নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে পণ্য হিসেবে। বিভিন্ন অঙ্গনে নারীদের ব্যবহার করে মুৎসুদ্দী পুঁজিপতিরা কোটি কোটি টাকা আয় করছে। পত্রিকার পাতা খুললেই আজো চোখে পড়ে গ্রাম ও শহরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অমর্যাদাকর হিলা বিবাহ, বাল্যবিবাহ, স্ত্রী নির্যাতন, তালাক প্রভৃতির মাধ্যমে নারী নির্যাতনের অগণিত চিত্র।’ (১৩ই মার্চ ২০০৯: একটি দৈনিক পত্রিকা)

উপরের রিপোর্টের আলোকে বিবেকবান মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্ন- কেন নারীদেরকে পণ্য সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে?

পুঁজিপতিরা ভোগ্য সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করছে নারীদেরকে কেন?

বর্তমান সমাজের তথাকথিত বিবেকবান মানুষের কাছে এর সদুত্তর জানা নেই। জানা থাকার কথাও নয়। ‘পণ্যদ্রব্য’ বা ‘পণ্য সামগ্রী’ যা সচরাচর নিত্যদিন ব্যবহার করা হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। পোশাক-পরিচ্ছেদ ও পাউডার, লোশন, সাবান, লিপিস্টিক, গহনা ইত্যাদি সামগ্রী বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আর বিজ্ঞাপনগুলো দেয়া হয় প্রতিটা হারাম কাজের মাধ্যমে। টেলিভিশন, রেডিও, ভিডিও এমনকি বড় বড় দেয়ালে পোস্টার সেঁটে প্রচার করা হয় ওইসব বিজ্ঞাপনগুলো। মেয়েরা এই বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোতে বেপর্দা হয়ে প্রায় অর্ধনগ্ন থাকে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নারী হওয়ার ধ্যান ধারণায় তথাকথিত চরিত্রহীন, লম্পট, বিকৃত রুচির কিন্তু কথিত প্রগতিবাদী দাবিদার পুরুষদের কাছে ভোগ-লালসার শিকার হয়। এর জন্য দায়ী কে? একমাত্র নারী। এদের খোলামেলা, বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনার জীবনযাপনই অন্য দশটা পুরুষকে নষ্ট হতে শেখায়। স্বাধীনতা নয় বরং পরাধীনতাই উক্ত নারীরা বেছে নিয়েছে। বিকিয়ে দিয়েছে স্বেচ্ছায় নারীত্বের মর্যাদা। যার জন্যেই বেড়ে চলেছে লিভ টুগেদার, ঘটছে সম্ভ্রমহরণ, ঘটছে আত্মহত্যা। এ যেন নারীত্বের অধঃপতনের শেষ পর্যায়। যার মূলে রয়েছে ইহুদী-নাছারাদের চক্রান্ত, মুসলমান থেকে খারিজ করতে পারার এবং তাদের নোংরা জীবনের সাথে একত্রিত করার এক অভিনব কৌশল। আরো দায়ী করা যায় দেশের প্রতিটা সরকারকে যাদের উত্থানও হয়েছে এবং পতনও হয়েছে। এরপর রয়েছে দেশের তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় কথিত দরদী নেতা-নেত্রীবৃন্দ, রয়েছে নায়কেরা সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোশধারী শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যারা তথাকথিত শিক্ষাঙ্গনের কলঙ্কস্বরূপ। অফিস-আদালত, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেরই রয়েছে নামসর্বস্ব খ্যাতি। আর তারই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে তারা। কলঙ্কিত নারী চরিত্রের পেছনে যেমন নিজেদেরই নির্লজ্জতা দায়ী ঠিক তেমনি লজ্জাহীন পুরুষরাও দায়ী। উপরের তথাকথিত ব্যক্তিবর্গই বেদ্বীন-বদদ্বীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের অস্তিত্বের দ্বীন ইসলামের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা নিজেরা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছে। একদিক দিয়ে তারা অবমূল্যায়ন করেছে শরীয়তের হুকুম-আহকাম, আরেক দিক থেকে শিক্ষা দিচ্ছে মুনাফিকী। মাকড়সার জালের মতো ফাঁদ পাতা হয়েছে সর্বত্র, সর্বস্থানে। সুতরাং আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধ যেখানে উপেক্ষিত সেখানে নারীদেরকে পণ্য সামগ্রী হিসেবে সর্বত্র ব্যবহার করা হবে এবং তাদের নিয়ে উক্ত পুঁজিবাদীরা অর্থনৈতিক ফায়দা লুটবে এটাইতো স্বাভাবিক।

সুতরাং ‘পণ্য দ্রব্য’ হিসেবে ব্যবহৃত নারীদেরকে প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে নিজেদের সম্পর্কে। সে কে?

কোথা থেকে এসেছে?

সে কি একজন মুসলিম নারী নয়?

সেসব নারীরা নিজেরাই নিজেদেরকে হিফাজত করার চেষ্টা করবে। শরীয়তের বিধান ‘পর্দা করাকে’ যদি তারা মেনে নেয় তবেই আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে সমস্ত পাপ-পঙ্কিলতা থেকে হিফাজত করবেন। আর তা না হলে ভোগবাদী পুঁজিবাদীদের ভোগ লালসার শিকার হওয়া ছাড়া উক্ত নারীদের আর কোন গত্যন্তর নেই।

রিপোর্টার লিখেছে ‘অমর্যাদার হিলা বিবাহ, বাল্যবিবাহ’ নারী নির্যাতনের আরেকটি চিত্র। নাঊযুবিল্লাহ! এখানে ‘অমর্যাদাকর’ শব্দটি ব্যবহার করা স্পষ্ট কুফরী হয়েছে। কারণ হিলা বিবাহ এবং বাল্যবিবাহ দুটাই শরীয়তে জায়িয রয়েছে। তাই ‘অমর্যাদাকর’ বলা মানেই আল্লাহ পাক উনার নির্দেশকেই অস্বীকার করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। আর যারা আল্লাহ পাক উনাকে মানলো না; অবশ্যই তারা কুফরী করলো। কোন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তিন তালাক হয়ে গেলে সেই স্বামীকে পুনরায় গ্রহণ করতে হলে হিলা ব্যতীত গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু আমাদের সমাজে এই হিলা বিবাহ দেখা যায় না। যদি এক তালাক অথবা দুই তালাক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়ে যায় তাহলে উলামায়ে ছূ’দের ফতওয়ার কারণে সঠিক মাসয়ালা না জেনেই তারা পুনরায় ঘর-সংসার করতে থাকে। শরীয়ত মুতাবিক এক তালাক, দুই তালাক হলেই পুনরায় একত্রে বসবাস করতে হলে বিয়ে যেভাবে পড়ায় ঠিক সেভাবেই আবার বিয়ে দোহরিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘হিলা বিবাহের’ প্রয়োজন নেই। পরিপূর্ণ তালাক অর্থাৎ তিন তালাক হলেই শুধু ‘হিলা বিবাহের’ প্রয়োজন হয়। হিলা বিবাহ-এর ব্যাখ্যা হলো, কোন মেয়ে তিন তালাক প্রাপ্তা হলে সে যদি (স্ত্রী) পূর্বের স্বামীর ঘরে যেতে চায় তাহলে ইদ্দত পালনের পর অন্য কোথাও বিবাহে বসবে এবং নির্জন অবস্থান করবে। এটাকে বলা হয় হিলা বিবাহ। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দেয়, তখন ইদ্দত পালনের পর প্রথম স্বামীর নিকট বিবাহে বসতে পারবে। ‘বিয়ে দোহরানো এবং হিলা বিবাহ’ ব্যতিরেকে স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস করলে সেটা অবৈধ হবে এবং তাদের যতো সন্তান হবে তারাও অবৈধ হবে। (চলবে)

তথাকথিত সাংবাদিকরা এবং বোধজ্ঞানহীন পুরুষ এবং মহিলারা অসভ্য, যবন, ম্লেচ্ছ, বর্বর জাতি ইহুদী-নাছারা-মুশরিকদের বল্গাহারা নোংরা জীবনকেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! দ্বীন ইসলামের মূলনীতি, মূল্যবোধ তাদের কাছে ইঅঈক উঅঞঊউ বা সেকেলে। নাঊযুবিল্লাহ! ১৪০০ বছর আগে যে দ্বীন আল্লাহ পাক নাযিল করেন এবং সমস্ত নিয়ামতে সে দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন এবং সর্বোপরি দ্বীন ইসলামই সর্বাধুনিক। সেখানে সেই পরিপূর্ণ জীবন-বিধান কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ বাদ দিয়ে এ কিসের তা-বলীলায় তারা মেতে উঠেছে- এ যেনো খোদ ইবলিস শয়তানেরই পাঁয়তারা ও ওয়াসওয়াসা।

আরেক দিক থেকে ‘বাল্যবিবাহ’কে ‘নারী নির্যাতন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ। যে বাল্যবিবাহ ইসলামী ঐতিহ্যকে মর্যাদা দান করেছে। বেদ্বীন-বদদ্বীনদের মত বাল্যবয়স এমনকি কৈশোর, যৌবনের উন্মত্ততায় নগ্ন যৌনাচার, ব্যভিচার, নষ্ট, অশালীন সভ্যতা থেকে মুক্তি দিয়েছে মুসলিম সভ্যতাকে। সুন্দর এবং শালীনতার প্রতীক ‘বিবাহের’ মাধ্যমে হিফাজত করা হয়েছে মুসলমান সন্তানদেরকে। বাল্যকালেই হোক, কৈশোরেই হোক আর যে কোন বয়সেই হোক শরীয়তের দৃষ্টিতে একমাত্র ‘বিবাহ’ই পূত-পবিত্র রাখতে পারে মুসলমানদের চরিত্র। একমাত্র দ্বীন ইসলামেই অবাধ স্বাধীনতার নামে পশুদের মত জীবন-যাপন করা কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটা দেশে যদি ইসলামী শাসন-ব্যবস্থা থাকতো তবে আমাদের খালিক্ব, মালিক, রব্বুল আলামীন উনার নির্দেশ মুতাবিক ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি হতো ১০০টি দোররা মারা। কিন্তু যেহেতু ইসলামী শাসনব্যবস্থা নেই তাই উক্ত শাস্তির প্রয়োগও নেই। আর এই নোংরা অপকর্ম, পাপকর্ম থেকে একমাত্র বাঁচার উপায় হচ্ছে ‘বিবাহ করা’। ‘বিবাহ করা’ সুন্নত। কিন্তু যদি পাপ কাজ সংঘটিত হওয়ার ভয় থাকে তবে সেক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে সে ছোটই হোক আর বড়ই হোক আর বৃদ্ধই হোক তখন চরিত্র ঠিক রাখার জন্য বিবাহ করা বা দেয়া ফরয। আর যার হালাল কামাই করার মতো কোন ব্যবস্থা না থাকে এবং স্ত্রীর হক্ব যথাযথ আদায়ে অসমর্থ তার জন্য বিবাহ করা হারাম। কিন্তু সমাজে যারা উক্ত পাপকর্ম করে থাকে তারা টাকা-পয়সা দিয়েই পাপের পথে ধাবিত হয়। সুতরাং তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হবে মুসলমান হিসেবে বেদ্বীন-বদদ্বীনদের অনুসরণে নিজের চরিত্রটাকে নষ্ট না করে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বিয়ে করে হাক্বীক্বী মুসলমানের পরিচয় দেয়া।

‘বিবাহ করা’ হচ্ছে একটা বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যার মাধ্যম দিয়ে একটা পরিবারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে মুহব্বত পয়দা হয়ে থাকে। আর এই মুহব্বতের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে সন্তান-সন্ততি। যা আল্লাহ পাক উনার কুদরতেরই একটি অংশ। আর যারা আল্লাহ পাক উনার উক্ত নির্দেশ অমান্য করবে তারা অবশ্যই নাফরমানী করবে। সর্বোপরি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি আল্লাহ পাক উনার সমস্ত সৃষ্টির মূল, মূল ঈমান এবং উত্তম আদর্শ।

আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তোমাদের রসূল তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।” সেই পেয়ারা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে ৬ বছর বয়স মুবারকে শাদী মুবারক করেছিলেন। এখন কেউ যদি আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শকে অপছন্দ করে বা চু-চেরা করে তবে বুঝতে হবে তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যদি সে তওবা না করে। কাফিররাই আমাদের দেশে খুব সূক্ষ্মভাবে ‘বাল্যবিবাহ’ নিষিদ্ধকরণে আইন প্রয়োগ করেছে- শুধুমাত্র মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা, আমল ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই। আর তাদের এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদেই পা বাড়িয়েছে তথাকথিত নামধারী মুসলমানগণ এবং সরকার ও প্রশাসন।

সুতরাং আমরা যারা হাক্বীক্বী মুসলমান হওয়ার কোশেশে লিপ্ত তারা খাছভাবে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাছে পানাহ চাই উক্ত বদআক্বীদা থেকে; যেন আমরা হিফাজত থাকতে পারি।

এরপর আলোচনা করবো তালাকের প্রসঙ্গে। তালাকের ক্ষেত্রে শরীয়তের সূক্ষাতিসূক্ষ্ম মাসয়ালা রয়েছে। যা প্রত্যেকের জন্য জানা ফরয-ওয়াজিব সে ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক। আমাদের সমাজে যে ঘটনাগুলো অহরহ ঘটে থাকে তা দ্বীনি ইলম না জানার কারণেই ঘটে থাকে। যেমন অনেকে শরীয়তের যে কোন বিষয় নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করল অথবা কৌতুক করল অথবা বিরোধিতা করল প্রত্যেক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই তা কুফরী হয়ে যাবে। আবার কুফরী হলেই কারো যদি বিয়ে হয়ে থাকে তার বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে। পুনরায় বিয়ে না দোহরানো পর্যন্ত একত্রে বসবাস করতে পারবে না। যদি কেউ থাকে তবে  হবে অবৈধভাবে বসবাস। আবার অনেক ক্ষেত্রে সংসারের ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে রাগের বশবর্তী হয়ে স্বামী-স্ত্রীকে তালাক দিয়ে থাকে এবং উলামায়ে ছূ’দের ফতওয়া মুতাবিক ‘রাগের বশবর্তী হয়ে তালাক দিলে তালাক হয় না’ এই মর্মে বিয়ে না দোহরিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে একত্রে থাকতে বাধ্য করে। আর আফসুসের বিষয়- মূর্খ তথাকথিত, নামধারী মুসলমানরা শরীয়তের সঠিক মাসয়ালা জানার চেষ্টাটা পর্যন্ত করে না। নিজেরাই অজ্ঞতার কারণে সারাজীবন অবৈধভাবে জিন্দেগী কাটায়। মূলত তাদের এই অজ্ঞতার জন্য দায়ী নিজেরাই, তাদের এই অবৈধ জীবনযাপনের জন্য দায়ী নিজেরাই, আর তাদেরই ঔরসজাত অবৈধ সন্তান হওয়ার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী যার কারণে আজকাল এইসব সন্তানরা পিতা-মাতার হক্ব সম্পর্কে সচেতন নয়। পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করা ছাড়া ভালো কিছু তাদের কাছে আশা করা যায় না। তাদের আচার-আচরণে আদব-শিষ্টাচারের লেশমাত্র কিছু দৃষ্টিগোচর হয় না। আফসুস! এই সব হতভাগ্য পিতা-মাতা ও হতভাগ্য সন্তানদের জন্য। যারা আল্লাহ পাক উনার খাছ নিয়ামত পেয়েও কদর করতে পারলো না। যার কারণে নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়ে তাদেরকে সন্তানসহ লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হচ্ছে।

যেখানে ‘তালাক’ দেয়াটা আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না। ‘তালাক’ দিলেই আল্লাহ পাক- উনার আরশ কাঁপতে থাকে। সেখানে বিনা ওজরে, শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে, কুফরী-শিরকী করার কারণে যদি তালাক হয়ে যায়- তবে কত কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে দুনিয়াতে এবং আখিরাতে সেটা আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন। সুতরাং ‘তালাক’ সম্পর্কিত শরীয়তের ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষা করা এবং সেভাবে মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য একান্ত ফরয-ওয়াজিব। আল্লাহ পাক যেনো মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার উছীলায় আমাদের প্রত্যেক মুসলমান, পুরুষ এবং নারীদেরকে শরীয়তের বিভিন্ন বিষয়ের সূক্ষাতিসূক্ষ্ম মাসয়ালা জানার তওফিক দান করেন। আমীন।

-আজিমা ফারহা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস