কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎখাতে চলছে মহা অনিয়ম আর লুটপাট টাকা পাচার হচ্ছে বিদেশেও জনগণের সচেতনতার প্রয়োজন

সংখ্যা: ২২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক।

দেশের চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে করা রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল সরকারের জন্যই এখন বিষফোঁড়া। আর অর্থনীতিবিদরা বলছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল হচ্ছে শুভঙ্করের ফাঁকি। এরই সুযোগে সরকারের একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। আবার এ লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে কেউ মামলা না করতে পারে সেজন্য জারি করা হয়েছে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ।

সরকার বিদ্যুৎ সমস্যা জিইয়ে রেখেছে অবৈধ অর্থ উপার্জন, নিজেদের লোকজনদের কাজ দেয়া ও বিদেশে সম্পদ অর্জনের জন্য। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কুইক রেন্টালের কথা ছিল না। দুই কোটি ৪০ লাখ সিএসএল লাগিয়ে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা লুটপাট করেছে সরকার।

রাষ্ট্র অকার্যকর থাকলে, যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করলে, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে সীমাহীন সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কুইক রেন্টাল ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। কিন্তু এসব কিছুই নেই। এরপরও কেন কুইক রেন্টাল? তাহলে কি বুঝা যায় না কোন সিন্ডিকেট দেশকে পদানত ও আথিকভাবে বিপর্যস্ত করতে চাচ্ছে।

অভিযোগ আছে, কেন্দ্র বন্ধ রাখাসহ নানা রকম কৌশল করে এই জ্বালানি তেলের অনেকটাই লুটপাট করা হয়। এতে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগেরও হাত রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই লুটপাট আরেক প্রস্থ বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। এ উদ্দেশ্যে রীতিমতো কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিনা মূল্যের জ্বালানি তেল আরো বেশি করে দেয়া হোক।

ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সচিবের কাছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারা পরিবর্তন করার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি কমিটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ প্রতিবেদনের সুপারিশ কার্যকর হলে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোতে বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহারের সুযোগে লুটপাটের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনই সরকারের লোকসানও এ খাতে বেড়ে যাবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোতে এত দিন বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রগুলোর অভিযোগ ছিল, তাদের যে জ্বালানি তেল দেয়া হয়, তার বিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) বা দাহ্যক্ষমতা কম। এ কারণে জ্বালানি বেশি লাগে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে এ কমিটি একটি সাব-কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে পাওয়ার সেলকে কারিগরি দিকগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেয়। মজার বিষয় হচ্ছে, মূল কমিটি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি তেলের পরিমাণ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। আর উপ-কমিটি বলছে, বিটিইউ কম- কেন্দ্রগুলোর এ অভিযোগ অসত্য। চুক্তির অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের বিটিইউ কম দেখালে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোতে আগে যে পরিমাণ তেল খরচ হতো, এখন তার চেয়ে বেশি তেল খরচ দেখানো যাবে। বাড়তি জ্বালানি তেল নেয়ার জন্যই ওই কেন্দ্রের মালিকরা বিদ্যুৎ বিভাগের কাছ থেকে এ দাবি আদায় করে নিচ্ছে। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বাড়তি জ্বালানি তেল দেয়ার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিনা টেন্ডারের কুইক রেন্টাল, রেন্টাল ও স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (আইপিপি) থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের এক বছরেই খেসারত দিতে হয় ৩২ হাজার কোটি টাকা। সরকার যতই ভর্তুকির কথা বলুক না কেন বাড়তি এ টাকার চাপের বোঝা অবশ্য বইতে হবে সাধারণ গ্রাহককেই এবং তার প্রভাব পড়বে বিভিন্নভাবে। ইতিমধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত ও অর্থনীতি। এতে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি, ফলে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এর ফলে অবশ্য লাভবান হচ্ছে দেশি-বিদেশি হাতেগোনা কিছু ব্যক্তি। বলার অপেক্ষা রাখেনা, তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে না পারলে সামগ্রিক অর্থনীতির উপর চাপ আরো বাড়বে। ফলে জনগণ চরম ভোগান্তির মুখে পড়বে।

উল্লেখ্য, জনগণকে কেবল সরাসরি বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তাই নয়, সরকার জনগণকে যে ভর্তুকি দিচ্ছে বলে দাবি করছে তার টাকাও জনগণকে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ট্যাক্স, ভ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে।

এ ছাড়াও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রভাব পড়ছে কৃষিসহ নানাবিধ উৎপাদনে। ফলে কৃষিতে খরচ বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে খাদ্যদ্রব্যে। শিল্পকারখানায় ব্যয় বাড়ছে। সেই বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে শিল্পপণ্যের মূল্য বাড়ছে। সেই টাকাও জনগণকে তার পকেট থেকে দিতে হচ্ছে।

মূলত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে চরম অরাজকতা চলছে। কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। এসব টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এ কারণে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দ্রুততম পদ্ধতি যা বাড়তি চাহিদাও পূরণ করবে। অথচ এর জন্য সাধারণ ভোক্তাকে বিদ্যুৎ কিনতে কোনো বাড়তি অর্থ দিতে হবে না। অথচ বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ইতিমধ্যে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছে, যে টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম খরচে তেল আমদানি করে বিপিডিবিকে শক্তিশালী করেই দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতো। এর জন্য টাকাও বেশি খরচ হতো না। পুরনো যন্ত্রপাতিগুলো একটু মেরামত করে নিলেই ১ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো সরকারের পক্ষে। তাতে বিদ্যুতের দামও বাড়ত না।

মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস