নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং অফুরন্ত দরূদ ও সালাম পেশ করছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং আরো ছলাত ও সালাম পেশ করছি আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি।

আমাদের একজন বোন আমাকে জানিয়েছেন, তার পাশের ফ্ল্যাটের একজন মহিলার কথা। যে কিনা ‘নারী অধিকার’ প্রতিষ্ঠায় দিন রাত তার কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত। অর্থাৎ সে মহিলা তথাকথিত ‘নারী বাদী’। আমাদের সেই আপা জানালেন যে, “মহিলার ইসলামী শরীয়ত উনার কোন জ্ঞান নেই অথবা থাকলেও যৎসামান্য। যার ফলশ্রুতিতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার গুরুত্ব সেই মহিলার কাছে নেই। সুতরাং সেই মহিলা নামকাওয়াস্তে মুসলমান। পর্দা নেই, মুসলমানের পোশাক নেই, চাল-চলনে, কথাবার্তায় কোনদিক থেকে ভদ্রতা বা স্বাভাবিকতা নেই। দুনিয়াবী শিক্ষা থাকলেও দ্বীনি শিক্ষা সেই মহিলার নেই। যার কারণে তার স্বামী, ছেলে-মেয়েদেরকে সে দুনিয়াবী শিক্ষা দিতে পেরেছে, কিন্তু দ্বীনি শিক্ষা দিতে পারেনি।” নাউযুবিল্লাহ! অথচ মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে পবিত্র দ্বীনি বিষয়ে (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস সম্বলিত শরীয়ত মুতাবিক দ্বীনী শিক্ষা) শিক্ষা অর্জন করা। তাহলেই একজন মুসলমান হিসেবে তার ঈমান-আক্বীদা হিফাযত হবে।

সেই তথাকথিত ‘নারীবাদী’ মহিলার পবিত্র দ্বীনি শিক্ষা নেই বলে সংসারের প্রতি দায়িত্ব, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, সন্তানের প্রতি, স্বামী প্রতি যে তার একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে, দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে তা তার জানা নেই। সেই তথাকথিত ‘নারীবাদী’ মহিলা সংসার ফেলে, সন্তান ফেলে, স্বামীকে রেখে মাহরাম ছাড়াই দেশের যে কোন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, তথাকথিত ‘নারী অধিকার’ প্রতিষ্ঠায়, সমাজ সেবায় লেকচার দিয়ে বেড়ায়। সেই মহিলার স্বামী তার উপর খুবই বিরক্ত। দিন-রাত, বাইরে বাইরে থাকাতে স্বামী এখন ঘরের কাজের বুয়ার দিকে ঝুঁকেছে। যেহেতু ঘর-সংসার সবকিছুই কাজের বুয়া দেখছে। সেই তথাকথিত ‘নারীবাদীর’ স্বামী একটা কমলার খোসা ছিলে বুয়াকে খাইয়ে পর্যন্ত দেয় …..।

অথচ সে তথাকথিত ‘নারীবাদী’ তার স্বামীর খোঁজ-খবর না নিয়ে অন্যের ভাঙ্গা ঘর জোড়া দেয়ার কাজে লিপ্ত। এদিকে নিজেরই ঘর ভাঙ্গতে বসেছে। আফসুস! শুধু তাই নয়, ‘ও’ লেবেলে পড়–য়া মেয়েকে বাসায় একাকী রেখে যায়। সে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে মহাফুর্তিতে ঘরে বসেই আনন্দ-ফুর্তিতে মজে থাকে। আর এদিকে মা যখন মেয়ের কাছে ফোন করে খবর নেয়ার জন্য, মেয়ে তখন একাকী ঘরে একাকিত্বের কথা ইনিয়ে-বিনিয়ে অভিনয় করে বলতে থাকে। অথচ সেই মহিলা ধারণা করে তার মেয়ে সতী-সাধ্বী, নিষ্পাপ একটি মেয়ে।

তাদের এই পরিবারের এমন খবর আশে পাশের ফ্ল্যাটের সবারই জানা। শুধু টনক নড়েনা সেই তথাকথিত ‘নারীবাদী’ মহিলার। তার কারণ একটাই, সত্যিকার মায়ের ভূমিকায় থাকতে অক্ষম হয়েছে এই মহিলা। তার জীবনকে সে যেমন অভিনয়ের আশ্রয়শালা বানিয়ে নিয়েছে, তা দেখে শিখছে তার স্বামী এবং সন্তানও। সুতরাং এমন অধঃপতিত একটা সংসার বা পরিবারের এর চেয়ে বেশি চাওয়া-পাওয়া তাদের না থাকারই কথা।

কিন্তু আমাদের বলার বিষয়বস্তু হচ্ছে এটাই- উপরোক্ত ঘটনার দ্বারা নিজেদেরকে শুধরিয়ে নেয়া। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিয়ম-নীতি বাদ দিয়ে, বেপর্দা হয়ে ঘুরে বেড়ালেই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না।

বরং এরকম পরিবারের মতো অনেক পরিবার শুধু ধ্বংসই হয়ে যায়, স্বামী-সন্তান শুধু নষ্টই হয়ে যায়। স্বামীর কাছ থেকে, মাতার কাছ থেকে, সন্তানের কাছ থেকে কোন অধিকার আদায় করা যায় না। যেমন করতে পারেনি তথাকথিত এই মহিলাও।

সুতরাং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ছায়াতলে আসতে হবে তথাকথিত নারীবাদী মহিলার এবং তাদের মতো হাজারো তথাকথিত নারীবাদীদের। শুনতে হবে তা’লীম-তালক্বীন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে মানতে হবে। পর্দার হাক্বীক্বত বুঝতে হবে। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার বিষয়ে বুঝ পয়দা হওয়ার জন্য আসতে হবে হক্কানী-রব্বানী আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী উনাদের কাছে। তাহলেই হাক্বীক্বীভাবে ‘নারীদের অধিকার’ সম্পর্কে বুঝতে পারবে। একমাত্র পবিত্র দ্বীন ইসলামই নারীদেরকে এত বেশি মর্যাদা দিয়েছে যার কোন তুলনা চলে না। সুতরাং নারীদের এই মর্যাদা বুঝতে হলে তাকে অবশ্যই মুসলমানের মতোই মুসলমান হতে হবে। মুসলমানের রীতি-নীতি বাদ দিয়ে বেদ্বীন-বদদ্বীনদের রীতি-নীতি গ্রহণ করা চলবে না।

সুতরাং তথাকথিত নারীবাদীদেরকে আসতে হবে আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, গুলে মুবীনা, উম্মুল উমাম, আওলাদে রসূল হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছে। উনার নিকট এসে ফায়িয-তাওয়াজ্জুহ হাছিলের মাধ্যম দিয়ে তথাকথিত নারীবাদীত্বের মুখোশ খুলে হাক্বীক্বী মুসলিমা হওয়ার কোশেশ করতে হবে। তবেই জীবনে হাক্বীক্বী সফলতা লাভ করা সম্ভব। (আমীন)

-আহমদ আজিমা ফারহা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস