বাংলাদেশকে কী ব্যর্থ রাষ্ট্র করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে? পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামধারী ধর্মব্যবসায়ীরা কেন ক্রমাগত হত্যা, সহিংসতা ও নাশকতার পথে চলছে? দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে জেগে উঠা প্রয়োজন।

সংখ্যা: ২২৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে বিগত তিন মাসে ১৭১ জন খুন হয়েছে। এ সময়ে ২৩০টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৬ হাজার ৪৪৯ জন। যুদ্ধাপরাধী দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর মামলার রায়ের পর সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে জামাত-শিবিরের ৪৪ জন, পুলিশ ৯ জন, গ্রাম পুলিশ ১ জন, ৩ জন নারী, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী ও সমর্থক ১০ জন এবং সাধারণ মানুষ ৭০ জন।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় একের পর এক হামলা, ভাংচুর ও সহিংসতায় আতঙ্কের মধ্যে আছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি দেশব্যাপী শিবিরের সহিংসতা এর মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৬ এপ্রিল কথিত হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঘিরেও ভীতি কাজ করছিল সাধারণ মানুষের মনে। এরই মধ্যে গত ২ এপ্রিল ২০১৩ ঈসায়ী তারিখ মঙ্গলবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ও ছাত্রশিবির।

ওই হরতালের আগের দিনে রাজধানীতে ১০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হওয়ার পর পরই তিনটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

ঢাকার বাইরে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও সেসময় সহিংস ঘটনা ঘটে। রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় পুলিশের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল শিবিরকর্মীরা। পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে এ সময় বেধড়ক পেটানো হয়। বোয়ালিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম এতে গুরুতর আহত হন। গত ৩১ মার্চ ২০১৩ ঈসায়ী তারিখ রোববার পুলিশের উপর শিবিরের বোমা হামলায় যে মামলা দায়ের হয় জাহাঙ্গীর আলম তার বাদী।

এদিকে রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছে জামাত-শিবির। এ জন্য রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ উড়িয়ে দেয়া, রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ রাস্তায় গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ছক এঁকেছে তারা। একই সঙ্গে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের মোকাবেলায় নারী ও শিশুদের দিয়ে জামাত-শিবির মানবঢাল তৈরির পরিকল্পনা করছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে অকার্যকর প্রমাণিত করতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন ভিআইপিকেও ‘হিটলিস্টে’ নেয়া হয়েছে। নাশকতামূলক এসব কাজ বাস্তবায়নে দলটি ইতিমধ্যেই আফগান ফেরত যোদ্ধা, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) এবং হিযবুত তাহরীরের চিহ্নিত কয়েকশ সদস্যকে দলে ভিড়িয়েছে। দুর্ধর্ষ প্রকৃতির এসব সদস্যকে নিয়ে ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে ‘বিশেষ স্কোয়াড’। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোটা অংকের অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত দু’মাস ধরে ব্লগ ও ফেসবুকের বেশকিছু অ্যাকাউন্ট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।

মূলত ক্ষমতার লড়াইয়ে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। পুলিশও বাদ থাকছে না।

পুলিশের মধ্যেও হতাশা। তারা আর গুলি করতে চায় না। ‘ডিসিপ্লিন ফোর্স’ বিধায় হুকুম তামিল করতে হচ্ছে। কারণ ক্ষমতার পালাবদল হলে তখন এই গুলিকারী পুলিশই সর্বাগ্রে চিহ্নিত হবে ও চাকরিতে নিগৃহীত হবে।

দেশী-বিদেশী সবাই ক্লান্ত সমঝোতার কথা বলতে বলতে। সমঝোতার পথে সমাধানে না নিয়ে দেশটা কি এভাবেই চলবে? পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে গুলি, বোমা আর মানুষ খুন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাংলাদেশও কি সে পথে এগিয়ে যাচ্ছে? প্রসঙ্গত প্রশ্ন উত্থাপিত হয় আমরা কী আইভরি কোস্টের পথ ধরছি? এখানে উল্লেখ করতে হয়, আইভরি কোস্টেও এক সময় উদার গণতন্ত্র ছিল। অর্থনীতি ছিল চাঙ্গা। বাইরের দুনিয়ায় ভালো ইমেজ ছিল। কিন্তু জাতিগত দাঙ্গায় দেশটি এখন একদম পঙ্গু। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সফল হননি। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরাও সেখানে আছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণ করার জন্য দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী মহল সক্রিয়। এর মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী ইসলাম নামধারী দলগুলোর কথা সবিশেষ উল্লেখ্য। এরা আজ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে লংমার্চ ও হরতাল এবং নাশকতা ও সহিংসতাসহ বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কাজে ভয়াবহভাবে লিপ্ত। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “একজনের গুনাহর ভার আরেকজন বহন করবে না।” কিন্তু এরা সরকারের কোন কাজ অপছন্দ হলেই দেশ ও জাতির উপর জুলুমের খড়গ হস্ত বিস্তার করে। কিন্তু পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হযেছে, “তোমরা জালেমও হয়োনা এবং মজলুম হয়োনা।” অপরদিকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ফিতনা কতলের চেয়েও বড়।” কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামধারী উলামায়ে ‘সূ’রা জুলুম ও ফিতনার বিস্তার করে দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র রোধ করার দায়িত্ব শুধু সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে বসে থাকলে হবেনা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানকেই এ ষড়যন্ত্র ও উলামায়ে ‘সূ’দের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে ইনশাআল্লাহ।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে  পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস