নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীর ন্যাকামি ও ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছে দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান। দেব-দেবী ও মহান আল্লাহ পাক উনাকে সমকক্ষ ও সমার্থক করার স্পর্ধা শুধু ভুল বলে উল্লেখ করলে চলবেনা; এজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। বর্তমান নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।

সংখ্যা: ২২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব ছানা-ছিফত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। এমন ছানা-ছিফত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। অপরিসীম, অকৃত্রিম, অগণিত দুরূদ ও সালাম মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। এমন দুরূদ ও সালাম মুবারক যা তিনি পছন্দ করেন।

সরকার কী সংবিধান বিশ্বাস করে?

সরকার কী সংবিধান উপলব্ধি করে?

সরকার কী সংবিধান পালন করে?

রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম এটা কী সংবিধানে বর্ণিত ২(ক) ধারা নয়?

এটা পালন কী সরকারী কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা?

শিক্ষানীতিতে এর প্রতিফলন কী সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?

শিক্ষামন্ত্রী যে আজীবন নাস্তিক্যবাদী দর্শন ও বিশ্বাস ধারণ করে আছে এটা কী সরকার জানেনা?

শিয়ালের কাছে মুরগি পাহারা দিলে কী হয়?

নাস্তিক্যবাদী ব্যক্তিকে শিক্ষামন্ত্রী বানানোর ফল কী হয়? সে যে অবাধে তার নাস্তিক্যবাদী দর্শন তার অধিক্ষেত্র শিক্ষানীতিতে চাপিয়ে দিয়েছে; তা কী বলার অপেক্ষা রাখে?

দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অভিব্যক্তি হলো বর্তমান শিক্ষানীতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছর পর ধর্মপ্রাণ মুসলমান পাওয়া যাবেনা। সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার কার্যকারিতা খুঁজে পাওয়া যাবেনা। (নাঊযুবিল্লাহ)

বলাবাহুল্য, এ ষড়যন্ত্র খোদ শিক্ষামন্ত্রী ও তার বিদেশী প্রভুদের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার নিযুক্ত এজেন্টদের।

এরা কী ব-কলম? না মূর্খ? এরা কী এদেশে বাস করেনা? এরা কী মুসলমান-হিন্দুদের মধ্যে মৌলিক বিশ্বাসের পার্থক্যটা বুঝেনা?

হিন্দুদের মূলকথা দেব-দেবীর পূজা করা এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল কথা দেব-দেবী ধ্বংস করা লা-শরীক, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদ স্বীকার করা এটা এদেশের শিশু-কিশোররাও জানে। কিন্তু জানেনা নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ শিরক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে দেশের ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থীদের। ২০১৩ সাল থেকে নবম-দশম শ্রেণীর জন্য পাঠ্য ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ৮২ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে ‘দেবদেবীর বা আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম’।

এখানে দেব-দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা না হলে সে পশুর গোশত খাওয়া হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মানে হলো দেব-দেবীর নামে কোন পশু উৎসর্গ করা হলে তার গোশত খাওয়া হালাল!

একই সাথে এখানে দেব-দেবীকে মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষ করা হয়েছে! (নাঊযুবিল্লাহ)

পবিত্র কুরআনে পশুর গোশত হারাম হওয়া বিষয়ে যে সুস্পষ্ট আয়াত শরীফ রয়েছে, তারও সরাসরি বিপরীত পাঠ্যপুস্তকের এ বিষয়টি।

দেব-দেবীকে মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষ করা এবং দেব-দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা পরোক্ষভাবে জায়িজ আখ্যায়িত করায় তারা দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান চরম-পরম স্তম্ভিত ও মহা সংক্ষুব্ধ। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে এভাবে শিরকী কথা প্রচারে সবাই যারপর নাই বিস্মিত। তারা ক্ষোভের অনলে পুড়ছেন। জিহাদী জজবায় ফুঁসছেন।

এর আগে নবম-দশম শ্রেণীর জন্য ধর্ম শিক্ষা হিসেবে পাঠ্যবইটির নাম ছিল ‘ইসলাম শিক্ষা’। ইসলাম শিক্ষা বইটি ১৯৯৬ সাল থেকে পাঠ্য হিসেবে নির্ধারিত ছিল। এই বইয়ের ৪৩ পৃষ্ঠায় ‘হালাল ও হারাম’ শিরোনামে হারাম বস্তুর যে তালিকা উল্লেখ ছিল সেখানে ৫ নম্বর ক্রমিকে লেখা ছিল ‘যে সকল প্রাণীকে কোন দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করা হয়, তার গোশত হারাম।’

উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দেব-দেবী সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহ পাক উনার জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসঙ্গত বণ্টন। এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা রেখেছ। এর সমর্থনে মহান আল্লাহ পাক তিনি কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তা উনার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।” (পবিত্র সূরা নজম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ : ১৯-২৩)

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দেব-দেবী সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা বলছেঃ তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসরকে। অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব আপনি জালিমদের পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন।” (পবিত্র সূরা নূহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ : ২৩-২৪)

দেবদেবীকে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তান মনে করা কুফরী এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি কি উনার সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান? তারা রহমান আল্লাহ পাক উনার জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখম-ল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে। তারা কি এমন ব্যক্তিকে মহান মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম। তারা নারী স্থির করে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? এখন তাদের দাবি লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। তারা বলে, রহমান মহান আল্লাহ পাক ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে। আমি কি তাদেরকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তাকে আঁকড়ে রেখেছে? (পবিত্র সূরা যুখরুফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬-২১)

উল্লেখ্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশ্বাস ও অনুভূতি দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের অন্তরের অন্তঃস্থলে আছে। সেক্ষেত্রে নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী ন্যাকা সেজে কৌশলে ধর্মনিরপেক্ষতা চালিয়ে দেয়ার জন্য এ ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা নাস্তিকদের সাবধান করছি এবং বর্তমান শিক্ষানীতি প্রত্যাখ্যান করছি। অবিলম্বে এ নাস্তিক্যবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি বাদ দিয়ে দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম শিক্ষানীতি প্রণয়ণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ জিসান আরিফ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস