ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৩৭

সংখ্যা: ২১৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কী ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

“শরীফ হুসাইন পাশা উনার নিষ্ঠার ব্যাপারে কোন সংশয় থাকা উচিত নয়। তিনি বিদ্রোহ উস্কে দেবেন এরকম কোন সম্ভাবনাও ছিল না। উনার ব্যাপারে যে রটনা রয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শরীফ হুসাইন পাশা খলীফার অনুগত ছিলেন এবং খলীফার দীর্ঘায়ু কামনা করতেন।” গালিব পাশা এই বার্তাটির কপি জামিল পাশার নিকট পাঠান। জামিল পাশা ছিলেন চতুর্থ আর্মির প্রধান এবং ইউনিয়নিস্টদের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। যদিও প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন যে, শরীফ হুসাইন পাশা ছিলেন নিষ্ঠাবান মুসলিম এবং উনার সিদ্ধান্তে তিনি সঠিক ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইউনিয়নিস্টরা শরীফ হুসাইন পাশা এবং উনার সন্তানদের তাদের পথের সবচেয়ে বড় বাধা মনে করতো এবং তারা ভয় পেতো যে, উনারা হয়তো মুসলমানগণদের আলোকিত করবেন এবং তাদের অত্যাচার এবং মাত্রাতিরিক্ত আচরণকে প্রতিহত করবেন। তারা শরীফ হুসাইন পাশাকে বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে চালাকীর আশ্রয় নেয়। মদীনা শরীফ-এ অবস্থানরত সাহসী তুর্কী সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বছর ব্যাপী এক ভাই অন্য ভাইয়ের রক্তপাত ঘটান। অবশেষে নিরীহ অফিসাররা যারা শরীফ হুসাইন পাশাদেরকে বিদ্রোহী বা দেশদ্রোহী মনে করে গুলি চালায়, তারা বুঝতে পারে যে তারা প্রতারিত হয়েছে। শত শত অফিসার একত্রিত হয়ে “মারকাজ হাইতি” গঠন করেন। উনাদের নেতৃত্বে থাকেন কর্নেল এমিন বেগ। তারা বিভিন্ন ঘোষণার মাধ্যমে হিজাজে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি প্রকাশ করে দেন। তারা উল্লেখ করে, “নেতারা এবং তাদের তোষামোদকারীরা মিথ্যা বলছে। আরবগণ এবং তুর্কীরা ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করবে যেভাবে তারা পূর্বে বসবাস করেছে। আমরা কি একে অপরের এখনও ভাই নই? আমরা কি একে অপরের সাথে ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় বন্ধন দ্বারা যুক্ত নই? যদি তারা স্বাধীন হয় তবে কি তারা আমাদের শত্রুতে পরিণত হবে না? যদি আমরা উনাদের প্রশ্ন করি উভয়ে উনারাও ‘না’ বলবেন। আমরা একত্রে কাজ করে যাব।

শরীফ হুসাইন পাশা আমাদের জন্য উট যোগাড় করে রেখেছেন সমুদ্র বন্দর ইয়ানবুতে যাবার জন্য। তিনি অসুস্থদের জন্য ওষুধ পাঠিয়েছেন। তিনি ইয়ানবুতে যাবার ক্ষেত্রে আমাদের স্বাচ্ছন্দের বিষয়টি চিন্তা করেছেন। এটা চরম মানবতার পরিচয় নয়? ভ্রাতৃত্বের চেয়ে বড় উদাহরণ কি হতে পারে? যদি এই উপকারের পরিবর্তে তিনি বলতেন তোমরা পায়ে হেঁটে ইয়ানবুতে যাও, আমরা কি নিষেধ করতে পারতাম? আমরা কি বলতে পারতাম আমরা বিজয়ী, আমরা তোমাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করবো! উদ্দেশ্যহীনভাবে মরে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমাদের এই ঘোষণা তাদের জন্য যারা সত্যকে দেখতে পায় না।

অধিকাংশ লোকই সত্যকে বুঝতে পেরেছে। আমাদের মালিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি এই নিষ্ঠুরতা মেনে নিবেন?” (চলবে)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস