বিশেষ কলাম: আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা। ইহুদীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলমান উনাদেরকে ছহীহ আক্বীদা ও আমল

সংখ্যা: ২৬৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

থেকে বিচ্যুত করে দেয়াই এদের উদ্দেশ্য (২)

সবাই কি জারাহ করার যোগ্যতা রাখে?

পবিত্র হাদীছ শরীফ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণকারীদের অনেক গুণাবলী থাকতে হবে। যেমন তেমন লোক পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে বা কোন রাবী নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবে না।

হযরত আব্দুল হাই লখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ বিষয়ে কিতাবে উল্লেখ করেন, “পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনাকারীদের জন্য এ গুণাবলী অপরিহার্য যে, তারা নেককার ও নির্ভযোগ্য হবেন। জারাহ ও তা’দীলের বিষয়গুলো ভালোভাবে অবগত হবেন। ন্যায় ও ইনছাফের উপর থাকবেন, কল্যাণকামী হবেন, গোঁড়ামী ও পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত হবেন, অহঙ্কার ও আত্মগৌরব থেকে মুক্ত হবেন। কেননা গোঁড়া ও পক্ষপাতদুষ্ট লোকের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।” (ফাওয়াতিহুর রহমূত ২/১৫৪)

হাফিযে হাদীছ হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি তিনি বলেন-

واِنْ صَدَرَ مِنْ غَيْرِ عَارِفٍ باِلْاَسْبَابِ لَـمْ يُعْتَبَرْ بِه

অর্থ : “জারাহ যদি এমন ব্যক্তি করেন যিনি জরাহের নিয়ম কানুন, লক্ষণ, কারণ সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত নন তার কথার কোনো গুরুত্ব নেই।” (নুয্হাতুন্ নাযার ফী তাওযীহি নুখবাতিল ফিকর  ১/১৭৯)

যেমন একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জারাহ যাচাই বাছাই ছাড়া গ্রহণ করা হয়না। ইমাম হযরত যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

قَالَتْ: حَضْرَتْ اِبْنُ حِبَّانَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ رُبـَمَا قَصَبَ الثِّقَةَ حَتّٰى كَاَنَّه لَا يَدْرِىْ مَا يـَخْرُجُ مِنْ رَّاْسِه

অর্থ : “আমি বলি, ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রায়ই নির্ভরযোগ্যকে দুর্বল বলেন, এমনকি মনে হয় তার মাথা থেকে কি বের হচ্ছে তা তিনি নিজেই বুঝেন না।” (মিযানুল ইতিদাল ১/২৭৪, খুলাছাতুল উলুমিল জারাহ ওয়াত তা’দীল ১/৫০০)

রিজালের কিতাব খুলে দেখা গেছে অনেক ছিক্বাহ রাবী উনাদেরকে ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জারাহ করেছেন, অথচ দুনিয়ার আর সব ইমাম সেই রাবীর প্রশংসাই করেছেন।

অতএব কে জারাহ করলো সে বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। সবার কৃত জারাহ গ্রহণ করা যাবে না। বরং তাহক্বীক্ব করে নিতে হবে।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ব্যবহৃত পারিভাষিক ভাষাসমূহের পার্থক্য

হাফিয ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বিশেষ বিশেষ ইমাম উনাদের বিশেষ বিশেষ পরিভাষা রয়েছে, সেগুলো জেনে রাখা আবশ্যক। (ইখতিছারু উলুমিল হাদীছ ১০৫ পৃষ্ঠা)

সকল ইমাম উনাদের ব্যবহৃত পরিভাষা একই রকম হয় না। একজনের পারিভাষিক ভাষায় যেই বর্ণনা গ্রহণই করা যায় না। আবার অন্য কোন মুহাদ্দিছ উনার সেই ভাষায় তা গ্রহণ করতে কোন সমস্যা থাকে না। কতিপয় উদাহরণ পেশ করা হলো-

(১) আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কোন রাবী সম্পর্কে বলেন, مُنْكِرُ الْـحَدِيْثِ  (মুনকিরুল হাদীছ) সেই রাবী থেকে হাদীছ শরীফ গ্রহণ করা জায়িয নেই। (মিযানুল ইতিদাল ১/৪১২)

উছূলে হাদীছ শরীফ সম্পর্কে যারা জ্ঞান রাখেন তারা জানেন ‘মুনকার’ শব্দটা একজন রাবীর জন্য বড় একটা জারাহ। “অপরদিকে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কাউকে ‘মুনকিরুল হাদীছ’ বলেন তখন কিন্তু অবস্থা এক রকম থাকে না। এক রকম থাকলে পবিত্র বুখারী শরীফ উনার প্রথম হাদীছ শরীফই বাদ হয়ে যেত। হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের অনেক নির্ভরযোগ্য রাবীকেও মুনকার বলেছেন।

এমনকি বুখারী শরীফ উনার মধ্যে প্রথম হাদীছ শরীফ উনার রাবী মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকেও মুনকার বলেছেন।” (হাদীউস সারী ৬১৬)

বিখ্যাত তাবিয়ী হযরত ইয়াযীদ বিন খুসাইফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “মুনকিরুল হাদীছ” বা পরিত্যাজ্য ও আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন।

এখানে জানার বিষয় হচ্ছে, হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোন রাবীকে মুনকার বললে সেটা মন্দ অর্থ বুঝানোর জন্য বলেন না, বরং কোন বর্ণনার ক্ষেত্রে একক বর্ণনাকারী হওয়ার জন্য বলেন।

মূলতঃ এক একজন ইমামের উছূলের পরিভাষা একেক রকম। এ বিষয়ে হাফিযে হাদীছ হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

قُلْتُ هٰذِهِ اللَّفْظَةُ يَطْلُقُهَا اَحَـمَدُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَلٰى مَنْ يَّغْرُبُ عَلٰى اَقْرَانِه بِالْـحَدِيْثِ عُرِّفَ ذٰلِكَ باِلْاِسْتِقْرَاءِ مِنْ حَالِه

অর্থ : “হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পরিভাষায় “মুনকার” অর্থ হচ্ছে, যে রাবী বর্ণনার ক্ষেত্রে সমসাময়িক রাবীদের তুলনায় নিঃসঙ্গ অর্থাৎ এমন বর্ণনা করেন যা সমসাময়িক অন্য বর্ণনাকারীগণ করেননি। হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশেষ পরিভাষা রীতি ও অবস্থা পর্যবেক্ষন করে বোঝা গেছে।” (মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ১/৪৫৩, লিসানুল মুহাদ্দিছিন ৫/১৯৪)

এক কথায় حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ (গরীব হাদীছ শরীফ কোন হাদীছ শরীফ উনার একজন রাবী ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। যেমন বুখারী শরীফ উনার প্রথম হাদীছ শরীফ খানা) এখানে মুনকার দ্বারা পরিত্যাজ্য নয়। আর উনার এই পরিভাষার কারণে উক্ত রাবীর উপর কোন প্রভাবও পড়বে না। যার স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফ উনাদের অনেক রাবীর ব্যাপারে মুনকার বলেছেন। এখানে মুনকার শব্দকে জারাহ ধরে আমল করলে ছহীহ বুখারী শরীফ উনার প্রায় ৩০টি হাদীছ বাদ দিয়ে দিতে হবে।

এখন ওহাবী-সালাফীরা কি বুখারী শরীফ উনার প্রথম হাদীছ শরীফসহ বাকি মুনকার শব্দে ভূষিত অন্যান্যদের বর্ণনাকে বাদ দিবে?

(২) আবার ইমাম আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কাউকে যদি “মাজহুল” (অপরিচিত) বলেন, সেটা অন্য ইমাম উনাদের মাজহুল বলার মত নয়। ইমাম আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজহুল বলতে মাজহুলে হাল বুঝায়, কিন্তু অন্যান্য মুহাদ্দিছীনে কিরাম কাউকে মাজহুল বললে সেটা মজহুলে আইন বুঝায়।

হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত হাকাম ইবনে আব্দুল্লাহ বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইমাম আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাজহুল বলেছেন। অথচ তিনি মাজহুল নন। বরং উনার থেকে চার জন ছিক্বাহ রাবী বর্ণনা করেছেন। ইমাম যুহলী রহমতুল্লাহি আলাইহিও উনাকে ছিক্বাহ আখ্যায়িত করেছেন। (মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ২/১২৪)

(৩) পবিত্র হাদীছ শরীফ বিশারদ হযরত ইবনুল কাত্তান রহমতুল্লাহি তিনি কোন রাবী সম্পর্কে যদি বলেন-

مَنْ لَـمْ يَعْرِفْ لَه حَالٌ لَـمْ تَثْبُتْ عَدَالَتُه

অর্থ: “যার হালত জানা নেই তার আদালতও প্রমাণিত নয়।”

বাহ্যিকভাবে এই শব্দে অনেক বড় জারাহ বা আপত্তি মনে হলেও বাস্তবে তা নয়। কারণ হযরত ইবনুল কাত্তান রহমতুল্লাহি উনার এ উক্তির দ্বারা অর্থ হচ্ছে, উক্ত রাবী সম্পর্কে উনার সমকালীন কোন ইমাম বা উনার ছাত্র থেকে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণকারী কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি, যদিও উক্ত রাবী ছিক্বাহ। (মিযানুল ইতিদাল ১/১৬০)

(৪) হাফিয হযরত যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মিযানুল ইতিদাল’ কিতাবে অসংখ্য ছিক্বাহ রাবীকে জারাহ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই কিতাবের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, “হযরত ইবনে আদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (আল কামিল কিতাবে) কিছু ছিক্বাহ রাবীর উপর জারাহ করেছেন। তাদেরকে আমিও আমার কিতাবে বর্ণনা করেছি। কিন্তু এর দ্বারা আমার উদ্দেশ্য হলো সমস্ত রাবীদের আলোচনা নিয়ে আসা। পরবর্তীতে আমার কিতাবে যাতে কাউকে সংযুক্ত করতে না হয়। যদিও বাস্তবে তারা আমার দৃষ্টিতে দ্বয়ীফ নন। (মিযানুল ইতিদাল এর ভূমিকা দ্রষ্টব্য)

সুতরাং বিনা ইলমে কেউ উক্ত কিতাব থেকে কোন রাবীর ব্যাপারে জারাহ-এর দলীল পেশ করলে কি পরিণতি হবে ভেবে দেখুন।

(৫) হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

اهل الـحجاز يطلقون كذب في موضع اخطا

অর্থ : “হেযাযের লোকেরা خطاء এর স্থলে কখনো কখনো كذب শব্দ ব্যবহার করে।” (মুকাদ্দিমা ফতহুল বারী, ৪২৬ পৃষ্ঠা)

এখন রাবীদের ব্যাপারে ‘কিযব’ বা মিথ্যাবাদী শব্দ দেখে পবিত্র হাদীছ শরীফ বাদ দিয়ে দেয়ার আগে বিভিন্ন স্থান ভেদে ইমামদের প্রচলিত ভাষা সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।

রিজাল শাস্ত্রের ইমাম উনাদের এ ধরনের আরো অনেক ব্যাখ্যামূলক ভাষা রয়েছে। যার সম্পর্কে পূর্ণ ইল্ম না থাকলে ভয়াবহ বিভ্রান্তিতে পড়তে হবে।

এ কারণে হযরত আব্দুল হাই লখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-

ولا تبادر تقليدا لـمن لا يعرف الـحديث واصوله اِلى تضعيف الـحديث وتوهينه بـمجرد الاقوال الـمبهمة، والـجروح غير الـمفسرة

অর্থ : “যারা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উছূল ও ফরূ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ইল্ম রাখেন না সহসাই তাদের ইক্বতিদা বা অনুসরণ শুরু করে দিও না। ফলে ব্যাখ্যাহীন জারাহ, স্পষ্ট নয় এমন মন্তব্যের উপর ভর করে কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দ্বয়ীফ সাব্যস্ত করে দিবে।” (মিনহাজুল নাকদি ফি উলুমিল হাদীছ ১/৯৯, আর রফু ওয়াক তাকমিলি ফি জরহে ওয়াত তা’দীল ৪৮ পৃষ্ঠা)

রিজাল বিষয়ে জ্ঞান না রেখে জাহিরী শব্দের উপর ভর করে ফতওয়া দিলে অনেক ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে অস্বীকার করতে হবে, যেমনটা করছে বর্তমানে ওহাবী ছালাফী লা’মাযহাবীরা।

শোক সংবাদ: সাইয়্যিদাতুন নিসা, সুলতানাতুল আরিফীন, কুতুবুল ইরশাদ, কুতুবুল আক্বতাব, আওলাদে রসূল মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন

আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১২

আহলান-সাহলান! সুমহান পহেলা শাওওয়াল!! মুবারক হো ঈদে বিলাদতে তাহিরাহ, তাইয়িবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুক্বাহ, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকীয়্যাহ, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, উম্মু আবিহা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

বিশেষ প্রবন্ধ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবত মুবারকই মুহব্বত-মা’রিফাত, কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারকসহ সমস্ত কিছুর মূল, কাজেই যে যতটুকু উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করতে পারবে, সে ততটুকু কামিয়াবী হাছিল করবে

বিশেষ কলাম: পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান মশহূর পবিত্র শবে বরাত এবং উনার আমলসমূহ বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হওয়া প্রসঙ্গে-পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছ শরীফ একদম ছহীহ- এ বিষয়ে সকল আসমাউর রিজাল বিশারদগণ একমত