত্ত্বেও পার্থিব উদ্দেশ্য তোমাদের পূরণ হলো না। এবার দুনিয়া ত্যাগ করে আমার সাথে তোমরা  দিল্লি চলো। সেখানে ইমামুল মুহাদ্দিসীন, শায়খুল মাশায়েখ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক ছোহবত-নিসবত যিয়ারতকে এক অনন্য মহা মূল্যবান নাজ নিয়ামত গৌরবের বিষয় বলে মনে কর।” কিন্তু উনার সঙ্গী-সাথীরা দুনিয়া তালাশে এত বিভোর ছিল যে তারা খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু না হয়ে তারা যেদিকে রুজু ছিলো সেদিকেই ফিরেছে। অবশেষে তিনি একাই দিল্লি পৌঁছেন। সেখানে গিয়ে প্রথমেই তিনি শায়খুল-মাশায়িখ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত হন। হযরত শাহ ছাহিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুসাফাহ-মুয়ানাকা করে উনাকে নিকটে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কোথা থেকে তাশরীফ এনেছেন? তিনি উত্তর দিলেন- রায় বেরেলী থেকে। এরপর জানতে চাইলেন- আপনি কোন খান্দানের ছাহিবজাদা? তিনি বললেন- সেখানকার মশহুর সাইয়্যিদ খান্দান উনাদের। সুবহানাল্লাহ! হযরত শাহ ছাহিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাযীমার্থে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং ফের মুসাফাহা-মুয়ানাকা করে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন- কি মুবারক উদ্দেশ্যে এত দীর্ঘ সফরের পথ অতিক্রম করে এখানে তাশরীফ আনলেন? উত্তরে সাইয়্যিদী খান্দান মুবারক উনাদের সূর্য হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি পেশ করলেন- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মারিফাত তালাশে আপনার পবিত্র দরবার শরীফ উনার মাঝে আগমন করেছি। সুবহানাল্লাহ! কাঙ্খিত এই মুবারক জাওয়াব শুনে হযরত শাহ ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক ইচ্ছা হলে আপনিই আমার ঐতিহ্যবাহী মুবারক সিলসিলা উনার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর হযরত শাহ ছাাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার একজন বিশেষ খাদেম মারফত জানালেন, সাইয়্যিদী খান্দান উনাদের সূর্য এই সম্মানিত মেহমান উনাকে আমার ভাই তাজুল মুফাসসিরিন হযরত শাহ আব্দুল কাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৌঁছে দাও। তিনি যেন সম্ভ্রান্ত মেহমান উনার উপযুক্ত খিদমত আঞ্জাম দেন। উনার সম্পর্কে ভাইকে সবকিছু সাক্ষাতেই অবহিত করবো ইনশাআল্লাহ! মুবারক ইযাজতক্রমে তিনি এরপর হযরত শাহ আব্দুল কাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক ছোহবতে দিল্লির ঐতিহাসিক আকবরাবাদী মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসায় থাকা আরম্ভ করেন। এখানে প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত করে পবিত্র দ্বীনি ইলম উনার সকল শাখায় পরিপূর্ণতা লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য,পবিত্র দ্বীনি ইলম চর্চারত অবস্থায় একদা এক আশ্চর্যজনক ঘটনা জাহির হলো। একদা তিনি একটি কিতাব মুবারক পড়ছেন, এমন সময় তিনি লক্ষ্য করলেন যে, পবিত্র কিতাব মুবারক উনার অক্ষরগুলো মুবারক দৃষ্টি থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়টা উনার দৃষ্টি শক্তির কোন দূর্বলতা কি-না তা জানতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। কিন্তু তাতে কোনই কাজ হচ্ছিল না। স্বীয় শায়েখ হযরত শাহ ছাাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে উনাকে সূক্ষ্ম বস্তুসমূহ উনাদের দিকে তাকাতে বললেন। মুবারক নির্দেশনা মুতাবিক তিনি সকল সূক্ষ্ম বস্তুুসমূহ উনাদের দিকে লক্ষ্য করলেন। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই তিনি দেখতে পেলেন। কেবল কিতাব-পত্রের ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম ঘটনা হলো। এমতাবস্থায় হযরত শাহ ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় মাহবুব হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্র ইলমে জাহির চর্চা থেকে বিরত থাকতে মুবারক নির্দেশ দিলেন।

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস