ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারতে মুসলমানদের প্রতি নিরপেক্ষতার পরিবর্তে চলছে চরম নিপীড়ন। এদেশের হিন্দুরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে রামরাজত্ব চালাতে চায় কিন্তু ভারতে মুসলমানরা কতটুকু দলিত-মথিত সে খবর কী তারা রাখে? ভারতে মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়াবহতার প্রকৃত খবর ক’জনে রাখে? অথচ মিডিয়ায়ও এসব খবরের সংখ্যা কম নয়। ‘গণকবরে ছেয়ে যাচ্ছে দখলকৃত কাশ্মীর’ দক্ষিণ এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নতুন ‘ফিলিস্তিন’ চলছে নির্বিচারে গণসম্ভ্রমহানি, অবাধ শিশু হত্যা। ২

সংখ্যা: ২১১তম সংখ্যা | বিভাগ:

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে গণসমাধি সম্পর্কে জরুরিভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার জন্য, যেগুলোতে ১৯৮৯ সাল থেকে অঞ্চলটির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সশস্ত্র সংঘাতের পটভূমিতে মানবাধিকারের অপব্যবহারের শিকারদের অবশিষ্টাংশ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

Facts under ground (ফ্যাক্টস আন্ডার গ্রাউন্ড) শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়, যা ২৯ মার্চ তারিখে শ্রীনগর-ভিত্তিক ‘অন্তর্হিত হওয়া ব্যক্তিদের পিতা-মাতাদের সংগঠন’ (অ্যাসোসিয়েশন অব দি প্যারেন্টস অব ডিসঅ্যাপিয়ারড পার্সন্স, এপিডিপি) কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি অনেকগুলো কবরের অস্তিত্বের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে। যেগুলো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর নিকটবর্তী স্থান হওয়ার কারণে, এমন এলাকার মধ্যে অবস্থিত যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সুনির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়। ২০০৬ সাল থেকে, শুধুমাত্র উরি জেলার ১৮টি গ্রামে কমপক্ষে ৯৪০ জন ব্যক্তির কবর আবিষ্কৃত হয়েছে বলে প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, যাদের কবর পাওয়া গেছে তারা ছিল কথিত সশস্ত্র বিদ্রোহী এবং বিদেশী জঙ্গি (সন্ত্রাসী) যাদেরকে সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র সংঘাতের সময় আইনসম্মতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে, প্রতিবেদনটিতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সাক্ষ্যের বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে, কবর দেয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই ছিল স্থানীয় অধিবাসী যারা এই দেশেরই নাগরিক।

এই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয় যে, ১৯৮৯ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ৮,০০০-এরও বেশি ব্যক্তি অন্তর্হিত হয়েছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যাকে ৪০০০-এর কম বলে জানায় এবং এদের অধিকাংশই সশস্ত্র বিরোধী দলগুলোতে যোগ দেয়ার জন্য পাকিস্তানে গিয়েছে বলে দাবি করে।

২০০৬ সালে, একটি রাষ্ট্রীয় পুলিশ প্রতিবেদনে ১৯৮৯ সাল থেকে পুলিশ হেফাজতে ৩৩১ জন ব্যক্তির মৃত্যু এবং এছাড়াও আটক করার পর ১১১ জনের বলপূর্বক অন্তর্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বেআইনী হত্যাকা-, বলপূর্বক অন্তর্ধান ও নির্যাতন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন উভয়টিরই লঙ্ঘন, যেগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোতে বর্ণিত রয়েছে যেখানে ভারত একটি রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়াও এগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটিত করে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জম্মু ও কাশ্মীরে বলপূর্বক অন্তর্ধানকে সুস্পষ্টভাবে নিন্দা করার জন্য এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট মডেল প্রটোকলের সাথে সঙ্গতি রেখে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দ্বারা ওই অঞ্চলে গণকবরের সবগুলো স্থানে অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।

বলপূর্বক অন্তর্ধানের সকল অতীত ও সাম্প্রতিক অভিযোগ অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং যে সব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে, সেসব ক্ষেত্রে এই সকল অপরাধের দায়-দায়িত্বের জন্য সন্দেহভাজনদেরকে ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে এবং সকল ভিকটিমকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কাশ্মীর ও জম্মুতে বলপূর্বক অন্তর্ধান ও গণকবর সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি অ্যামনেস্টির আহ্বান

২০০৬ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে আবিষ্কৃত শত শত নামচিহ্নহীন কবর সম্পর্কে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাতে আমি লিখছি। এই তদন্তগুলো অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরণ করে তা করতে হবে।

কবরের স্থানগুলো বেআইনী হত্যাকা-, বলপূর্বক অন্তর্ধান, নির্যাতন ও অন্যান্য অনাচারের শিকারদের অবশিষ্টাংশ ধারণ করে আছে বলে ধারণা করা হয় যা ১৯৮৯ সাল থেকে অঞ্চলটির উপর দিয়ে চলতে থাকা সশস্ত্র সংঘাতের পটভূমিতে সংঘটিত হয়েছে। শুধুমাত্র উরি জেলার ১৮টি গ্রামে কমপক্ষে ৯৪০ জন ব্যক্তির কবর আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারত সরকারের প্রতি অ্যামনেস্টির

আরো আহবান:

কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ কবর থেকে উত্তোলন ও বিশ্লেষণের জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট মডেল প্রটোকলের সাথে সঙ্গতি রেখে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দ্বারা জম্মু ও কাশ্মীরের গণকবরের সবগুলো স্থানে অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা নিশ্চিত করুন; পর্যাপ্ত উপকরণ লভ্য করুন; এবং কাজটি সরাসরি পরিচালনা, এবং কাজটির সাথে জড়িত স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ উভয় ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য ও সহযোগিতা চান ও তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করুন। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে, প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য কবরের স্থানগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে;

বলপূর্বক অন্তর্ধানের সকল অতীত ও সাম্প্রতিক অভিযোগের অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করুন এবং যে সব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে, সেসব ক্ষেত্রে এই সকল অপরাধের দায়-দায়িত্বের জন্য সন্দেহভাজনদেরকে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে যা আন্তর্জাতিক ন্যায্য বিচারের মানদ- পূরণ করে;

বেআইনী হত্যাকা-, বলপূর্বক অন্তর্ধান ও নির্যাতনের শিকার সকল ব্যক্তি যাতে পুরোপুরি ক্ষতিপূরণ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ফেরত প্রদান, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন, সন্তুষ্টি এবং পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ তা’রীফুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস