প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডে ইন্তিকালকৃতদের রূহের মাগফিরাতের জন্য  সারাদেশে জুমুয়ার নামাযের পর মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করতে বলেছেন। জীবিত থাকা অবস্থায় কৃত গুনাহর শাস্তি থেকে মুক্তির জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এ আহবান। সেক্ষেত্রে বর্তমানে যারা জীবিত রয়েছে তাদের জন্য গুনাহর কাজ যাতে সহজে না হয়; প্রধানমন্ত্রী সে দিকে নজর দিবেন কী? এদিকে মিডিয়া ব্যাপক প্রচার করেছে, লাশের মিছিল, অসংখ্য কবর এবং দাফন। কিন্তু এরপরে কী? মিডিয়া তার জবাব খুঁজে দেখবে কী?

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

নড়েচড়ে বসা না।

হেলেদুলে উঠা না।

ভূ-কম্পনও না।

তবে দুর্ঘটনা সবারই অন্তরেই একটা কাঁপুনি দিয়েছে বটে। অথবা হৃদকম্পনটা বড়সড় একটা ঝাঁকুনিই দিয়েছে। না হয়েইবা উপায় কী?

বেগুনবাড়ির ভবন ধসে প্রায় ২৫ জন নিহতের খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই গত ০৩.০৬.২০১০ ঈসায়ী তারিখে নিমতলীতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেড় শতাধিক লোক ইন্তিকালের খবর।

গত ০৫.০৬.২০১০ ঈসায়ী তারিখে ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ ফাস্ট লীড নিউজ হয়: “আজিমপুর কবরস্থানের বাতাসে লাশের গন্ধ ॥ নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করবে -প্রধানমন্ত্রী”

খবরে বলা হয়: “আজিমপুর কবরস্থানে বাতাসে কেবল পোড়া লাশের গন্ধ। মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছে আজিমপুর কবরস্থান। গত বৃহস্পতিবার স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ১১৩ জন মারা যায়। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা পুরানো ঢাকার নিমতলীর নাজিমউদ্দিন সড়ক দিয়ে ট্রাকে করে লাশ নিয়ে আসছে স্বজনরা। আর ট্রাকের পিছনে সাধারণ মানুষ।

বৃষ্টির কারণে আজিমপুরে কবরস্থানে লাশ দাফন কাজে একটু বিলম্ব হয়। সব লাশ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত জানান, এখন পর্যন্ত ১১০টির মত কবর খোঁড়া হয়েছ। তার মধ্যে ৪৪টি মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে ৩০ জন গোরখোদক একের পর এক কবর খুঁড়েছেন। কবরস্থানের পূর্ব দিকে সারি সারি করে এসব কবর খোঁড়া হয়েছে।”

অন্য একটি দৈনিকে হেডিং হয়েছে, “লাশের মিছিল, শোক আর কান্না, নিহতের সংখ্যা ১১৭।”

পত্রিকায় হেডিং হয়: “রাজধানীতে লাশের মিছিল, নিমতলীর অগ্নিকা-ে মৃতের সংখ্যা ১১৮ : আহত দু’শতাধিক : আজ রাষ্ট্রীয় শোক।”

আরো একটি পত্রিকায় হেডিং হয়: “পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন, ১১৭ জনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩৯ জন হাসপাতালে, কাঁদছে ঢাকা, শোকার্ত দেশ।”

অন্যান্য পত্রিকায় ঘুরে-ফিরে একটা বিষয়ই রিপোর্টের প্রধান উপজীব্য হয়েছে যে, স্বাধীনতার পর এত কবর একসাথে খোঁড়া হয়নি। অন্য সব রিপোর্টাররা যেন এ বিষয়টিকেই এক্সক্লুসিভ পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, লাশের কাফন পরানো, দাফন করা, কবর খোঁড়া সব-ই কিন্তু ইসলামী বিশ্বাস ও অনুভূতির সাথে পুরোপুরিভাবে জড়িত।

সেক্ষেত্রে বলতে গেলে কথিত রিপোর্টাররা খুবই ক্ষুদ্র তথা অংশত একটা রিপোর্ট করেছেন।

সঙ্গতকারণেই তাদের এ রিপোর্টে কবর সম্পর্কিত ইসলামী বিশ্বাস ও বর্ণনাগুলো সংযুক্ত হওয়া আবশ্যকীয় ছিলো। ইসলামও তাই বলে।

কবর সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উসমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত যে, যখন তিনি কোন কবরের কাছে দ-ায়মান হতেন, তখন কান্না করতেন, এমনকি তিনি নিজের দাড়ি মুবারক পর্যন্ত ভিজিয়ে ফেলতেন। লোকে উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আপনি বেহেশত ও দোযখের বর্ণনা করে থাকেন, তখন কাঁদেন না. কিন্ত এ কবরস্থানে দ-ায়মান হয়ে কেঁদে থাকেন, (এর কারণ কি?) তিনি বললেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুটা হাদীছ শরীফ শ্রবণে এরূপ করে থাকি। প্রথম. তিনি বলেছেন, কবর আখিরাতের মঞ্জিলসমূহের মধ্যে প্রথম মঞ্জিল, যে ব্যক্তি এ (শাস্তি) থেকে নিষ্কৃতি পাবে, এর পরবর্তী প্রত্যেক মঞ্জিল তার পক্ষে সমধিক সহজ হবে। আর যে ব্যক্তি এটা হতে নিষ্কৃতি পাবেনা, তৎপবর্র্তী প্রত্যেক মঞ্জিল তার পক্ষে সমধিক কঠিন হবে। দ্বিতীয়. তিনি বলেছেন, আমি যে কোন দৃশ্য পরিদর্শন করেছি তন্মধ্যে কবর সমধিক কঠিন। (তিরমিযী শরীফ)

“হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কন্যা হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুৎবা পড়তে দ-ায়মান হয়ে মানুষ কবরে যে ফাসাদে নিক্ষিপ্ত হয়, তার কথা উল্লেখ করলেন। যখন তিনি এটা বর্ণনা করলেন, মুসলমানরা এমন চিৎকার করে উঠলেন যে, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক বুঝতে অসমর্থ হলাম। যখন তাঁদের কান্না বন্ধ হয়ে গেল, আমি আমার নিকটস্থ এক ব্যক্তিকে বললাম, হে অমুক! আল্লাহ পাক আপনার মধ্যে বরকত প্রদান করুন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ কথা কি বলেছিলেন? তদুত্তরে তিনি বললেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমার নিকট ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, নিশ্চয়ই তোমরা কবরসমূহে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষিত হবে।”

“হযরত ছূফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই তিনি বলেছেন, যখন মৃতকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তোমার প্রতিপালক কে? তখন শয়তান একপ্রকার রূপ ধরে তার সাথে দেখা দেয় এবং নিজের দিকে ইশারা করে বলতে থাকে, নিশ্চয়ই আমিই তোমার প্রতিপালক।” (নাউযুবিল্লাহ) হযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, এটি মহা পরীক্ষা।

উপরোক্ত বর্ণনা সাপেক্ষে প্রতিভাত হয় যে, কবর এমন এক মঞ্জিল যেখানে কেবল দ্বীনদার, নেককার পরহিযগার লোকেরাই সুওয়ালের সঠিক জাওয়াব দিতে পারবেন।

বলাবাহুল্য, নিমতলীর আগুন লাগার ঘটনাই শুধু প্রচারিত হয়নি; তার পাশাপাশি আরো দুটি বিষয় প্রকাশিত হয়েছে।

এক- মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা এবং জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মত লেলিহান ভীষণ অগ্নিরূপ এবং তাতে মৃত অঙ্গারের ন্যায় বীভৎস বিকৃত লাশ। যা উদ্ধার করতে গিয়ে উদ্ধার কর্মীরাও অশ্রু ঝেড়েছেন।

দুই- আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তথা স্থানীয় লোকজন তাদের তাৎক্ষণিক জনতৎপরতা এবং বর্তমান মেয়রসহ সাবেক মেয়র, স্থানীয় এমপি থেকে সকল রাজনীতিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী সবারই অকুস্থল পরিদর্শন এবং খোদ রাষ্ট্রপতি থেকেও শোকবার্তা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন; সর্বোপরি  জাতীয়ভাবে শোকপালন।

প্রসঙ্গত এসব উদ্যোগই পজিটিভ। পর্যবেক্ষক মহলের আশা হয়তোবা আরেকটু বেশি ছিলো।

কিন্তু ঘটনার আড়ালে আরো যে প্রণিধানযোগ্য ঘটনা রয়ে গেছে। প্রসঙ্গত আগুন লাগানোর ঘটনায় সব মহলের সব ধরনের সাহায্যের বিপরীতে

আরো একটা প্রশ্ন জ্বলন্ত হয়ে দাঁড়ায়- এই যে,

এতসব উদ্ধারকর্মী

এতসব সমবেদনাকারী

এতসব সহমর্মিতাকারী

এতসব সাহায্যকারী

এতসব দানকারী

এতসব শোক জ্ঞাপনকারী

এতসব প্রতিশ্রুতি দানকারী

এতসব সঙ্গদানকারী

এদের সবারই নিবেদনটুকু

কবরে দাফন করার সাথে সাথেই কী নিঃশেষ হয়ে যাবে?

তাদের অন্তরে একবারও কী প্রশ্ন জাগবে না যে,

এরপরে এদের কী হবে?

এদের কবরে কী হবে?

দুনিয়াতে এরা যেমন আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে অবর্ণনীয় কষ্ট পেয়েছে-

খোদা না করুন, কবরে বা পরকালে যদি একই রকমভাবে এরা আগুনে কষ্ট পায়;

কিন্তু কথা হলো- কবরের বা দোযখের আগুন কী এরকমই?

না, এরচেয়েও মহাভয়ঙ্কর অবর্ণনীয় কষ্টদায়ক?

এদিকে শুধু পুরান ঢাকাবাসী কেন, গোটা ঢাকাবাসীই এ ধরনের অবর্ণনীয় অগ্নিকা-ের খবর আঁচ করতে পারেনি, কল্পনা করতে পারেনি, বর্ণনা ভাবতে পারেনি।

কিন্তু দোযখের আগুনের ভয়াবহতার বর্ণনা কি একেবারেই অপ্রতুল?

কুরআন-সুন্নাহ খুললেই কী তার অবস্থাটা আঁচ করা যায় না?

প্রসঙ্গত এখানে দোযখের আগুনের বিবরণ সম্বলিত কিছু হাদীছ শরীফ তুলে দেয়া গেলো-

* হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুনের উত্তাপ জাহান্নামের আগুনের (উত্তাপের) সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।” বলা হলো, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (জাহান্নামীদের শাস্তিদানের জন্য) “দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ট ছিলো।’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, দুনিয়ার আগুনের উপর এর সমপরিমাণ তাপসম্পন্ন জাহান্নামের আগুন আরও ঊনসত্তর ভাগ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।” (মিশকাত শরীফ)

* হযরত নো’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দোযখীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সহজতর শাস্তি ওই ব্যক্তির হবে, যাকে আগুনের ফিতাসহ দুইটি জুতা পরানো হবে। এতে তার মগজ এমনিভাবে ফুটতে থাকবে, যেমন ভাবে তামার পাত্র ফুটতে থাকে। সে ধারণা করবে, তার অপেক্ষা কঠিন আযাব আর কেউ ভোগ করছে না। অথচ সে হবে সর্বাপেক্ষা সহজতর শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি।” (বুখারী শরীফ)

* হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দোযখীদের মধ্যে কোন কোন লোক এমন হবে, দোযখের আগুন তার পায়ের টাখনু পর্যন্ত পৌঁছবে। তাদের মধ্যে কারো হাঁটু পর্যন্ত আগুন পৌঁছবে। কারো কারো  কোমর পর্যন্ত এবং কারো কারো গর্দান পর্যন্ত পৌঁছবে।” (মুসলিম শরীফ)

* হযরত আবু সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দোযখের আগুন যয়তুন তেলের নিচের তপ্ত গাদের ন্যায়। যখন তা মুখের কাছে নেয়া হবে তখন গরম উত্তাপে তার মুখের চামড়া-গোশত খসে পড়বে।” (তিরমিযী শরীফ)

* হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দোযখীদের মাথার উপর তপ্ত গরম পানি ঢালা হবে এবং তা তার পেটের মধ্যে প্রবেশ করবে। ফলে পেটের ভিতরে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু বিগলিত হয়ে পায়ের দিকে নির্গত হবে। আবার সে পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবে (পুনরায় তা ঢালা হবে।) অর্থাৎ তাদের মাথায় গরম পানি ঢালা হবে, যার দরুন তাদের পেটের নাড়িভুঁড়ি সবকিছু গলে বের হয়ে যাবে। এরপর পর তার দেহ পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে এবং আবার গরম পানি ঢালা হবে।” (তিরমিযী শরীফ)

* হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। “একদা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আয়াত শরীফটি পাঠ করলেন। অর্থাৎ  ‘তোমরা আল্লাহ পাককে যথাযথ ভয় কর এবং পূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (অতঃপর) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যদি ‘যাক্কুম’ গাছের এক ফোঁটা এই দুনিয়ায় পড়ে, তবে গোটা দুনিয়াবাসীর জীবনধারণের উপকরণসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ওই সমস্ত লোকদের দুর্দশা কিরূপ হবে, এটা যাদের খাদ্য হবে।”

* হযরত আবু সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “দোযখী ব্যক্তির অবস্থা এই হবে যে, আগুনের প্রচ- তাপে তার মুখ ভাজা-পোড়া হয়ে উপরের ঠোঁট সঙ্কুচিত হয়ে মাথার মধ্যস্থলে পৌঁছবে এবং নিচের ঠোঁট ঝুলে নাভির সাথে এসে লাগবে।” (তিরমিযী শরীফ)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস